সংক্ষিপ্ত

পেশা বদল তিয়াসা লেপচার! অভিনেত্রী থেকে শিক্ষিকা হচ্ছেন তিনি। খুব শিগগিরিই কলকাতার নামী স্কুলে পড়াতে দেখা যাবে তাঁকে। কোন মাধ্যমে?

আমূল বদল তিয়াসার। বর্তমানে ব্যক্তিগত জীবনে তিনি ‘সুখী একা’। এ বার পেশাও বদলাতে চলেছেন! টেলিপাড়া বলছে, যে ‘কৃষ্ণকলি’তে প্রায় চার বছর মুগ্ধ ছিলেন দর্শক, সেই ‘শ্যামা’ নাকি অভিনয়ই ছেড়ে দিচ্ছেন! খুব শিগগিরিই অন্য পেশায় আসছেন। অভিনয়ের সুনাম, জনপ্রিয়তা ভুলে নতুন জায়গায় মন বসাতে পারবেন তো?

টেলিপাড়া বলছে, মন বসাতে পারবেন কি, ইতিমধ্যেই তাঁর নাকি মন বসে গিয়েছে! চাকরিও পেয়ে গিয়েছেন। সেই আনন্দে ডগমগ তিয়াসা। কোন পেশায় আসছেন তিনি? কানাঘুষো, তিয়াসা শিক্ষকতা বেছে নিয়েছেন। শুরুতে গ্রামের একটি স্কুলে পড়িয়েছেন। এ বার খোদ কলকাতার এক নামী স্কুল বিজ্ঞানে শিক্ষকতার জন্য ডেকেছে তাঁকে! কোন মাধ্যমে পড়াবেন তিনি? এখানেই মোচড়। তিনি নিজে ‘বাংলা মিডিয়াম’। কিন্তু পড়াবেন ইংরেজি মাধ্যমে। এর পিছনেও অব্শ্য কারণ রয়েছে।

এ বার আসল কথা। এত ক্ষণ যা বলা হয়েছে সব ১০০ শতাংশ সত্যি। কেবল ছোট্ট বদল, তিয়াসা শিক্ষকতা করতে চলেছেন সুশান্ত দাসের নতুন ধারাবাহিক ‘বাংলা মিডিয়াম’-এ। দেখা যাবে স্টার জলসায়। সেখানেই দর্শক তাঁকে ফিরে পাবেন ‘শিক্ষক’ রূপে। ধারাবাহিকে ‘কৃষ্ণকলি’ জুটির উপরেই আস্থা রাখছেন সুশান্ত। অর্থাৎ, এখানেও তিয়াসার বিপরীতে নীল ভট্টাচার্য। এবং এই ধারাবাহিক দিয়ে দীর্ঘ দিন পরে অভিনয় দুনিয়ায় ফিরছেন প্রযোজক-অভিনেতা সম্পূর্ণা লাহিড়ি।

 

YouTube video player

 

ইতিমধ্যেই নতুন ধারাবাহিকের প্রচার ঝলক প্রকাশ্যে। দেখা গিয়েছে গ্রামের পাঠশালায় দুই বিনুনি ঝুলিয়ে বাচ্চাদের পড়াচ্ছেন তিয়াসা। পরনে তাঁতের সাদামাঠা শাড়ি। কপালে ছোট্ট টিপ, কানে মাকড়ি দুল। সাজ বলতে এইই। অভিভাবক মামা-মামি। পড়ানোর ফাঁকেই পিয়ন এসে জানান, শহরের নামী স্কুল ডেকেছে তাঁকে। তিয়াসার আহ্লাদ দেখে কে? আনন্দের চোটে পড়ুয়াদের ছুটি দিয়ে এক ছুট্টে মামাবাড়ি। বড় মামা যেন তাঁর জন্যই অপেক্ষা করছিলেন। তিনি তাঁর ভাগ্নির হাতে তুলে দেন দু-দুটো চাকরির অফার লেটার। একটি বাংলা মাধ্যমের। অন্যটি ইংরেজি মাধ্যম। এর পর? জানতে এশিয়ানেট নিউজ বাংলা যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছিল তিয়াসার সঙ্গে। আপাতত মুখ খুলবেন না বলেই কি ফোনে নেই তিনি?

প্রচার ঝলকে মামি জানিয়েছে, বাংলা মাধ্যমের ছাত্রী বলেই নাকি বিয়ে হচ্ছে না তাঁর ভাগ্নির। তিয়াসার কাছে সেটাই চ্যালেঞ্জ। তিনি বাংলা মাধ্যমের ছাত্রী হয়ে দেখিয়ে দেবেন, ইংরেজি নিয়ে তাঁর কোনও সমস্যা নেই। ফর্সা-কালোর চিরকেলে দ্বন্দ্ব সুশান্ত এর আগে ফুটিয়ে তুলেছেন তাঁর ‘কৃষ্ণকলি’তে। নতুন ধারাবাহিকে সম্ভবত জায়গা করে নিতে আসছে বাংলা বনাম ইংরেজি মাধ্যম। কবে থেকে, কোন সময়ে দেখা যাবে ‘বাংলা মিডিয়াম’? এই খবরও আপাতত আড়ালেই।