সংক্ষিপ্ত
টাটা সংস্থার তরফ থেকে যে সাইকেলটি লঞ্চ করা হয়েছে সেই সাইকেলটির খরচের কথা শুনলে আপনি মাথায় হাত দেবেন, বলবেন এত কম কীভাবে?
বৈদ্যুতিক গতিশীলতার প্রবণতা ভারত সহ সারা বিশ্বে কদর তৈরি করে নিচ্ছে। মানুষ শুধু বৈদ্যুতিক গাড়ি এবং স্কুটারের প্রতিই আগ্রহ দেখাচ্ছে না, এখন বৈদ্যুতিক সাইকেলের বিক্রিও বাড়ছে। করোনা অতিমারি শুরুর পর থেকে অনেকেই সাইকেলকে রোজকার যাতায়াতের সঙ্গী করে নিয়েছেন। অনেকে আবার দূষণ কমাতে পা রাখছেন প্যাডেলে। কিন্তু সাইকেল চালিয়ে লম্বা পথ যাত্রা একদিকে যেমন কষ্টসাধ্য অন্যদিকে সময়ও অনেকটা বেশি লেগে যেয়। এই সমস্যার সমাধানে রয়েছে ই-বাইক। তাই ভারত সহও গোটা বিশ্বেই ই-সাইকেল চালানোর প্রবণতা বাড়ছে। ব্যাটারি চালিত যানবাহনে খরচ পেট্রোল-ডিজেলের তুলনায় কয়েকগুণ কম। এখন আবার ই-সাইকেল (E-Cycle) অর্থাৎ ব্যাটারি চালিত সাইকেলের কদর বাড়ছে।
এই কারণেই অনেক কোম্পানি এখন বাজারে নতুন মডেলের ইলেকট্রিক সাইকেল লঞ্চ করছে। এই ই-সাইকেল কিনে নিলে আর প্যাডেল করার ঝামেলা থাকবে না। সাইকেলের সিটে বসে সুইচ টিপলেই মাইলের পর মাইল পাড়ি দেওয়া যাবে। এখন টাটা ইন্টারন্যাশনালের মালিকানাধীন কোম্পানি Strider বাজারে একটি নতুন ই-বাইক লঞ্চ করেছে। টাটা সংস্থার তরফ থেকে যে সাইকেলটি লঞ্চ করা হয়েছে সেই সাইকেলটির খরচের কথা শুনলে আপনি মাথায় হাত দেবেন, বলবেন এত কম কীভাবে?
যারা ব্যবহার করবেন তাদের এক কিলোমিটার যেতে খরচ হবে মাত্র ১০ পয়সা। হ্যাঁ, মাত্র ১০ পয়সা। ভাবা যায়?
এই বৈদ্যুতিক সাইকেলটি জেটা রেঞ্জের অধীনে চালু করা হয়েছে। এই ই-বাইকের নাম দেওয়া হয়েছে জিটা প্লাস ই-বাইক। এই সাইকেল পরিবহনের একটি নির্ভরযোগ্য, অর্থনৈতিক এবং পরিবেশ বান্ধব বিকল্প। গ্রিন এবং গ্রে এই দুই রঙেই পাওয়া যাবে নতুন ইলেকট্রিক সাইকেল।
দাম কত?
কোম্পানি এই সাইকেলটি লঞ্চ করেছে যার দাম ২৬,৯৯৫ টাকা। এটি এই সাইকেলের প্রারম্ভিক মূল্য অর্থাৎ প্রাথমিক কিছু গ্রাহক শুধুমাত্র এই দামে এই সাইকেলটি পাবেন। পরবর্তীতে এই সাইকেলের দাম ছয় হাজার টাকা বাড়বে। আপনি কোম্পানির অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে এই সাইকেলটি কিনতে পারেন।
ব্যাটারির ক্ষমতা
সাইকেলটি ২১৬ডব্লু এইচ-এর শক্তি আউটপুট সহ একটি ৩৬ভি-৬এএইচ ব্যাটারি প্যাক সমেত পাবেন গ্রাহকরা। এর সর্বোচ্চ গতি ২৫ কিমি/ঘন্টা। এই বাইকটি একবার চার্জে ৩০ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করতে পারে। এই বাইকে রয়েছে ৩৬ ভোল্ট ২৫০ ওয়াটের বিএলডিসি মোটর। যেকোনো রাস্তায় মসৃণ রাইডিং দিতে সক্ষম এই বাইক। ফুল চার্জ হতে সময় নেয় ৩ ঘণ্টা। ১০০ শতাংশ চার্জ হয়ে গেলে ৪০ কিমি পর্যন্ত রেঞ্জ দিতে পারে। সাইকেলের অন্যান্য বৈশিষ্ট্যগুলোর মধ্যে রয়েছে অটো-কাট ব্রেক। দুই চাকাতেই মিলবে ডিস্ক ব্রেক।
পরিবেশবান্ধব এই সাইকেলের ডিজাইনও দুর্দান্ত। ই-সাইকেলের সর্বোচ্চ গতি ২৫ কি.মি. প্রতি ঘণ্টা। অনেকেই আছেন যারা নিয়মিত সাইক্লিং করতে ভালোবাসেন। কিংবা শরীরচর্চার জন্য সাইকেল চালান। তাদের কাছে এটি যেমন কার্যকরী হতে পারে তেমন তরুণ-তরুণীরা এই ইলেকট্রিক বাইক স্বাচ্ছন্দ্যে চালাতে পারেন বলে দাবি করা হয়েছে।