সংক্ষিপ্ত

  • নন্দিতা রায় এবং শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের 'কন্ঠ' ছবির দ্বারা অনুপ্রাণিত কর্ণাটক সরকার
  • ল্যারিনজেকটমি ক্লাব লঞ্চ হতে চলেছে বেঙ্গালুরুতে
  • শব্দযন্ত্র হারিয়ে যাওয়া মানুষদের জন্য কলকাতায় তৈরি হয়েছিল এই ক্লাব
  • বাংলা সিনেমার গর্বের দিনটি ভাগ করে নিলেন শিবপ্রসাদ  

থ্রোট ক্যান্সার এবং বিভিন্ন কারণে প্রত্যেক বছর শব্দযন্ত্র হারিয়ে বসে একাধিক মানুষ। সেই মানুষদের থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে পরিচালক শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় এবং নন্দিতা রায় তৈরি করেছিলেন 'কন্ঠ' ছবি। প্রধান ভূমিকায় ছিলেন শিবপ্রসাদ, পাওলি দাম এবং জয়া এহসান। কন্ঠ ছবির কথা স্মরণে রেখে ল্যারিনজেকটমি ক্লাব তৈরি হয়েছিল কলকাতায়। শব্দযন্ত্র হারিয়ে ফেলা মানুষগুলি এই ক্লাবটির দ্বারা সাহায্য পেয়েছে। সেই ক্লাবই এবার কর্ণাটক সরকারের উদ্যোগে খুলতে চলেছে বেঙ্গালুরুতে। 

আরও পড়ুনঃশ্যুটিংয়ের ক্যামেরা বন্ধ হতেই এ কী শুরু করলেন মিমি-জিৎ, লজ্জায় রাঙা হলেন সাংসদ-নায়িকা

কর্ণাটক সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে নিজের বক্তব্য পেশ করেছেন শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। পরিচালক তথা অভিনেতা জানান, "বাংলা সিনেমার জন্য এটা একটা গর্বের দিন। ল্যারিনজেকটমি ক্লাবটির নাম 'কন্ঠ ক্লাব'। এই ক্লাবের অন্তর্গত হয়ে ল্যারিনজেকটমি রোগীরা সমস্ত রকমের সুযোগ সুবিধা পাবেন। ডাক্তার, স্পিচ থেরাপিস্টের সাহায্য পাবেন। কেবল এই সাহায্যই নয়, নিজেদের অভিজ্ঞতা অন্যান্য রোগীদের সঙ্গে ভাগ করে নিতে পারবেন। এক হয়ে লড়াই করার জায়গা তৈরি হবে। কন্ঠ ক্লাব এমনই একটা জায়গা।"

ল্যারিনজেকটমি রোগীদের জন্য নানা ধরণের খেলা হয়, যার মাধ্যমে তারা দৈনন্দিন জীবনে একাধিক সুবিধা পাবেন। নিজেদের প্রতিবন্ধকতা অবশেষে শিকার করে এগিয়ে যেতে পারবেন সেই সকল রোগীরা। এই গর্বের বিষয়টি শিবপ্রসাদ ভাগ করে নিয়েছেন সকলের সঙ্গে। নিজের আনন্দ, গর্ব ব্যক্ত করেছেন। তিনি আরও জানান, পশ্চিমবঙ্গের মানুষ পাশে না থাকলে কন্ঠ ছবিটি তৈরি হত না। বাণিজ্যিকভাবেও ছবিটি সফল হত না। ল্যারিনজেকটমি ক্লাব আজ 'কন্ঠ ক্লাব' হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে কেবল বাংলার মানুষদের জন্য যারা বাংলা ছবিকে ভালবাসা দিয়েছেন।