সম্প্রতি, ব্যবহৃত গাড়ি (Used Car Buying) কেনার হার অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু যদি আপনি এগুলো কেনার আগে বেশ কিছু সতর্কতা অবলম্বন করেন, তাহলে ঠিকঠাক সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।
Used Car Buying: মধ্যবিত্তদের ক্ষেত্রে গাড়ি কেনা এখন আর আগের মতো কোনও বড় ব্যাপার নয়। তাছাড়া মেট্রো সিটিগুলির মতো যানজটপূর্ণ শহরে, বেশিরভাগ মানুষ গণপরিবহন ব্যবহার করে থাকে। কারণ, তাদের গাড়ি থেকে নামার ধৈর্য অনেকসময়েই থাকে না (Used Car Buying tips)। সেইসঙ্গে, উবের এবং ওলার মতো ক্যাব পরিষেবা তো রয়েছেই। আজকাল গাড়ির রক্ষণাবেক্ষণ করাও অনেক সহজ।
অন্যদিকে, অনেকেই আছেন যারা আবার সেকেন্ড-হ্যান্ড কম দামের গাড়ি কিনতে পছন্দ করেন। যারা নতুন গাড়ি কিনতে চান, তারাও সেকেন্ড হ্যান্ড গাড়ি কিনতে আসেন অনেকসময়। কিন্তু ব্যবহৃত গাড়ি কেনাবেচার সময় আপনার কোন কোন বিষয়ের দিকে নজর দেওয়া উচিত (Used Car Buying guide)?

নতুন গাড়ি কেনার তুলনায় ব্যবহৃত গাড়ি কেনা আক্ষরিক অর্থে কিছুটা কঠিন। নতুন গাড়ি কেনার সময় আমাদের কাছে প্রকৃত তথ্য খুব সহজেই চলে আসে। কিন্তু যখন ব্যবহৃত গাড়ি কেনার সময় আসে, তখন অনেক বিষয়কেই আলাদাভাবে বিবেচনা করতে হয়।
এক এক করে সেই বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা করা যাক।
বাজেট: নতুন গাড়ির মতো ব্যবহৃত গাড়ি কেনার সময়, প্রথমে আপনার গাড়ির বাজেট সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা থাকা উচিত। যদি আপনার পরিবার ছোট হয়, তাহলে চার যাত্রীর হ্যাচব্যাক গাড়ি বেশি উপযুক্ত হবে। যদি আপনি লম্বা দূরত্ব ভ্রমণ করতে চান অথবা ৫ জনের বেশি সদস্যের পরিবার চান, তাহলে একটি সিডান, এসইউভি, অথবা এমপিভি সবচেয়ে ভালো অপশন।
অপরদিকে, বাজারের পরিস্থিতি সঠিকভাবে মূল্যায়ন করাও ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। ইন্টারনেট আপনাকে গাড়ির মডেল সম্পর্কে প্রাসঙ্গিক তথ্য খুঁজে পেতে সাহায্য করতে পারে। তবে ব্যবহৃত গাড়ি কেনার সময়, আপনার সঠিক ডিলার নির্বাচন করা উচিত। তাই অবশ্যই স্ট্যান্ডার্ড ডিলার বেছে নেওয়া উচিত। এছাড়া অনেক ফাইন্যান্স কোম্পানি আছে বা ব্যাঙ্ক গাড়ি কেনার ইচ্ছা পূরণের জন্য লোন দিয়ে থাকে। ব্যবহৃত গাড়ি কেনার সময় কোন স্কিমটি আপনার জন্য সঠিক, তা বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে জেনে নিন।
ফিটনেস সার্টিফিকেট: গাড়ির এফসি, বা ফিটনেস সার্টিফিকেট, অবশ্যই বৈধ হতে হবে। ১৫ বছরের বেশি পুরনো গাড়ি কেনার সময় এই সমস্ত বিষয় বিবেচনা করা ভালো। রাস্তায় এফসি ছাড়া গাড়ি এবং যানবাহন চালানো শাস্তিযোগ্য অপরাধ। তাছাড়া গাড়ির ইঞ্জিন বা যন্ত্রাংশের দুর্বলতা সম্পর্কে আপনি কীভাবে জানতে পারবেন? তাই, কয়েকবার পুরনো গাড়ি চালানোর চেষ্টা করুন। আপনার পরিচিত একজন মেকানিক অথবা ড্রাইভার বা গাড়ি সম্পর্কে আরও জ্ঞানী একজন ঘনিষ্ঠ বন্ধুর সাহায্য নিন দরকারে।
পুরনো গাড়ির কাগজপত্র (আরসি বই, নির্গমন পরীক্ষা কার্ড এবং বীমা কার্ড) সব ঠিক আছে কিনা তা পরীক্ষা করে দেখুন। আর, গাড়ির মডেলটা কী? লোন কি শোধ করা হয়ে গেছে? এইসব সম্পর্কেও তথ্য জেনে নিন। আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, চুরি যাওয়া গাড়ি বিক্রি হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে।
তাই গাড়ির সার্ভিস বুক সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
কিন্তু ডিলারদের দেওয়া সব অফারেই প্রভাবিত হবেন না। এরপর লেনদেন শেষ হওয়ার পর, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কেনা গাড়িটি আপনার নামে স্থানান্তর করুন। সামগ্রিকভাবে, ব্যবহৃত গাড়ি কেনার সময় আপনাকে নতুন গাড়ি কেনার মতোই সতর্ক থাকতে হবে সবসময়।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।

