সংক্ষিপ্ত
- প্রয়াত গায়িকা মিতা হক
- করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন গায়িকা
- রবিবার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি
- বাংলাদেশে নেমে আসে শোকের ছায়া
একের পর এক সেলিব্রিটি করোনায় আক্রান্ত। ভারতের মত বাংলাদেশের ছবিটাও বেশ খানিকটা এক। সদ্য ভারত হারিয়েছে অভিনেতা সতীশ কউরকে। তবে তিনি করোনাতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেও মিতা হক করোনার সঙ্গে যুদ্ধে গিয়েছিলেন জিতে। রবিবার ঢাকাতেই তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। এই খবর ছড়িয়ে পড়ার পরই বিনোদন জগতে নেমে আসে শোকের ছায়া।
আরও পড়ুন- রিয়ার হাতে রবীন্দ্রনাথ, দেখে চমকে উঠল নেট দুনিয়া, মুহূর্তে হলেন ট্রোলের শিকার
রবিবার ভোর সাড়ে ছটা নাগাদ তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। হাসপাতাল সূত্রে খবর, বেশ কিছু দিন ধরেই তিনি ভুগছিলেন কিডনির সমস্যায়। তবে করোনায় আক্রান্ত হওয়াার পর শারীরিক পরিস্থিতির অবনতী ঘটে। তাঁকে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। কিছু দিনের মধ্যেই তাঁর করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ হয়। তবে বাড়িতে আনার পরই তিনি আবারও অসুস্থ হয়ে পড়েন। ফলে পুনরায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করলে শেষ রক্ষা হল না।
বাংলাদেশের শিল্পমহলে তাই নেমে আসে শোকের ছায়া। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্টে তসলিমা নাসরিন লেখেন- 'মিতা হক, আমার প্রিয় রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী, আজ সকালে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। মিতা হক একবার বাংলা সংস্কৃতি বাদ দিয়ে মেয়েদের আরবীয় বোরখা সংস্কৃতি গ্রহণ করার সমালোচনা করেছিলেন, সে কারণে তাকে কম নিগ্রহ করা হয়নি! লোকে তাঁকে ''তসলিমা নাসরিন'' বলে গালি দিত। বাংলাদেশের জিহাদি এবং প্রো-জিহাদি সমাজে তসলিমা নাসরিন একটি গালির নাম। এসবকে মূল্য দেননি মিতা হক। তিনি ফেসবুকে আমার বন্ধু হয়েছিলেন। আমার লেখা পড়তেন, পছন্দ করতেন, এবং আমার শুভকামনা করতেন। কতবার ভেবেছি তাঁকে ইনবক্সে জানাবো, কতটা শ্রদ্ধা করি তাঁকে, কতটা ভালোবাসি তাঁকে। জানানো হয়নি। আমাদের অনেক জরুরি কাজে বড্ড দেরি হয়ে যায়।'