সংক্ষিপ্ত
বিয়ের পরিণতি অনেক সময়ই ডিভোর্সের দুঃস্বপ্ন ডেকে আনে। সেটা সাধারণ মানুষের ক্ষেত্রে হলে, সময়ে পরতে চাপা পড়ে যায়। কিন্তু এটা যদি ঘটে সেলেব্রিটিদের ক্ষেত্রে?
প্রেমের পরিণতি বিয়ে, আর বিয়ের পরিণতি? সুখের সংসার? সব সময় স্বপ্ন সত্যি হয়না। বিয়ের পরিণতি অনেক সময়ই ডিভোর্সের দুঃস্বপ্ন ডেকে আনে। সেটা সাধারণ মানুষের ক্ষেত্রে হলে, সময়ে পরতে চাপা পড়ে যায়। কিন্তু এটা যদি ঘটে সেলেব্রিটিদের ক্ষেত্রে? তবে? তবে সময় সেই ঘটনা চাপা দিতে পারলেও, দর্শকদের আলোচনায় উঠে আসে ছাইচাপা সেই বিতর্কিত সম্পর্কগুলো। আজ এমনই পাঁচ টলিউড কাঁপানো জুটির কথা বলব, যারা দীর্ঘদিনের প্রেমের পর বিয়ে করলেও, পরিণতি ছিল ডিভোর্স।
১. প্রসেনজিৎ-দেবশ্রী : এককালের টলিউড ইন্ডাস্ট্রির জনপ্রিয় জুটি ছিলেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় ও দেবশ্রী রায়। রক্তে লেখা, শ্রদ্ধাঞ্জলির মতো একের পর এক হিট ছবি উপহার দিয়েছেন দুজনে। সিনেমায় ভালোবাসার অভিনয় করতে করতে বাস্তবেও প্রেমে পড়ে যান তারা। ১৯৯২ সালে তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। কিন্তু সে বিয়ে টেকেনি। বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েও টেকেনি দীর্ঘকালীন সংসার। বিয়ের ৩ বছরের মাথায় ডিভোর্স হয়ে যায়।
২. স্বস্তিকা-প্রমিত : সর্বদা বিতর্কের শিরোনামে রয়েছেন টলিপাড়ার জনপ্রিয় অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখার্জি। প্রয়াত অভিনেতা শন্তু মুখোপাধ্যায়ের মেয়ে তিনি। ১৯৯৮ সালে বিখ্যাত রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী সাগর সেনের ছেলে প্রমিত সেনকে বিয়ে করেন স্বস্তিকা। কিন্তু সেই বিয়ে টেকেনি। দুবছরের মাথায় স্বামীর বিরুদ্ধে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ সহ বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা করেছিলেন অভিনেত্রী। ঘটনাচক্রে মাত্র দু'বছর এই বিবাহবন্ধনের সুখ উপভোগ করেছিলেন।
৩. রচনা-সিদ্ধান্ত : বাংলা ছাড়াও রচনা ওড়িয়া, হিন্দি, তামিল, তেলেগু বহু ভাষার ছবিতে কাজ করেছেন। ওড়িয়া ছবিতে কাজ করার সময় অভিনেতা সিদ্ধান্ত মহাপাত্রের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ২০০৪ সালে বিয়ে করেন তারা। কিন্তু বছর ঘুরতে না ঘুরতেই ডিভোর্স হয়ে যায় তাদের।
৪. শ্রাবন্তী-রাজীব : টলিউডের অন্যতম চর্চিত নায়িকা শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়। অভিনয়ের পাশাপাশি ব্যক্তিগত জীবনের জন্য সর্বদাই লাইমলাইটে রয়েছেন অভিনেত্রী। শ্রাবন্তীর প্রেমিকের সংখ্যা যেন দিন দিন বেড়েই চলেছে। কিন্তু কোনও প্রেমিককেই নিজের কাছে বেশিদিন ধরে রাখতে পারছেন না নায়িকা। এত কিছুর পরেও বিয়ের উপর গভীর আস্থা রয়েছে শ্রাবন্তীর। তবে রিলেশনে যাওয়ার আগে ১০ বার ভাবার কথা শোনা গেছে অভিনেত্রীর মুখে। টলিপাড়ার কন্ট্রোভার্সি কুইন বললে খুব একটা ভুল হবে না। এই অভিনেত্রী প্রথম বিয়ে করেছিলেন ১৫ বছর বয়সে। পরিচালক রাজীব বিশ্বাসের সঙ্গে ১১ বছর সংসার করার পর সেই সম্পর্কে ইতি টেনে ছিলেন অভিনেত্রী। তাদের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে, সে শ্রাবন্তীর সঙ্গে থাকে।
৫. রাহুল-প্রিয়াঙ্কা : একসময় টলিউডের কিউট জুটি ছিলেন রাহুল এবং প্রিয়াঙ্কা। সিরিয়াল দিয়ে কেরিয়ার শুরু করেন দুজনেই। এরপর একসঙ্গে রাজ চক্রবর্তীর ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’ ছবির হাত ধরে বড় পর্দায় আত্মপ্রকাশ। দর্শকদের কাছে এই জুটি বেশ প্রশংসা পেয়েছিল। রিল লাইফের প্রেম পরিণতি পেয়েছিল রিয়েলে। কিন্তু বিয়ে হলেও তা টেকেনি। তাদের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। ছেলে ‘সহজের’ কথা মাথায় রেখে বন্ধুত্বের সম্পর্ক বজায় রেখেছেন দুজনে। সম্পর্কের জল্পনা যতই গড়াক, আজও টলিউডের দর্শকেরা এই জুটিকেই চায়। মাঝে একবার রাহুলের ইনস্টাগ্রামে ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’ সিনেমার একটি পুরনো ছবি শেয়ার করেন রাহুল। তখন থেকেই তাঁদের সম্পর্ক নিয়ে জল্পনা শুরু হয়।