সংক্ষিপ্ত
এই ছবি চিরদিনের হতে পারে না? রাহুলের কাছে জানতে চেয়েছিল এশিয়ানেট নিউজ বাংলা। অভিনেতার কথায়, ‘‘সন্তানের জন্য আমরা সব সময়েই এক সঙ্গে।’’
২০২২-এর দীপাবলি গুনে গুনে গোল খেল রাহুল অরুণোদয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। সোমবার রাতের কয়েকটি ছবির পরেই মঙ্গলবার দুপুরের একটি ফেসবুক পোস্ট ভাইরাল। ছবিজুড়ে রাহুল, ছেলে সহজ, মা প্রিয়াঙ্কা সরকার! তিন মাথা এক সঙ্গে ছাদে বাজি পোড়াচ্ছেন! রাহুল আর সহজের সরল হাসির কাছে কোথায় লাগে আতসবাজির রোশনাই? পাশে দাঁড়িয়ে মিটিমিটি হাসতে হাসতে নায়িকা উপভোগ করেছেন বাবা-ছেলের কাণ্ড। কখনও রংমশাল, কখনও বসন তুবড়ি তো কখনও চরকি— নানা বাজি তারকা পরিবারের ঝুলিতে। মনের সুখে সহজ সে সব একের পর এক পুড়িয়ে গিয়েছে। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই মঙ্গলবার দুপুরে আরও বড় বোমা। ফেসবুকে এক ফ্রেমে তাঁরা জ্বলজ্বল করছেন সপরিবারে। খাটের উপরে আরাম করে বসে। মা-বাবার মাঝখানে ছেলে পরম নিশ্চিন্ত। তিন জনের মুখেই অনাবিল হাসি।
এই ছবি চিরদিনের হতে পারে না? রাহুলের কাছে জানতে চেয়েছিল এশিয়ানেট নিউজ বাংলা। অভিনেতার কথায়, ‘‘সন্তানের জন্য আমরা সব সময়েই এক সঙ্গে। দীপাবলিতেও সেই ছবিই দেখলেন সবাই। সহজকে নিয়ে প্রিয়াঙ্কা এসেছিল। ওর জন্য বাজি কেনাই ছিল। প্রিয়াঙ্কাও নিয়ে এসেছিল। তা ছাড়া, ফ্ল্যাটের বাকি বাচ্চারা তো ছিলই। তাদের সবার সঙ্গে খুব বাজি পুড়িয়েছে ছেলে।’’ আরও জানিয়েছেন, এ দিন নানা জায়গায় ঘুরে প্রচুর মানুষের সঙ্গে সহজের বাজি পোড়ানোর পরিকল্পনা আগাম করা ছিল। প্রথমে নিজের বাড়ির পড়শির বাচ্চাদের সঙ্গে এক প্রস্থ বাজি পুড়িয়েছে। তার পর এসেছে বাবার কাছে। শেষে মায়ের সঙ্গে মায়ের মামার বাড়িতে।
ওখানে প্রিয়াঙ্কার এক মামাতো বোন সহজের বয়সী। মজার ব্যাপার, সম্পর্কে মাসি-বোনপো হলেও দু’জনেই সমবয়সী। ফলে, গাঢ় বন্ধুত্ব। যে কোনও পার্বণে দুই মাথা এক হবেই। তাই শেষে তার সঙ্গে বাজি পোড়ানোয় মেতে উঠেছিল সহজ। মা-বাবার সঙ্গে হই-হল্লা হল। খাওয়াদাওয়া? ধারাবাহিকের ‘বিক্রম’-এর কথায়, ‘‘প্রিয়াঙ্কা মামার বাড়িতে যাবে। তাই ওরা বসে খাওয়াদাওয়া করতে পারেনি। তবে বাজি পোড়াতে পোড়াতে অবশ্যই টুকটাক মুখ চলেছে আমাদের।’’ রাহুল নিজেও ছোট থেকে পাড়ার পুজোর সঙ্গে যুক্ত। এ দিনও সারা রাত তিনি মণ্ডপেই ছিলেন। সঙ্গী বন্ধুরা। তার আগে সারা দিন ধারাবাহিক ‘লালকুঠী’র শ্যুট করেছেন স্টুডিয়োয়। পরের দিন আবার ঠিক সময়ে সেটে হাজির! অভিনেতার মতে, দিনে কাজ, রাতে আনন্দ— এ ভাবে চললে জীবনে ভারসাম্য থাকে।