সংক্ষিপ্ত

শরীরে ছিল করোনার সব উপসর্গ

তাও হাসপাতালে যেতে চাননি

প্রবল শ্বাসকষ্ট নিয়েই পালিয়েছিলেন অ্যাম্বুল্যান্স দেখে

রবিবার মৃত্যু হল তাঁর

 

একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন তরতাজা যুবক। দিন পাঁচেক আগে লকডাউনের মধ্যেই বাড়ি ফিরেছিলেন। তারপর থেকেই তাঁর শরীরে দেখা যাচ্ছিল করোনাভাইরাসের উপসর্গ। কিন্তু, তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রশাসন থেকে অ্যাম্বুল্যান্স পাঠানো হলে বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। রবিবার সকালেই তাঁর মৃত্য়ু হয়েছে। বাংলাদেশের নায়ারণগঞ্জ জেলার নলছিটি উপজেলার ঘটনা।  

নলছিটি উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক মুনীবুর রহমান জানিয়েছেন,
নারায়ণগঞ্জেরই একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন তিনি। ৫ দিন আগে নলছিটিতে গ্রামের বাড়িতে ফিরেছিলেন। ফেরার পর থেকেই গায়ে জ্বর ছিল। সঙ্গে শ্বাসকষ্ট ও গলাব্যথাও ছিল। এলাকাবাসীর কাছে জানতে পেরে স্বাস্থ্যকর্মীরা তাঁর বাড়ি গিয়ে তাঁর লালারসের নমুনা সংগ্রহ করেছিলেন।

শনিবার বিকেলে তাঁর শ্বাসকষ্ট বেড়ে গিয়েছিল। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে অ্যাম্বুলেন্স পাঠিয়ে তাঁকে বরিশাল পাঠানোর চেষ্টা করা হয়। কিন্তু জানা গিয়েছে, অ্যাম্বুল্য়ান্স দেখেই শ্বাসকষ্ট নিয়েই বছর ৩৭-এর ওই যুবক বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়েছিলেন। রাতে ফিরেও আসেন। কিন্তু, রবিবার সকাল ৮টা নাগাদ, তাঁর যাবতীয় দৌড়াদৌড়ি, পালানো বন্ধ হয়ে যায়।

বরিশাল-এর শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে এখনও তাঁর কোভিড-১৯ পরীক্ষার রিপোর্ট আসেনি। কিন্তু, তাঁর শরীরে করোনাভাইরাসের স্পষ্ট উপসর্গ থাকায়, স্বাস্থ্যবিধি মেনেই তাঁর শেষকৃত্যের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেই সঙ্গে তাঁর বাড়ি-সহ আশপাশের বেশ কয়েকটি বাড়ি সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।

এদিকে বাংলাদেশে প্রায় প্রতিদিনই আক্রান্তের সংখ্যা আগের দিনের রেকর্ড ভেঙে দিচ্ছে। রবিবার বাংলাদেশ সরকার জানিয়েছে, সেই দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ১,২৭৩ জন কোভিড রোগীর সন্ধান মিলেছে। সব মিলিয়ে বাংলাদেশে এই মুহূর্তে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত ব্যক্তির সংখ্যা ২২,২৬৮ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় সেই দেশে মৃত্যু হয়েছে ১৪ জন করোনা রোগীর। এর ফলে শেখ হাসিনার দেশে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৩২৮-এ।