সংক্ষিপ্ত

  • শর্বরী দত্তের তদন্তের দাবিতে পুলিশের দ্বারস্থ হলেন ঘনিষ্ঠমহল তথা বন্ধুরা
  • গত শুক্রবার লালবাজারে গিয়ে আবেদন জানান ঘনিষ্ঠ বন্ধুরা
  • দীর্ঘদিন ধরেই শর্বরীদেবীর উপর মানসিক নির্যাতন চলছিল
  • অস্বাভাবিক মৃত্যুর তদন্ত চালানোর আবেদন জানিয়েছেন শর্বরীর ঘনিষ্ঠমহল

ফ্যাশন জগতের উজ্জ্বল নক্ষত্র শর্বরী দত্ত আজ আর নেই। তার প্রয়াণে শোকের ছায়া নেমে এসেছে গোটা ইন্ডাস্ট্রিতে। আচমকা রহস্যজনক মৃত্যু নিয়ে নানা মুনির নানা মত। ফ্যাশন ডিজাইনার শর্বরী দত্তের মৃত্যুর পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবিতে পুলিশের দ্বারস্থ হলেন তার ঘনিষ্ঠমহল তথা বন্ধুরা। গত শুক্রবার লালবাজারে গিয়ে আবেদন জানান ঘনিষ্ঠ বন্ধুরা। ডিজাইনার শর্বরীর ময়নাতদন্তের রিপোর্টে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের উল্লেখ থাকলেও অস্বাভাবিক মৃত্যুর তদন্ত চালানোর আবেদন জানিয়েছেন শর্বরীর ঘনিষ্ঠমহল।

আরও পড়ুন-'গলা টিপেই খুন করা হয়েছিল সুশান্তকে', চাঞ্চল্যকর দাবিতে মুখ খুললেন ফরেন্সিক টিম প্রধান...

সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, শর্বরী দত্তের বন্ধুরা লালবাজারে পুলিশকে জানান, দীর্ঘদিন ধরেই শর্বরীদেবীর উপর মানসিক নির্যাতন চলছিল। বিশেষত ছেলে অমলিন দত্ত ও পুত্রবধুর বিরুদ্ধেই অভিযোগের তির রয়েছে। ঘনিষ্ঠরা আরও জানিয়েছেন, ছেলে ও পুত্রবধূর আচরণেই নাকি মানসিকভাবে  বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন শর্বরী দেবী।  এবং সেই কারণেই নাকি তাকে নানারকম ওষুধ খেতে হয়েছিল। 


আসলে এই অস্বাভাবিক মৃত্যুটা এখনও যেন কেউই হজম করতে পারছেনা। পারারও কথা নয়, এহেন একজন ফ্যাশন আইকন যারা ফ্যাশনের ছোঁয়ায় বলি-টলি সকলেই সেজে উঠেছে, তিনি আর নেই। সত্যিই যেন মড়ক লেগেছে এই বছরটাতে। শর্বরী দত্ত মানেই চোখের নীচে মোটা কাজল, গলায়-কানে ভারী গয়না, আঙুল গুলি সুসজ্জিত নানা ডিজাইনের আংটি দিয়ে। এই জলজ্যান্ত চেহারাটাই যেন চোখের সামনে বাড়ে বাড়ে ফিরে আসছে। মৃত্যুর পর নানা জল্পনা ক্রমশ যেন গাঢ় হচ্ছে। গত ১৮ সেপ্টেম্বর গভীর রাতেই শৌচাগার থেকে তার দেহ উদ্ধার হয়।  তার এই অস্বাভাবিক মৃত্য নিয়ে জল্পনা ক্রমশ বাড়ছে। শর্বরী দত্তের ছেলে জানিয়েছেন,  সারাদিন মায়ের সঙ্গে কোনও দেখা হয়নি। এবং ১৬ তারিখও তিনি বাড়ির বাইরেই ছিলেন। ১৬ তারিখ লাস্ট ডিনারে মায়ের সঙ্গে দেখা। তারপরেই এই ঘটনা। ১৭ তারিখ বাথরুমে নিথর দেহ দেখতে পেয়েই  পারিবারিক বন্ধু তথা অর্থপেডিক সার্জেন অমল ভট্টাচার্যকে খবর দেন তারা। দীর্ঘদিন ধরেই অনেক রকমের ওষুধ খেতেন শর্বরী দত্ত। তবে চিকিৎসক জানিয়েছেন,বাথরুমে তার দেহের পাশে রক্ত পড়ে ছিল। তবে দেহ কতক্ষণ সেখানে পড়ে ছিল তা জানা যায়নি। এবং সেই দেহও তিনি ছুঁয়ে দেখেননি। শুধু তাই নয়, কানের পাশেও একটি ক্ষতচিহ্ন রয়েছে বলেও জানিয়েছন চিকিৎসক। তবে ডাক্তারের মন্তব্যে শর্বরীর পূত্রবধুর দাবি, তিনি দীর্ঘদিন ধরে হরমোনের ওষুধ খাচ্ছিলেন, যার জন্য পিরিয়ড-এর মতো তার রক্ত বেরোত। বাথরুমে পড়ে থাকার রক্ত সেটাই বলে দাবি পূত্রবধুর।