সংক্ষিপ্ত
‘যাঁরা প্রথম ১০-এ থাকবেন তাঁরা ভবিষ্যতে নাচকে পেশা বাছতেই পারেন, আন্তরিক অনুরোধ, আপনরা নাচ ছাড়বেন না’— ডোনা গঙ্গোপাধ্যায়
কালীপুজোর আগেই স্টার জলসার বড় উপহার। ডোনা গঙ্গোপাধ্যায়কে ভিন্ন রূপে পেতে চলেছেন ছোট পর্দার দর্শক। ২৩ অক্টোবর ‘ডান্স ডান্স জুনিয়র ৩’-এ তিনি অতিথি বিচারক! সঙ্গী দেব, রুক্মিণী মৈত্র, মনামী ঘোষ। ঘরনির টানে শনি-রবিবার সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ছোট পর্দার সামনে? এশিয়ানেট নিউজ বাংলার প্রতিনিধি উপালি মুখোপাধ্যায়ের মুখোমুখি ডোনা গঙ্গোপাধ্যায়।
প্রশ্ন: ফের শুভঙ্কর চট্টোপাধ্যায়ের বড় চমক! ‘দাদা’র পরে ‘বৌদি’ রিয়্যালিটি শো-এর বিচারক...
ডোনা: শুভঙ্করদা তো আমায় পুরো পর্ব থাকতে বলেছিলেন। আমিই পারিনি। কারণ, তখন বিদেশে নাচের শো ছিল। নিজের মহড়া রয়েছে। সংসারের দেখভাল রয়েছে। যদিও সানা বিদেশে। তাতে কিছুটা হলেও অবসর পাই। কিন্তু মহারাজ-আমি সবাই শ্যুটিংয়ে বেড়িয়ে গেলে বাড়ির দেখভাল কী করে হবে? আমার জন্য তাই এই একটা পর্বই ভাল (হাসি)।
প্রশ্ন: ঘরনির টানে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় শনি-রবিবার ছোট পর্দার সামনে?
ডোনা: পুরোটা কি আর দেখবে? কী জানি! কিছুটা তো দেখবেই। আমি কেমন করেছি, এই কৌতূহলে। তার পর বলবে, এটা করতে হতো। ওটা করতে হতো। এটা এ রকম নয়, ও রকম। পরামর্শও দেবে।
প্রশ্ন: এই প্রথম এ ভাবে কোনও রিয়্যালিটি শো-এ ক্যামেরার মুখোমুখি?
ডোনা: না না! বহু বছর আগে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত একটি রিয়্যালিটি শো প্রযোজনা করতেন। সেখানে এক বার বিচারক হয়ে গিয়েছিলাম। এ ছাড়া, ‘ডান্স বাংলা ডান্স’-এও এক বার অতিথি বিচারক হয়েছিলাম। সেই শো-তেও তখন দেব বিচারক। এ ছাড়া, ‘দাদাগিরি’-তে প্রতিযোগী হিসেবে অংশ নিয়েছি। এই অংশগ্রহণ আবার অনেক বছর পরে।
প্রশ্ন: কেমন লাগল?
ডোনা: বেশ লেগেছে। পাঁচ-ছয় বছরের বাচ্চাদের কী প্রতিভা! দুর্দান্ত নাচছে। ঠিকমতো প্রশিক্ষণ পেলে ওরা সত্যিই দেশের মুখ উজ্জ্বল করবে। তা ছাড়া, শ্যুটের ফাঁকে বেশ আড্ডা দিয়েছি। দেব-রুক্মিণী-মনামীকে তো আগে থেকেই চিনি। হইহই করতে করতেই দিনটা কেটে গিয়েছে। তবে আরও একটা জিনিস মনে হয়েছে...। বলি?
প্রশ্ন: অবশ্যই...
ডোনা: আমার জন্য নাচের মঞ্চই উপযুক্ত। ভাগ্যিস, একটি পর্বে ছিলাম। নইলে ঝাড়াই-বাছাই করে বাদ দেওয়ার পর্বেও থাকতে হত। অত টুকু বাচ্চারা কত কষ্ট করে পারফর্ম করছে। সামান্য একটু ভুলের জন্য বাদ পড়ে যাবে? আমার পক্ষে এটা মেনে নেওয়া খুবই কষ্টের। তাই এই একটা পর্বের জন্য উপস্থিতিটাই ঠিকঠাক (বলতে বলতেই হাসি)।
প্রশ্ন: ডোনার মাতৃসত্ত্বা কি তা হলে ‘বিচারক ডোনা’কে ছাপিয়ে গেল?
ডোনা: (একটু ভেবে)বলতে পারেন। হয়তো বা তাই-ই।
প্রশ্ন: আর ওড়িশি নৃত্যশিল্পীর কনটেম্পোরারি বা ফিল্মি নাচ কেমন লাগল?
ডোনা: সত্যি বলি? নাচের পাশাপাশি ওদের অ্যারোবিক্সও দেখার মতো। এ একে ছুঁড়ছে। ও তাকে। খুব কঠিন অভ্যাস না থাকলে করা যায় না। পুরোটাই টিমওয়র্ক। আমি শ্যুটের ফাঁকে ওদের সঙ্গে কথা বলতাম। তখন জিজ্ঞেস করেছিলাম, কিসের উপরে ওরা এই অভ্যেস করে? প্রতিযোগিরা জানিয়েছিল, বড় ফোমের গদি দিয়ে দেওয়া হয়। যাতে কারও কোনও আঘাত না লাগে।
প্রশ্ন: তা হলে তো এত ছোট বাচ্চাদের দিয়ে এই ধরনের বিশেষ নাচ বা প্রশিক্ষক ঝুঁকির?
