সংক্ষিপ্ত

  • দিনে দিনে বাড়ছে নারীদের প্রতি অত্যাচার
  • হাথরস ধর্ষণকাণ্ড নিয়ে উত্তপ্ত গোটা দেশ
  • নারীদের মা হিসাবে সম্মান করলে এই অমর্যাদা কীসের
  • হাথরস নিয়ে কি এবার প্রশ্ন তুললেন মিমি

হাথরস নিয়ে এবার কি মুখ খুললেন মিমি চক্রবর্তী। এমনই আভাস পাওয়া গেল তেমনই আভাস। প্রশ্ন ছুঁড়লেন মিমি। নারীদের মা হিসাবে মেনেও কেন তাদের অমার্যাদা করা হয়। কেন প্রাপ্য সম্মান দেওয়া হয় না তাদের। হাথরস ধর্ষণকাণ্ডের পরই এমন পোস্ট করলেন মিমি। নারীদের উপর অত্যাচার ক্রমশ বেড়ে যাওয়ায় তাঁর সমসাময়িক অভিনেত্রী তথা সাংসদ নুসরত জাহানও সম্প্রতি হাথরস ধর্ষণকাণ্ড নিয়ে মুখ খুলেছেন। তার আগে সোহম চক্রবর্তীও নরেন্দ্র মোদীকে কটাক্ষ করেছেন। দলিত এবং দেশের মহিলাদের প্রতি হওয়া অত্যাচারের জন্য দায়ী একমাত্র নরেন্দ্র মোদী। এমনটাই দাবি করে বসেছিলেন অভিনেত্রী সাংসদ নুসরত জাহান। তাঁর টুইট নিয়ে শোরগোল পড়েছিল নেটদুনিয়া। টুইটারে সম্বিত পাত্রের টুইটের পরই জবাব দিয়েছিলেন নুসরত। নুসরতের পর মুখ খোলেন সোহম চক্রবর্তী। 

যোগী আদিত্যনাথ এবং নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে সরব হলেন টুইটারে। ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেন, কেন নিহতের পরিবারকে আটকে রাখা হল। প্রশ্ন তুললেন সোহম। সোহম লেখেন, "কেন যোগী পুলিশ আটকালো নিহতের পরিবারকে। কেন ওরা দলিত বলে। আপনার চোখে ওনারা মানুষ নন। আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নরেন্দ্র মোদূর অত্যাচারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ লড়তে থাকবেন।" তিনি আরও লেখেন, "নিজের মেয়ের শেষকৃত্যে থাকতে দেওয়া হয়নি হাথরসের পরিবারকে। নরেন্দ্র মোদী আর কতটা নিচে নামবেন।" প্রসঙ্গত, সম্প্রতি সম্বিত পাত্র টুইটারে লিখেছিলেন, "উত্তরপ্রদেশে এসব কী ঘটে চলেছে। প্রতিটি জায়গায় ধর্ষণের খবর। আর সহ্য করা যাচ্ছে না।" এই টুইটের জবাবে নুসরত লেখেন, "অবশেষে কেউ তো সাংঘাতিক সত্য স্বীকার করল। 

 

View post on Instagram
 

 

আপনি কেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে, দলিত এবং দেশের মহিলাদের বিরুদ্ধে হওয়া অবিচার, অপরাধের জন্য দায়ী করছেন না। নিজের গুরুকে প্রশ্ন করতে কোথায় নিষেধাজ্ঞা রয়েছে আপনার।" নুসরতের এই টুইট যে কোনও বিস্ফোরনের চেয়ে কোনও অংশ কম নয় তা টুইটারে শুরু হওয়া যুদ্ধের থেকে প্রমাণিত। ইতিমধ্যেই বিজেপি ভক্তরা তেড়ে ওঠে নুসরতের দিকে। বাংলায় হওয়া ধর্ষণের ঘটনাগুলি নিয়ে তাঁকে কটাক্ষ করা শুরু হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। নেটিজেনদের কথায়, "আপনি কেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দোষারোপ করছেন না বাংলার বিজেপি কর্মীদের উপর হওয়া অত্যাচারের জন্য।" বাংলায় হওয়া অপরাধ এবং ধর্ষণের উপর তাঁকে নজর রাখতে উপদেশ দিয়ে চলেছে তৃণমূল বিরোধীরা।