সংক্ষিপ্ত
এপ্রিল মাসে করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন এই সাহিত্যিক। বার্ধক্য জণিত কারণে জটিলতা থাকার সত্ত্বেও কঠিল লড়াই জয় করে বাড়ি ফিরেছিলেন বুদ্ধবাবু। কিন্তু করোনা পরবর্তীতে শরীর ভাঙতে থাকে।
একের পর এক দুঃসংবাদ, শঙ্খ ঘোষ, গৌরী ঘোষের পর এবার আপামর ভক্তরা হারালেন কিংবদন্তি সাহিত্যিক বুদ্ধদেব গুহকে। যাঁর সঙ্গে অধিকাংশেরই পরিচয় নয় ঋজুদা নয় মাধুকরী কিংবা একটু উষ্ণতার জন্যের হাত ধরে। রবিবার রাতে কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। এপ্রিল মাসে করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন এই সাহিত্যিক। বার্ধক্য জণিত কারণে জটিলতা থাকার সত্ত্বেও কঠিন লড়াই জয় করে বাড়ি ফিরেছিলেন বুদ্ধবাবু। কিন্তু করোনা পরবর্তীতে শরীর ভাঙতে থাকে।
এরপর কেটে যায় বেশ কয়েকমাস। অগাস্ট মাসের শেষে এসেই আবারও শরীর খারাপ, শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখা দেয়। তড়িঘড়ি তাঁকে ভর্তি করা হয় এক বেসরকারী হাসপাতালে। সেখানে চার দলের এক চিকিৎসক টিম চিকিৎসা চালাচ্ছিলেন বুদ্ধদেব গুহর। ডাক্তারের কথায় সংক্রমণ ছড়িয়েছিল মুত্রনালীতে। পরিস্থিতি জটিল হয়ে ওঠায় তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় আইসিইউতে। তবে শেষ রক্ষা হল না। রবিবার রাত ১১.২৫ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়ে শোকের ছায়া।
সোমবার ভোর হতেই খবর ছড়িয়ে পড়তে থাকে, বইমেলায় স্টলে গিয়ে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ আবার কারুর স্মৃতিতে নতুন বইয়ের খোঁজে অপেক্ষায় দিনগোনা। সম্পর্কে এক অন্য ছাঁচে বেঁধেছিলেন তিনি। তাঁর কলম সব প্রজন্মের মনকেই ছুঁয়ে যেত। তবে থামল সেই কলমের পথ চলা। ছোটদের জন্য যেমন ছিল ঋজুদার সঙ্গে জঙ্গলে ঠিক তেমনই বাবলি, কোয়েলের কাছে, জলছবি, কুমুদিনী পরিণত মনকে আকর্ষণ করেছে বারে বারে।