সংক্ষিপ্ত
- সিএএ, এনআরসি নিয়ে হিংসায় জ্বলছে দিল্লি
- রবীন্দ্র থেকে নজরুল, হিন্দু থেকে মুসলমান ,সকলের কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন অভিনেত্রী মিমি
- ইতিমধ্যেই ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে
- শান্তি ফেরাতে গ্রাউন্ড জিরোয় দাঁড়িয়ে পুলিশ
দিল্লি জ্বলছে। আর তার আঁচ এসে পড়েছে সারা বিশ্ব। প্রতিবাদ চলছে, চলবে। পরিস্থিতি ক্রমশ যেন জটিল হচ্ছে। ছাত্র থেকে নাগরিক, শিল্পীসমাজ প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছে। এমনকী আক্রান্তরাও থেমে নেই। তারাও প্রকাশ্য রাস্তায় বেরিয়ে এসেছে। নাগরিকত্ব, নাগরিকপঞ্জি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই নানা তরজা চলে আসছে। এনআরসি, সিএএ নিয়ে ফের অগ্নিগর্ভ দিল্লি। একের পর এক টুইটে ভরে যাচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ার পাতা। সিএএ, এনআরসি নিয়ে সরব হয়েছিলেন প্রত্যেকেই। বুদ্ধিজীবি মহলের একাংশ এই নিয়ে আওয়াজ তুললেও শেষমেষ কোনও লাভ হয়নি। বলিউডেও অনুরাগ থেকে স্বরা আওয়াজ তুললেও সেখানেও একই অবস্থা। বাদ পড়েনি টলিউড। সৃজিত, পরমব্রত, অনির্বাণ, মিমি, নুসরত প্রত্যেকেই মুখ খুলেছেন।
নাগরিকত্ব, নাগরিকপঞ্জি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই নানা তরজা চলে আসছে। এনআরসি, সিএএ নিয়ে ফের অগ্নিগর্ভ দিল্লি। কয়েকদিন ধরেই সকাল থেকে দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে বাধে। ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে পাথরবৃষ্টি। মোটরসাইকেল থেকে বিভিন্ন জিনিস জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশের ব়্যাপিড ফোর্স আসে ঘটনাস্থালে। এছাড়া উদ্ধার করা হয় কার্তুজের খোলাও। উত্তপ্ত এই পরিস্থিতিতে রবিঠাকুরেই ভরসা রেখেছেন পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়। নুসরত জানিয়েছেন, 'আমাদের দেশ জ্বলছে, দয়া করে ভুয়ো খবর, ঘৃণা, গুজব ছড়াবেন না '। দিল্লির এই উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে শান্তির বার্তা দিলেন টলি অভিনেত্রী তথা সাংসদ নুসরত জাহান। বাদ পড়েননি টলি অভিনেত্রী তথা সাংসদ মিমি চক্রবর্তী। রবীন্দ্র থেকে নজরুল, হিন্দু থেকে মুসলমান , রাম থেকে রহিম সকলের কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন অভিনেত্রী।
আরও পড়ুন-বিকিনি পরে যোগাসনে পোজ, সমুদ্রের পাড়ে উষ্ণতা মাখানো ছবি পোস্ট করে ভাইরাল এই অভিনেত্রী...
মিমি জানিয়েছেন, 'আজ ভালো হয়েছে কবি গুরু তুমি বেঁচে নেই ...আজ ভালো হয়েছে কবি নজরুল ইসলাম তুমি বেঁচে নেই...কারণ মোরা একই বৃন্তে দুটি কুসুম হিন্দু মুসলমান আর নই , মোরা রাম আর রহিম ভাই ভাই আর নই ...যেটা আমরা এখন... সেটা আর যাই হোক মানুষ আর নই ...'।
আরও পড়ুন-টাইগারের ছবিতে আবারও দিশা, অন্তর্বাসে ডান্স ফ্লোরে ঝড় তুললেন অভিনেত্রী...
শেষ কয়েকদিনের মধ্যে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৪। উত্তপ্ত এই পরিস্থিতি আনতে ভার দেওয়া হয়েছে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। সিএএ, এনআরসি নিয়ে সরব হয়েছিলেন প্রত্যেকেই। অশান্ত দিল্লিতে শান্তির বার্তা দিয়ে টুইট করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শান্তি ও একতা বজায় রাখা আমাদের প্রধান কর্তব্য। দিল্লির বিভিন্ন জায়গায় পরিস্থিতি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। শান্তি ফেরাতে গ্রাউন্ড জিরোয় দাঁড়িয়ে পুলিশ। ইতিমধ্যেই ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। বন্ধ রাখা হয়েছে একাধিক স্কুল। এমনকী সংঘর্ষ চরম আকার ধারণ করায় মেট্রো স্টেশনও বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ। আর কতদিন ধরে চলবে এই অবস্থা তা কারোরই জানা নেই। ঘটনার উদ্বেগ প্রকাশ করে বিনোদন জগতের একাংশরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। প্রতিবাদ ক্রমশ বেড়েই চলেছে।