প্রশাসনের নির্দেশ মত ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র প্রভাবে গত দুই দিন ধরে বন্ধ ছিল গোসাবা ফেরি। তবে আজ অর্থাৎ শনিবার সকাল থেকে আবারও ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় দানা'র তান্ডব থেকে রেহাই পেল না নদীয়া জেলার চাষিরাও। বিপর্যয়ের মুখে পড়েছেন জেলার একাধিক চাষি। নদীয়া জেলার বিভিন্ন অঞ্চলের চাষের জমি জলের তলায় চলে যাওয়ায় বিপুল ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন তারা।
নদীয়ার শান্তিপুরে আজও পুরনো রীতি মেনে করা হয় সাড়ে ৫০০ বছরের চাঁদনী বাড়ির কালীপুজো। পুজোর সূচনা করেছিলেন চৈতন্য মহাপ্রভুর গৃহশিক্ষক কাশীনাথ সার্বভৌম। কালীপুজোর কিছুদিন আগে থেকেই প্রস্তুতির তোড়জোড় শুরু হয়ে যায়।
ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র জেরে জলমগ্ন পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোণা। গ্রামীণ রাস্তা ডোবায় অত্যন্ত সমস্যায় গ্রামবাসীরা। কৃষি জমিও ডুবে গিয়েছে বলে জানালেন গ্রামবাসীরা। এলাকার মানুষের ঠাঁই হলো ত্রাণ শিবিরে।
সুন্দরবনের বেহাল নদী বাঁধের প্রসঙ্গে মমতাকে একহাত নিলেন শুভেন্দু অধিকারী। দেখুন কী বললেন।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা বারুইপুর কুলতলী এলাকায় মেরিগঞ্জ ১ নম্বর অঞ্চলের পশ্চিম খালপাড় মিসবাউদ্দিন মোল্লার একমাত্র থাকার ঘরটি আজ ডানা ঝড়েতে ভেঙে যায়। তবে পরিবারে কাউ আহত বা নিহত হননি।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবনের গোসাবায় ভোর থেকে মেঘলা আকাশ সঙ্গে বৃষ্টি শুনশান রাস্তা ঘাট, বন্ধ ফেরি পরিষেবা। এর পাশাপাশি নদী বাঁধেরও বেহাল অবস্থা।
শুক্রবারও ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র জেরে বন্ধ গোসাবা ফেরি পরিষেবা। শুক্রবার বিকেলে অনেক যাত্রী জড়ো হন গোসাবা ফেরি ঘাটে। তারা নদী পার হওয়ার জন্য খেয়া ঘাটে আসেন তবে সেখানে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় তারা পুলিশকে ক্ষোভ উগরে দেন।
ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র প্রভাব যেন পড়েনি পুরীতে। ঠিক সেই ছবিই উঠে আসছে পুরীর সমুদ্র সৈকত থেকে। মেঘলা আকাশে বৃষ্টি নেই। সেই সুযোগেই হাজারো ভ্রমণপিপাসু পর্যটকরা সমুদ্রে নেমেছেন উপভোগ করার জন্য।
ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র জেরে গোটা কলকাতা জলমগ্ন। কলকাতা পৌরসভার গেটেও জমেছে হাঁটু পর্যন্ত জল। বিভিন্ন জায়গায় জল জমা পরিস্তিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছে পৌর কর্মীরা।