সংক্ষিপ্ত
কিয়া কারেন্সের ফেসলিফ্ট মডেল আনার প্রস্তুতি নিচ্ছে কোম্পানি। শুধু তাই নয়, ফেসলিফ্ট মডেলের সাথে সাথে ইলেকট্রিক ভার্সনও আসছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার গাড়ি নির্মাতা কিয়ার জনপ্রিয় ৭-সিটার গাড়ি কারেন্স। এই গাড়িটি মারুতি-র একটি গাড়ির সাথে প্রতিযোগিতা করে। এবার কারেন্সের ফেসলিফ্ট মডেল আনার প্রস্তুতি নিচ্ছে কিয়া। শুধু তাই নয়, ফেসলিফ্ট মডেলের সাথে সাথে ইলেকট্রিক ভার্সনও আসছে। নতুন রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২৫ সালের মাঝামাঝি সময়ে এই দুটি গাড়ি একসাথে লঞ্চ করা হবে।
আপডেটেড কিয়া কারেন্স এবং কারেন্স ইভি ত্রিভুজাকার এলইডি হেডলাইট সহ আসবে, যা আসন্ন কিয়া ইভি৬-এর মতো। এছাড়াও কানেক্টেড এলইডি ডিআরএল, নতুন ডিজাইনের ফ্রন্ট এবং রিয়ার বাম্পার, ফুল-উইথ টেললাইট থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে। ফেসলিফ্টেড গাড়িগুলিতে নতুন অ্যালয় হুইলও থাকতে পারে। ইলেকট্রিক ভার্সনে অ্যারোডাইনামিক ডিজাইনের অ্যালয় হুইল থাকবে। আইসিই গাড়ির তুলনায়, ইলেকট্রিক গাড়িতে বন্ধ গ্রিল থাকবে।
আধুনিক ড্যাশবোর্ড এবং বিভিন্ন রঙের সিট আপহোলস্ট্রি সহ কিয়া কারেন্স ফেসলিফ্টের ইন্টেরিয়র নতুন রূপ পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। ইলেকট্রিক ভার্সনে টেকসই উপকরণ ব্যবহার করা হবে এবং ভিন্ন কেবিন থিম থাকবে। ১২.৩ ইঞ্চি ডুয়েল স্ক্রিন সেটআপ, ডুয়েল জোন ক্লাইমেট কন্ট্রোল, ওয়্যারলেস ফোন চার্জার, প্যানোরামিক সানরুফ ফিচার দুটি গাড়িতেই থাকবে। সুরক্ষার ক্ষেত্রে, ৬টি এয়ারব্যাগ, ইএসসি, ৩৬০-ডিগ্রি ক্যামেরা, ফ্রন্ট এবং রিয়ার পার্কিং সেন্সর, লেভেল-২ ADAS থাকবে।
কারেন্সে তিনটি পাওয়ারট্রেন অপশন আছে: ১.৫ লিটার ন্যাচারালি অ্যাসপিরেটেড পেট্রোল, ১.৫ লিটার টার্বো-পেট্রোল এবং ১.৫ লিটার ডিজেল। এতে ৬-স্পিড MT, ৬-স্পিড iMT, ৭-স্পিড DCT, ৬-স্পিড AT ট্রান্সমিশন অপশন আছে। কারেন্স ইভিতে ৪০০ থেকে ৫০০ কিলোমিটার রেঞ্জ সহ বিভিন্ন ব্যাটারি প্যাক থাকবে। কারেন্স ফেসলিফ্টের প্রাথমিক দাম প্রায় ১১.৫০ লক্ষ টাকা এবং কিয়া ইভির দাম প্রায় ১৬ লক্ষ টাকা হতে পারে।
সব মিলিয়ে চমক নিয়ে আসছে এই দুই গাড়ি। দক্ষিণ কোরিয়ার গাড়ি নির্মাতা ভারতীয়দের জন্য নিয়ে আসছেন এই গাড়ি। যা দিতে চলেছে চমক।