সংক্ষিপ্ত

  • প্রয়াত অভিনেত্রী স্বাতীলেখা সেনগুপ্ত
  • সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রয়াণের ৭ মাসের মাথায়
  • রিল-লাইফ, রিয়েল -লাইফে একযোগে শেষ অধ্যায়
  • ফিরে দেখা এই জুটির সফর 

 সাল ১৯৮৪, সত্যজিৎ রায়ের হাত ধরে টলি পাড়ায় পা রাখা। ছবির নাম ঘরে বাইরে। বাঙালির পরিচয় ঘটে অভিনেত্রী স্বাতীলেখা সেনগুপ্তের সঙ্গে। বিপরীতে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় ও ভিক্টর বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর জার্নিটা ছিল কেবলই থিয়েটার জগতে। দিনের পর দিন সিনে দুনিয়ায় তাঁকে আর পাওয়া যায়নি। তবে অভিনয় বিমুখ নন, তাঁর মজ্জায় মজ্জায় থাকা অভিনয়ের খিদে তাঁকে বারে বারে টেনে নিয়ে গিয়েছে থিয়েটরের মঞ্চে। সত্যজিৎ রায়ের বিমলা, দিনে দিনে পরিণত হয়ে উঠেছিলেন। কিন্তু শুরুটা ছিল ইতিহাস।

সেই একটাই নাম, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। দীর্ঘ ৩১ বছর পার, আবারও দর্শকেরা ফিরে পেয়েছিল এই জুটিকে ২০১৫ সালে। নেপথ্যে শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় ও নন্দিতা রায়। ছবির নাম বেলাশেষে। সেখানেই একই ফ্রেমে সংসারে বাঁধা সৌমিত্র-স্বাতীলেখা জুটি। সকলের মন ছুঁয়ে যাওয়া অনবদ্য অভিনয় ও কেমিস্ট্রি যেন আবারও তরতাজা। থেকে থাকার পালা শেষ। শুরু হল বেলাশুরু ছবির কাজ। সেখানেও বিপরীতে সেই একটাই ব্যক্তি, তিনি হলেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। 

 

বড় পর্দার সফরের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িয়ে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। যাঁর হাত ধরে শুরু হয়েছিল রিল লাইফের সফর। তার হাত ধরেই শেষ করলেন স্বাতীলেখা অভিনয় জগতের চরাচর। না, শুধু অভিনয় জগতই নয়, রিয়েল লাইফেও সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের পিছু পিছু পাড়ি দিলেন কিংবদন্তি অভিনেত্রী। মাত্র সাত মাসের ব্যবধান। ২০২০ শেষে বাংলা হারিয়েছে বর্যীয়ান অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে। এর কয়েকমাসের মধ্যেই জুনে চির ঘুমের দেশে নিখিলের ডাকে সাড়া দিলেন বিমলা। 

 

টলিউডের ঠিক যেভাপে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের হাত ধরে শেষ করলেন অভিনয়, রয়ে গেল বেলা শুধু, ঠিক একইভাবে জীবনের ছন্দেও ইতিটানলেন তিনি। সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রয়াণে ভেঙে পড়েছিলেন স্বাতীলেখা। অশ্রু ভেজা কণ্ঠে জানিয়ে ছিলেন তাঁর বলার কিছু নেই। আর আজ সেই অভিনেত্রীর প্রয়াণে চোখের জলে ভাসছে টলিউডড। এ যোন এক অন্য জুটির গল্প। যাদের একসঙ্গে সংসার পথচলার সফরটা কেবলই সিনেজগতে সীমাবদ্ধ ছিল না। দুজনেই শেষ ছবি মুক্তির আগে নিলেন চিরবিদায়। এখনও দর্শকদের অদেখা তাঁদের রিল লাইফের শেষ অধ্যায়।