সংক্ষিপ্ত
- করোনার জেরে যৌলুস ছাড়াই বাণীবন্দনা
- পণ্ডিত তেজেন্দ্রনারায়ণ মজুমদারের বাড়িতে নিয়মমাফিক পুজো
- তবে থাকল না কোনও অতিথির প্রবেশ
- পরের বছর দ্বিগুণ উৎসবের আশা
সরস্বতী পুজো মানে তরুণ প্রজন্ম এক কথায় ঠিক যা যা বোঝে, সে সব কিছুই আয়োজন প্রতিবছর মহাসমারহে করা হয় পণ্ডিত তেজেন্দ্রনারায়ণ মজুমদারের বাড়িতে। হইচই করে প্রতিমা আনা থেকে শুরু করে পুজো-পাঠ। বাড়িতে সারাদিন ব্যাপী চলে মানুষের আনাগোনা। সঙ্গে ভোগ সহযোগে বসে যায় আড্ডার আসর। বিকেসে আবার ঘরোয়া জলসা। এই নিয়েই সাজানো থাকে প্রতিবছরের সরস্বতী পুজোর মেনু। তবে চলতি বছে সেই চেনা রঙ আর ধরা পড়ল না পণ্ডিত তেজেন্দ্রনারায়ণের বাড়িতে।
আরও পড়ুন- মাথায় মুকুট, হাতে উঠল বীণা, বাগদেবীর আরাধনায় সরস্বতীর সাজে নয়া চমক ঋতুর
করোনাবিধির কথা মাথায় রেখেই পণ্ডিত তেজেন্দ্রনারায়ণের সিদ্ধান্তে এবার শুধুই হল দেবী বন্দনা। করোনা কালে বাড়ি ভর্তি অতিথিদের আপ্যায়ন করা সম্ভবপর নয়। সেই দিকে নজর দিয়েই পণ্ডিত এভাব স্থির করেছিলেন, চলতি বছরের সেলিব্রেশনটা তোলাই থাক। তাঁর পুত্র ইন্দ্রায়ুদ মজুমদার সেই মর্মেই সোশ্যাল মিডিয়ায় সোমবার সকলের উদ্দেশ্যে জানিয়ে দিয়েছিলেন, চেনা ছকে এবছর হচ্ছে না পুজো। তাই উপস্থিত হয়ে সকলকে নিরাশই হতে হবে। সেই কারণে অতিথি প্রবেশ একেবারেই বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে পরিবারের তরফ থেকে।
তবে কোনও খামতি নেই পুজোতে। ইন্দ্রায়ুদ মজুমদারের মতে, পুজোতে যা যা যেভাবে লাগে, ঠিক সেইভাবেই করা হয়েছে মায়ের হাত ভোগও দেওয়া হয়েছে, তবে সবই নিয়মরক্ষা মাত্রা। নিয়ম করেই বেলা ১১ টা নাগাদ বসে পুজো। শেষ হতে প্রায় ২ টো। সন্ধে বেলায় সন্ধ্যারতী। মায়ের কাছে সকলের মঙ্গল কামনা করা, ও গোটা পৃথিবীর দ্রুত আরোগ্য কামনাই এবার পরিবারের মূল মন্ত্র। পাশাপাশি ছন্দে ফিরিক সাংস্কৃতিক জগত। ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হোক অনুষ্ঠান, মানুষ আবারও এসে উপভোগ করুন প্রাণ খুলে সুর-তাল-লয়। এভাবেই চলতি বছর সেজে উঠেছে পণ্ডিত তেজেন্দ্রনারায়ণের বাড়ির বাণীবদনা।