সংক্ষিপ্ত

  • নুসরত জাহানকে খোলা চিঠি তসলিমার 
  • নিখিল-নুসরতের বিয়েতে খুশি ছিলেন তিনি 
  • সন্তানের পিতার নাম জরুরী নয় 
  • সাহসী পোস্টে আবারও নজর কাড়লেন তসলিমা 

সদ্য নেট পাড়া থেকে শুরু করে টলিউডে নয়া গুঞ্জণ, নুসরত জাহান ও নিখিলের সম্পর্কের মাঝে ঢুকে পড়া যশ, সন্তান সব মিলিয়ে আবারও খবরের শিরোনামে সাংসদ তথা অভিনেত্রী নুসরত জাহান। সদ্য তাঁর অন্তঃসত্তা হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়েছে সর্বত্র। যদিও অভিনেত্রী এই নিয়ে এখনই স্পষ্ট মুখ না খুললেও, প্রতিবাদও করেননি। উল্টো দিকে নিখিলের বলা উক্তি আগুনে ঘি ঢালার মত কাজ করেছেন। তিনি এই সন্তানের পিতা নন, কারণ তাঁরা দীর্ঘ ছয় মাস এক সঙ্গে থাকছেন না। উল্টো দিকে এই গুঞ্জণ স্পষ্ট যে বালিগঞ্জের বাড়িতে যষের সঙ্গেই নাকি লিভইন করছিলেন নুসরত। 

আরও পড়ুন- 'Pregnant' নুসরত, গর্ভের সন্তানের বাবা বলে নিজেকে মানতে নারাজ নিখিল, ফাঁস করলেন সংবাদমাধ্যমে 

তবে কি সন্তানের পিতা যশ, প্রশ্ন থাকলেও সেলেব মহল থেকে এখনও কোনও সাফ উত্তর নেই। আর এই তর্ক-বিতর্কের দোলাচলের মাঝে এবার নুসরতের হয়ে মুখ খুললেন লেখিকা তসলিমা নাসরিন। লিখলেন- নুসরতের খবর বেশ চোখে পড়ছে। তিনি প্রেগনেন্ট। তাঁর স্বামী নিখিল  এ ব্যাপারে কিছু জানেন না। দুজন  আলাদা থাকছেন ছ'মাস হলো। তবে যশ নামে এক অভিনেতার সঙ্গে অভিনেত্রী নুসরত প্রেম করছেন। সন্তানের পিতা,  মানুষ অনুমান করছে, যশ; নিখিল নয়। খবরটি খবর না গুজব জানিনা। তবে এই যদি পরিস্থিতি হয়, তবে  নিখিল আর নুসরতের  ডিভোর্স হয়ে যাওয়াই কি ভালো নয়? অচল  কোনও সম্পর্ক  বাদুড়ের মতো ঝুলিয়ে রাখার কোনও মানে হয় না। এতে দু'পক্ষেরই অস্বস্তি। 

 

এখানেই শেষ নয়, অসাম্প্রদায়িকতায় বিশ্বাসী তসলিমা আরও জানান- যখন নুসরত আর নিখিল বিয়ে করলেন, বেশ আনন্দ পেয়েছিলাম। ঠিক যেমন আনন্দ পেয়েছিলাম সৃজিত আর মিথিলা  যখন বিয়ে করেছিলেন।  অসাম্প্রদায়িকতায় বিশ্বাস করি বলে  দুই ধর্মের মানুষের মধ্যে বিয়ে হলে খুব স্বাভাবিক কারণেই পুলকিত হই। জাত  ধর্ম ইত্যাদি দূর করতে হলে ভিন্ন জাত আর ভিন্ন ধর্মের মানুষকে আত্মীয়তার বন্ধনে আবদ্ধ হতে হবে।    এতেই হিংসে আর হানাহানিকে হটানো যাবে। কিন্তু এত চোখ জুড়োনো জুটি যে বেশিদিন সুখে থাকবে না কে জানতো!  

তবে সন্তানের পিতা কে সেই প্রশ্নের তোলপাড়ে উত্তর দিয়ে তসলিমা জানালেন-  নিজের সন্তানকে নিজের পরিচয়েই বড় করা যায়। পুরুষের মুখাপেক্ষী হতে হয় না। আসলে নিখিল এবং যশের মধ্যে কী এমন আর পার্থক্য! পুরুষ তো শেষ পর্যন্ত পুরুষই। এক জনকে ত্যাগ করে আরেক জনকে বিয়ে করলে খুব যে সুখময় হয়ে ওঠে জীবন তা তো নয়। দ্বিতীয়  বিষময় জীবন থেকে বাঁচতে তাহলে কি আবার আরেকটি বিয়ে করতে হবে?  তাহলে এ রেসের শেষ হবে না, কাংক্ষিত পুরুষের দেখাও মিলবে না। স্বাধীনচেতা  নারীর  কাংক্ষিত পুরুষ কল্পনায় থাকে, বাস্তবে নয়। ফলে তসলিমা এই খোলা চিঠিই বেশ খানকটা গুঞ্জণ যেমন উষ্কেছে, তেমনই আবার কিছুটা প্রশোমিত করতেও সাহায্য করবে বলে স্পষ্ট। এখন শুধুই অপেক্ষা, ঘটনা আর রটনার মাঝে ফারাক দেখার।