ডোনা: তা কেন! নিয়মিত অভ্যেস করলে সব হয়ে যায়। ওরা তো করছে। পারছেও। আমার বেশ লেগেছে দেখতে। এগুলো নাচের মধ্যে এক ধরনের চমক। বলতে পারেন, ট্যুইস্ট। যেটা নাচকে আরও সুন্দর করে। ওদের দেখতে দেখতে আরও একটা কথা মনে হল। ভারত সরকার অলিম্পিক্সের জন্য ওদের যদি নিয়মিত এই প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে, ওরা সোনা আনবেই।
প্রশ্ন: তা হলে সব রিয়্যালিটি শো-ই লোক ঠকানো নয়? এখান থেকেও প্রতিভা উঠে আসতে পারে?
ডোনা: অবশ্যই পারে। যাঁরা প্রথম ১০ বা ১৫-র মধ্যে থাকেন তাঁরা তো নিজের প্রতিভাতেই ওই জায়গায় পৌঁছেছেন। এই অভ্যেস ধরে রাখতে পারলে, ওঁরা আগামিতে নিজেদের প্রমাণ করতে পারবেন। আমার তাই আন্তরিক অনুরোধ, যাঁদের এত প্রতিভা তাঁরা কষ্ট করে নাচ ধরে রাখুন। এক দিন ঠিক ফল ফলবে। হয়তো হাতেগরম ফল পাবেন না। কে বলতে পারে, আপনিই হয়তো ভবিষ্যতে নাচের অনুষ্ঠান করে দেশকে সম্মান এনে দেবেন।
প্রশ্ন: ডোনাকে কোনও দিন বিশেষ ধারার নাচে দেখা যাবে?
ডোনা: আমি আমার ওড়িশি নাচের বাইরে আর কিচ্ছু জানি না। ওখানে বাতিল হয়ে যাওয়ার ভয় নেই। বাতিল করে দেওয়ারও রাস্তা নেই। বহু সংখ্যক দর্শকের সামনে নিজের দল নিয়ে অনুষ্ঠান। তাঁদের বাহবা কুড়নো। এর একটা আলাদা আমেজ। এ সব কথায় বলে বোঝাতে পারব না।
প্রশ্ন: কোনও দিন ‘দাদা’র মতো ‘সঞ্চালক’ও না?
ডোনা: (জোর গলায়) কোনও দিন না। ওই যে বললাম, মঞ্চ, নৃত্যশিল্পী হওয়ার মর্যাদাই আলাদা। অনেকেই জানেন না, এক জন নৃত্যশিল্পীর বয়স যত বাড়ে ততই তাঁর মর্যাদা, সম্মান বাড়তে থাকে। খেজুরাহ নৃত্য উৎসবে তো ৪০ বছর না হলে একক নাচের সুযোগই নেই! তাই যত দিন আমরা সুস্থ তত দিন আমাদের নাচ। তাই সব ধরনের নৃত্যশিল্পীদের প্রতি পরামর্শ, শরীরের যত্ন নিন। নাচকে ভালবাসুন। কম বয়সে নাচের প্রতি নিবেদিতপ্রাণ থাকুন। নাচই আপনাকে পরে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
প্রশ্ন: ‘দাদা’র সঞ্চালনা দেখেও ইচ্ছে করে না!
ডোনা: (একটু থেমে) ‘মহারাজ’ তো এখন খেলার দুনিয়ায় নেই। ও নিজেকে তাই নানা দিকে ছড়িয়ে দিতে পেরেছে। তার মধ্যে সঞ্চালনা অন্যতম। ওই ভূমিকাতেও ও এতটাই সফল যে এখন কেউ আর সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে ছাড়া ‘দাদাগিরি’র কথা ভাবতে পারে না। আমার সঙ্গে এখনও নাচ আছে। ওর এই সঞ্চালনার দৌলতে আমার কী পরিচয় জানেন? বছর পাঁচেকের এক পুঁচকে নাকি বলেছে, ‘দাদাগিরির আন্টি’ আমি! অর্থাৎ, ‘দাদাগিরি’র ‘দাদা’র বৌ। নতুন পরিচয়ে আমি খুব খুশি (হো হো হাসি)
প্রশ্ন: অর্থাৎ, এক পর্বের অতিথি বিচারক হয়ে আবারও শুভঙ্কর চট্টোপাধ্যায়ের শো-তেই?
ডোনা: (হেসে ফেলে) তা কেন? আমার আর রিয়্যালিটি শো-এর সময় মিললেই ভাল অনুষ্ঠানে আবার অংশ নিতে পারি।
আরও পড়ুন-বডি হাগিং পোশাকে সুডৌল স্তনের একাংশই উন্মুক্ত, মনোক্রমে উষ্ণতার পারদ চড়ালেন জাহ্নবী
আরও পড়ুন-সেক্সি টোনড ফিগারে সিজলিং হট নুসরত, সাংসদ অভিনেত্রীর বুকের ট্যাটুতে চোখ আটকে ভক্তদের
আরও পড়ুন-চোখের পলকে কেটে গেল বলিউডে দশ বছর,বিশেষ দিনে আবেগঘন পোস্ট 'মম টু বি' আলিয়ার