সংক্ষিপ্ত
- পিরিয়ড কী, প্রশ্নের মুখে সমাজ
- মহিলা পুরোহিত পাঁচ দিন কীভাবে পুজো দেন
- ছবির প্রেক্ষাপটে থাকা প্রশ্ন এবার বাস্তবে
- এখনও পিরিয়ড নিয়ে স্বচ্ছ ধারনার অভাব
মাসের ওই পাঁচদিন, নিত্য পুজো করেন কী করে পুরুতমশাই- ছবির ট্রেলার সমাজের প্রথম শ্রেণীর স্বনামধন্য পুরুত ঠাকুর প্রশ্ন ছুঁরে দেন এক মহিলা পুরোহিতের দিকে। মাসের ওই পাঁচটা দিন, মেয়েদের জীবনে বদল ঘটায় অনেক কিছুর, বঞ্চনা, লাঞ্ছনা এমন কী বিভিন্ন আচার অনুষ্ঠান থেকে ব্রাত্য হওয়া, তালিকায় থেকে যায় আরও না জানা আচার বিচার। তবে বর্তমানে সমাজ পাল্টেছে।
আরও পড়ুন-মিথিলার বিয়ের মাস দুয়েক পেরোতেই গাটছড়া বাঁধতে চলেছেন প্রাক্তন স্বামী তাহসান
বাস্তবে ছেলে মেয়ে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে বিশ্বজয়ে পা বাড়াচ্ছে । তবে মধ্যের অন্তরায় এখনো কোথাও না কোথাও মাসের এই পাঁচটা দিন। কী বলছে সমাজ! সম্প্রতি এমনই এক
প্রশ্নের মুখোমুখি সাধারণ মানুষকে দাঁড় করিয়েছিল ব্রহ্মা জানে গোপন কম্মটি ছবির সদস্যরা। শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় ও নন্দিতা রায় পরিচালিত এই ছবি এক ছকভাঙা গল্প বলতে চলেছে দর্শকদের।
আরও পড়ুন-কাজের ফাঁকে সোলো ট্রিপ, পাখির মতোন আকাশে উড়ান মধুমিতার
ছবির মূলে রয়েছেন ঋতাভরী চক্রবর্তী। এক মহিলা পুরোহিতের ভূমিকাতে অভিনয় করবেন তিনি। সেখানেই তাঁকে এমনই কিছু প্রশ্নের মুখোমুখি দাঁড়াতে হয় যা বাস্তবে খুব পরিচিত। সেই প্রশ্নের উত্তরে সাধারণ মানুষ কী ভাবে! কী এই পিরিয়ড! উত্তর আসে- এই সময় আমরা শুদ্ধ নই, আমরা মনে করি এই সময়টা ঠাকুরের কাছে না যাওয়াই উচিত, এটা মেয়েদের মাসে মাসে হয়, আমি উত্তর দিতে স্বাচ্ছন্দ বোধ করছি না, আমি তো এটাকে শরীর খারাপ বলেই জেনে এসেছি।
আরও পড়ুুন-পরণে গ্লিটারস লং ড্রেস, উত্তাল নাচে ভাইরাল অপরাজিতা
পাশাপাশি নতুন প্রজন্মের মুখে উঠে আসে অন্য কথা। কেই বলে কুসংস্কার, কেউ আবার সমাজ বদলানোর কথাও বলে ওঠে। আবার কেউ বাস্তটা বুজেও সমাজের নিয়ম নীতি হিসেবে মেনে নিতে বাধ্য হয়। মেয়েদের পিরিয়ড কী, তা নিয়ে মানুষের মধ্যে এখনও স্বচ্ছ ধারনার অভাব। ফলে চিত্রবদলের গল্প বা এই ছবি বাস্তব পরিপ্রেক্ষিতে ভিষণ রকমের প্রসঙ্গিক।