সংক্ষিপ্ত

ছবির ব্যাপক প্রোমোশন থেকে শুরু করে বিপুল অঙ্কের অর্থব্যয়ে ডিস্ট্রিবিউশন, সবটাই কি এই অতিমারী কাটিয়ে উঠে ঘরে তোলা সম্ভবপর! তেমনই ইঙ্গিত দিল এবার ছবি মুক্তির প্রথম দিন। 

গত দুবছর ধরে সিনে জগতের যা পরিস্থতিত, তাতে হাউসফুল, বক্স অফিসে (Box Office Collection) একশো কোটি এই শব্দগুলো প্রায় হারিয়ে যেতে বসেছে। বর্তমানে করোনার কোপ থেকে মুক্তি পেয়ে খানিক স্বস্তিতে সিনে জগত। ঝড়ের বেগে শুরু হয়ে গিয়েছে কাজ। তাই একের পর এক ছবি এখন পাইপলাইনে। তারই মাঝে বছরের সর্বাধিক প্রতিক্ষীত ছবি মুক্তি পেল বড়দিনে (Christmas)। ৮৩ মুক্তিতে ভক্তদের মধ্যে উচ্ছ্বাস নেহাতই কম ছিল না। ছবির ব্যাপক প্রোমোশন থেকে শুরু করে বিপুল অঙ্কের অর্থব্যয়ে ডিস্ট্রিবিউশন, সবটাই কি এই অতিমারী কাটিয়ে উঠে ঘরে তোলা সম্ভবপর! তেমনই ইঙ্গিত দিল এবার ছবি মুক্তির প্রথম দিন। ২৪ ডিসেম্বর মুক্তি পেল ছবি ৮৩, আর প্রথমদিনই হাউসফুল। এই ছবি ২৪ ডিসেম্বর ঘরে তুলে আনল ১৫ কোটি টাকা। যার ফলে আশা করাই যায় এই ছবি বক্স অফিসে ছক্কা হাকাবে। 

৮৩ ছবির মূল ভিতই এই ছবিতে রণবীর সিং-এর অভিনয়। আর তার জেরেই এবার বেশ কিছুটা লাভের অংশ রাখছেন তিনি নিজের পকেটে। ছবিটি করার জন্য পারিশ্রমিক বাবদ তিনি নিয়েছিলেন ২০ কোটি টাকা। এবার এই ছবির লাভের অংশের শেয়ার নেবেন  রণবীর বলে বিটাউনের খবর। তবে এই টাকা নেবেন তিনি ছবি মুক্তির পরই। সেই পরিমাণ অর্থ ঠিক কতটা, তা এখনও স্পষ্ট নয়। 

আরও পড়ুন-83 Movie: মদন লাল প্রতিশোধ পর্ব, ৮৩ ছবিতে কতটা ফুঁটে উঠল, গল্প শেয়ার করলেন খোদ কপিলদেব

আরও পড়ুন-New Song Lehra Do: আবেগ ও দেশভক্তির মেলবন্ধন '৮৩'-র নতুন গানে

বিগ বাজেট এই ছবির অপেক্ষায় দিন গুনছেন ভক্ত মহল, আরি ছবিকে খুব যত্নসহকারে বানাতেই মরিয়া ছিল প্রযোজক-পরিচালক থেকে স্টার্কাস্ট। আর ঠিক সেই দিকেই নজর দিয়ে এবার সকলেই লক্ষ্য কোন একটা বিষয়, খুব যত্নের সঙ্গে এই সিনেমাতে মোট ৩৫ এর কাছাকাছি ব্র্যান্ডকে যুক্ত করা হয়েছে, এই বিজ্ঞাপন গুলো দিতে একেকটি সংস্থাকে কুড়ি লক্ষ থেকে এক কোটি পর্যন্ত দিতে হতে পারে, ট্রেলারেই ইতিমধ্যে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে কি হারে এই ছবিতে বিজ্ঞাপনের ব্যবহার করা হয়েছে। যার ফলে ছবি যে রীতিমতো আয় করবে বিজ্ঞাপন বা বিভিন্ন জায়গা থেকে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

বড় দিনে মুক্তি পেল এই ছবি। ছবিটি থ্রিডি-তেও প্রকাশ্যে এসেছে। পাশাপাশি তা তৈরি করা হয়েছে হিন্দি, তামিল, তেলেগু, মালায়ালাম ও কানাড়া ভাষায়। ছবির পরিচালক কবির খান ছবির মুক্তি নিয়ে বেজায় চিন্তায় ছিলেন। কোনও মতে ছবির বক্স অফিস রেভিনিউকে কম হতে দিতে রাজি নন তিনি। আর সেই দিকে লক্ষ্য রেখেই এবার পাখির চোখ করা হয়েছিল বড়দিনকে। সেই প্রচেষ্টাই এবার সার্থক, তেমনই ইঙ্গিত দিচ্ছে ছবি।