সংক্ষিপ্ত
টমটম ইন়ডেক্সের সমীক্ষায় জ্বালানি খরচ, CO2 নির্গমণের মূল্যায়ন করা হয়েছে। এটি ৬০০ মিলিয়নের ও বেশি ইন-কার নেভিগেশন সিস্টেম ও স্মার্টফোনের ডেটার ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছিল।
যানজটের কারণ গাড়ি প্রায় এগোতেই চায় না। ২০২৩ সালে বিশ্বের সবথেকে ধীর গতির শহর হিসেবে চিহ্নিত হয়েছিল ব্রিটেনের রাজধানী লন্ডন। কারণ যানজটের কারণে লন্ডনের রাজপথে গাড়ির গতিবেগ থাকে ঘণ্টায় মাত্র ১৪ কিলোমিটার। তেমনই দাবি করেছে টমটম ট্রাফিক ইনডেক্স। এই সংস্থাটি ৬টি মহাদেশের ৫৫টি দেশের ৩৮৭টি শহরের ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ে একটি সমীক্ষা করেছিল। এই সমীক্ষায় ধীর গতির শহর হিসেবে নাম তুলেছে ভারতেরও দুটি শহর।
টমটম ইন়ডেক্সের সমীক্ষায় জ্বালানি খরচ, CO2 নির্গমণের মূল্যায়ন করা হয়েছে। এটি ৬০০ মিলিয়নের ও বেশি ইন-কার নেভিগেশন সিস্টেম ও স্মার্টফোনের ডেটার ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছিল। প্রতিটি শহরের জন্য টমটম ইনডেক্স ২০২৩ সালে সমগ্র নেটওয়ার্ক জুড়ে চালিত লক্ষ লক্ষ কিলোমিটার দেখার সময় প্রতি কিলোমিটারের গড় গাড়ি চলাললের সময়ই গণনা করেছে।
ভারতের সবথেকে ধীর গতির শহরঃ
টমটম ট্রাফিক ইনডেক্স অনুযায়ী ভারতের সবথেকে ধীর গতির শহর হল বেঙ্গালুরু ও পুনে। বেঙ্গালুরুর স্থান ৬ নম্বরে। তারপরেই অর্থাৎ ৭ নম্বরে রয়েছে পুনে। টমটম ট্রাফিক ইনডেক্স অনুযায়ী বেঙ্গালুরুতে ২০২৩ সালে যানজটের সময় গাড়ি ১০ কিলোমিটার যেতে সময় নিত ২৮ মিনিট ১০ সেকেন্ড। পুনেতে ২৭ মিনিট ৫০ সেকেন্ড। ভারতের আইটি রাজধানী হিসেবে পরিচিত বেঙ্গালুরু আয়ারল্যান্ডের রাজধানী ডাবলিনের পরে। এই শহরটি আগের বছর ছিল দ্বিতীয় স্থানে।
টমটম ইনডেক্স অনুযায়ী বেঙ্গালুরুর যানজটের সবথেকে খারাপ দিন ছিল ২৭ সেপ্টেম্বর। এই দিন ১০ কিলোমিটার গাড়ি যেতে সময় নিয়েছিল ৩২ মিনিট। পুনেতে ছিল ৮ সেপ্টেম্বর। সেই দিন ১০ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করতে সময় নিয়েছিল ৩৪ মিনিট। যানজটের এই তালিকায় দিল্লির স্থান ৪৪, মুম্বইয়ের স্থান ৫২।
তালিকার প্রথম তিনটি শহর হল লন্ডন, ডাবলিন ও টরন্টো। ইনডেক্ট অনুযায়ী ৮২টি শহর তাদের গড় গতিবেগ অপরিবর্তিত রেখেছে। ৭৭টি শহর ২০২২ এর তুলনায় যানজটের সমস্যা অনেকটাই কাটিয়ে উঠেছে।