সংক্ষিপ্ত

  • বাংলাদেশে হবে চিনা ভ্যাকসিনের চূড়ান্ত পরীক্ষা
  • আগামী ১৮ মাস ধরে পরীক্ষামূলক প্রয়োগ হবে
  • ২১০০ স্বাস্থ্যকর্মীকে বেছে নেওয়া হয়েছে ট্রায়ালের জন্য
  • চিন ভ্যাকসিন আবিষ্কার করলে সবার আগে পাবে বাংলাদেশ

চিনের সিনোভ্যাক রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেডের তৈরি করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিনের তৃতীয় তথা শেষ ধাপের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল হবে  বাংলাদেশে। এই বিষয়ে অনুমোদন দিল বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিল (বিএমআরসি)। চিনের সিনোভ্যাক বায়োটেক লিমিটেডের তৈরি এই ভ্যাকসিনের বাংলাদেশে পরীক্ষামূলক প্রয়োগের কাজটি করবে আন্তর্জাতিক উদরাময় রোগ গবেষণা কেন্দ্র।

করোনাভাইরাসবিশ্বের দেড় কোটি মানুষকে আক্রান্ত করেছে।  প্রাণ গিয়েছে ৬ লাখ মানুষের। কোভিড-১৯ রোগ প্রতিরোধে এখন ভ্যাকসিনের দিকে চেয়ে আছে সবাই। এই পরিস্থিতিতে বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ভ্যাকসিন তৈরিতে নেমে পড়েছে। সিনোভ্যাক তাদের টিকার দ্বিতীয় ধাপের ট্রায়াল সম্পন্ন করেছে ইতিমধ্যে। এবার তৃতীয় ধাপের পরীক্ষাটি বাংলাদেশেও হবে।

আরও পড়ুন: প্রাণী থেকেই ছড়াচ্ছে মারণ করোনা, আতঙ্কে হত্যা করা হচ্ছে লক্ষাধিক মিঙ্ককে

রবিবার বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিল (বিএমআরসি) আইসিডিডিআর,বিকে ভ্যাকসিনটির পরীক্ষার অনুমোদন দেয়। সংস্থাটি পরীক্ষার প্রটোকল জমা দিয়েছিল মাস খানেক আগেই । প্রটোকল অনুযায়ী, বাংলাদেশের ৭ টি হাসপাতালের মোট ২,১০০ জন স্বাস্থ্যকর্মীর ওপর এই ভ্যাকসিনের পরীক্ষা করা হবে। 

আগামী অগস্টে সিনোভ্যাকের ভ্যাকসিনের প্রয়োগ বাংলাদেশে শুরু হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে। তবে সংস্থাটি দাবি করেছে, বাংলাদেশ ছাড়াও এর পরীক্ষামূলক প্রয়োগ ব্রাজিলে করারও অনুমতি পেয়েছে তার। চিনা সংস্থাটি দাবি করেছে, তারা প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপে ৭৪৩ জনের উপর এই টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করে সফলতা দেখেছে। ওই ব্যক্তিদের দেহে এই টিকা নতুন করোনাভাইরাস প্রতিরোধী ব্যবস্থা গড়ে তুলেছে।

আরও পড়ুন: করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে শরীরে 'ডাবল সুরক্ষা' দেবে তাঁদের ভ্যাকসিন, দাবি অক্সফোর্ডের গবেষকদের

জানা যাচ্ছে ট্রায়াল শুরুর পর সর্বনিম্ন ছয় সপ্তাহ ও সর্বোচ্চ তিন মাস সময় লাগতে পারে পরীক্ষা শেষ হতে। পরীক্ষায় সফল হলে ভ্যাকসিন উৎপাদন শুরু হবে। ট্রায়ালের অংশীদার দেশ হিসেবে ভ্যাকসিন পাওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অগ্রাধিকার থাকবে সবচেয়ে বেশি।