সংক্ষিপ্ত
বছরের প্রথম দিন অর্থাৎ ১ জানুয়ারি দাদুকে হারালেন তৃণা সাহা। আইবুড়োভাত থেকে বিয়েতে আশীর্বাদের সময় তৃণার পাশে সব সময় দেখা গিয়েছে তাঁর দাদুকে। কিন্তু, বছরের শুরুতেই যে প্রিয় মানুষকে হারিয়ে ফেলবেন তা ভাবতে পারেননি অভিনেত্রী।
২০২২ সালকে (Year 2022) স্বাগত জানানোর জন্য আনন্দে মেতে উঠেছিল গোটা দেশ। আর ঠিক বছরের সেই শুরুর দিনেই অভিনেত্রী তৃণা সাহার (Trina Saha) জীবনে নেমে এল বিপর্যয়। ওই দিনই নিজের প্রিয় মানুষকে হারান তিনি। ৩ জানুয়ারি সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media) নিজের মনের কথা লিখলেন অভিনেত্রী।
বছরের প্রথম দিন অর্থাৎ ১ জানুয়ারি দাদুকে হারালেন তৃণা সাহা। আইবুড়োভাত থেকে বিয়েতে (Marriage) আশীর্বাদের সময় তৃণার পাশে সব সময় দেখা গিয়েছে তাঁর দাদুকে (Grand Father)। কিন্তু, বছরের শুরুতেই যে প্রিয় মানুষকে হারিয়ে ফেলবেন তা ভাবতে পারেননি অভিনেত্রী। তাই বিষয়টি প্রথমে তাঁর মানতেই ইচ্ছে করছিল না। সোশ্যাল মিডিয়ায় সবসময়ই খুব অ্যাকটিভ থাকেন নীল ভট্টাচার্য (Neel Bhattacharya) এবং তৃণা সাহা দু'জনেই। তবে প্রথম দিনে নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানাতে পারেননি তৃণা।
এদিকে তৃণার অনুরাগীরা অপেক্ষা করেছিলেন তাঁর শুভেচ্ছা বার্তার জন্য। দু'দিন পরে অবশ্য অনুরাগীদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তৃণা। কিন্তু, এর আসল কারণ জানালেন পরে। নতুন বছরের প্রথম দিন একেবারেই শুভ হয়নি তাঁর জন্য, সম্ভবত বয়স জনিত অসুস্থতার কারণে প্রয়াত হন তৃণার দাদু। সোশ্যাল মিডিয়ায় দাদুর সঙ্গে কিছু মিষ্টি মুহূর্তের ছবি পোস্ট করে তৃণা লিখেছেন, ‘জীবনের অন্য প্রান্তে আবার দেখা হবে তোমার সঙ্গে, তোমায় মিস করছি- শুধুমাত্র এই কথাটার মাধ্যমে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করা অসম্ভব।’
প্রসঙ্গত ধারাবাহিক 'খড়কুটো'-তে চলছে টানটান উত্তেজনা। হই হই করে বাড়ি মাতিয়ে রাখা গুনগুন হঠাৎই চুপচাপ। কারণ বাড়ির বা হল্লা পার্টির মুখ্য সদস্য পটকা অসুস্থ। এমনকী, তার প্রাণ সংশয়ের আশঙ্কাও রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আর তাই পরিবারের এই দুর্দিনে হাসি খুশি গুনগুন একেবারেই চুপ করে গিয়েছে। এই সব তো গেল পর্দার কথা। বাস্তব চিত্রটাও ঠিক এই রকমই। রিয়েল লাইফেও মন ভালো নেই তৃণার।
নীল এবং তৃণা দু'জনেই নিজেদের পরিবারকে নিয়ে থাকতে খুব ভালোবাসেন। তাই বছরের প্রথম দিনেই দাদুকে হারিয়ে খুবই ভেঙে পড়েছেন তৃণা। তাঁর মন একেবারেই ভালো নেই। যে কোনও কঠিন পরিস্থিতি সব সময় হাসিমুখে সামাল দিতে দেখা গিয়েছে তাঁকে, মন খারাপ হলেও তা তেমনভাবে কখনও বুঝতে দেন না। কিন্তু, দাদুকে হারানোর দুঃখ কখনওই ভোলার নয়। তাই এই ঘটনা নিজের অনুরাগীদের সঙ্গে এবং সকলের সঙ্গে শেয়ার করে নিলেন তিনি।