সংক্ষিপ্ত

অর্থই অনর্থের মূল। দেখাতে চলেছেন সায়নী ঘোষ, জয় সেনগুপ্ত। রিনো দত্তের আগামি ছবি ‘সিটি অফ জ্যাকেল’-এ। দারিদ্র্যের অভিশাপ থেকে মুক্তি পাবেন তাঁরা?

বস্তিতে থাকে হতদরিদ্র এক মিস্ত্রি। এটাই তার পেশা, তার নামও! এতটাই তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য তাকে নিয়ে যে, তার ভাল নাম জানারও ইচ্ছে নেই কারও! বস্তিতে, এলাকায় সে পেশার নামেই পরিচিত। ঘরে তার স্ত্রী নমিতা। রোজের জীবনে দারিদ্র্যের সঙ্গে লড়তে লড়তে ক্লান্ত দু’জনেই। কিন্তু বিলাসবহুল জীবন কাটানোর মতো অর্থ কখনও তাদের হাতে আসে না! ওঁদের হতাশা, দীর্ঘশ্বাস কি উপরওয়ালাকে ছুঁয়ে গিয়েছিল? হঠাৎই এক সকালে মিস্ত্রির হাতে রাশি রাশি টাকা! সে কোনও দিন একসঙ্গে এত টাকা দেখেননি। সংবাদমাধ্যমেও ভাইরাল তার এই আকস্মিক টাকা পাওয়ার ঘটনা।

খবর ছড়িয়েছে মিস্ত্রির বস্তি মহল্লায়, এলাকাতেও। যে অর্থের স্বপ্নে একটা সময় দিনরাত বিভোর থাকত মিস্ত্রি-নমিতা— সেই অর্থই অনর্থ হয়ে দাঁড়াল! রাশি রাশি টাকার উপরে যেন ঝাঁপিয়ে পড়তে চাইল শহরের একদল লোভী শেয়াল। নিজেদের মধ্যে খুনোখুনি, রক্তারক্তি কাণ্ড! মিস্ত্রি কি তার হঠাৎ পাওয়া টাকা সামলে রাখতে পারবে? এই গল্প নিয়েই পরিচালক সুজিত দত্ত (রিনো) আসছেন শহরের প্রেক্ষাগৃহে। ১৮ নভেম্বর মুক্তি পেতে চলেছে তাঁর প্রথম থ্রিলার ‘সিটি অফ জ্যাকেলস’। 

 

 

ছবিতে জয়-সায়নী ছাড়াও রয়েছেন শান্তিলাল মুখোপাধ্যায়, খরাজ মুখোপাধ্যায়, দেবপ্রসাদ হালদারের মতো দাপুটে অভিনেতারা। কলকাতা রাজবাড়িতে সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে ছবির অফিসিয়াল পোষ্টার ও টিজার। সেখানে উপস্থিত ছিলেন সায়নী-জয়। নিজেদের চরিত্র নিয়ে তাঁদের কী মত? নিম্নমধ্যবিত্ত ঘরের বৌয়েরা যেমন সাজেন এই ছবিতে ঠিক তেমনই সেজেছেন সায়নী। রাতপোশাকের উপরে ওড়না জড়ানো। হাতে মোটা মোটা শাঁখা-পলা। চুল তুলে খোঁপায় জড়ানো। সায়নীর কথায়, ‘‘রিনোর এটা প্রথম পরিচালনা। কিন্তু আমার চরিত্রকে বেশ সাবলীল ভাবেই এঁকেছেন। চরিত্রে বেশ কিছু স্তর। তাই অভিনয় করতে ভালই লেগেছে।’’ নিজের চরিত্র নিয়ে সন্তুষ্ট জয়ও। তাঁর মতে, ‘‘বাংলা ছবিতে বরাবর দুটো ভাগ। একটি বাণিজ্যিক। এই ধরনের ছবি শুধুই ব্যবসার কথা ভাবে। আর অন্যটি সমান্তরাল ছবি। যে সমাজে বার্তা পাঠানোর দিকটিও একই ভাবে খেয়াল রাখে। আমার চরিত্র, আমার আগামি ছবি সেই গোত্রে পড়ে।’’ ছবির প্রযোজনায় প্রার্থনা রিটেল প্রজেক্টস ও মুভি টুভি মিডিয়া প্রাইভেট লিমিটেড। পরিবেশনায় আর কে সিং ও আশিস মেহতা।