সংক্ষিপ্ত

  • এখনও ভেন্টিলেশন সাপোর্টে রয়েছেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়
  • গতকাল থেকেই রেনাল রিপ্লেসমেন্ট থেরাপি শুরু হয়েছে
  • কিডনি কাজ করা বন্ধ করে দিলেই এই থেরাপি করা হয়
  • ইউরিয়াতে ক্রিয়েটিনিন-এর মাত্রা বেড়েছে

এখনও সঙ্কটজনক  অবস্থায় রয়েছেন বর্ষীয়ান অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। শারীরিক অবস্থারও কোনও উন্নতি হয়নি। গত সোমবার থেকেই আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন অভিনেতা। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, দুটো কিডনিই আর কাজ করছে না। এবং স্নায়ুও কাজ করছে না। এখনও ভেন্টিলেশন সাপোর্টে রয়েছেন অভিনেতা। দুটো কিডনিতেই সমস্যা দেখা দিয়েছে, যার ফলে গতকাল থেকেই রেনাল রিপ্লেসমেন্ট থেরাপি শুরু হয়েছে। কিডনি কাজ করা বন্ধ করে দিলেই এই থেরাপি করা হয়।

সোমবার রাত থেকেই ভেন্টিলেশনে দেওয়া হয়েছিল অভিনেতাকে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, শরীরে সোডিয়াম ও পটাশিয়ামের মাত্রার ফের তারতম্য ঘটেছে।  মস্তিষ্কের স্নায়ু ও প্রায় অচল। রক্তে প্লেটলেটের পরিমাণও একই রয়েছে। আগের থেকে স্থিতিশীল হলেও সঙ্কট এখনও কাটেনি। একটানা ২২ দিন ধরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অভিনেতা। তার শারীরিক অবস্থার এই খবরে সকলের তার সুস্থতার কামনা করছেন।

অভিনেতার পরিবারের সঙ্গে আলোচনার পরই সৌমিত্রকে এন্ডোট্র্যাকিয়াল ইনটিউবেশন তথা ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছিল। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ,ডিহাইড্রেশন, ওষুধের প্রতিক্রিয়ায় ইউরিয়াতে ক্রিয়েটিনিন-এর মাত্রা বেড়েছে। হাসপাতাল সূত্রে আরও জানা গেছে,সবরকম ভাবে তাকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। তবে এই প্রচেষ্টা খুবই কঠিন। একের পর এক নয়া সমস্যা দানা বাঁধছে।  প্রতি মুহূর্তেই সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের শারীরিক পরিস্থিতি মনিটার করছেন চিকিৎসকেরা। তার সুস্থ হওয়ার পথে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে সেই কো-মর্বিডিটি এবং বয়স। 

গত ৬ অক্টোবর কোভিড পজিটিভ হওয়ার পরই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অভিনেতা।এখনও পুরোপুরি সঙ্কটমুক্ত নন বর্ষীয়ান অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়।  তবে এখনই পুরোপুরি সুস্থ নন বাঙালির ফেলুদা।  গতকাল সন্ধ্যাবেলাতেই  মেডিক্যাল বুলেটিনে একথা জানিয়েছিল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। একটানা দীর্ঘ কয়েকদিন  করোনার সঙ্গে লড়াই চালিয়ে গেছেন বর্ষীয়ান অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। দীর্ঘদিন ধরে চলছে জীবন-মৃত্যুর লড়াই। অদম্য ফাইটিং স্পিরিট নিয়ে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন বাঙালির ফেলুদা। ফের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে সৌমিত্রর। বর্তমানে  স্নায়ুর সচেতনতা ৯ এর কাছাকাছি রয়েছে, যা চিকিৎসকদের উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।