সংক্ষিপ্ত
- আত্মহত্যায় সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পিছনে দায়ী মানসিক অবসাদ
- দীর্ঘদিন ধরে চলছিল সাইকিয়্যাট্রিক চিকিৎসা
- সুশান্তের মৃত্যুর পর চুপ থাকতে পারলেন না দীপিকা
- মানসিক অবসাদ নিয়ে নীরবে থাকতে বারণ করেলন অভিনেত্রী
সুশান্ত সিং রাজপুতের আত্মহত্যায় মৃত্যুর খবরে বাকরুদ্ধ গোটা দেষ। জানা গিয়েছে দীর্ঘদিন মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন অভিনেতা। এবার মানসিক অবসাদ নিয়ে ফের মুখ খুললেন দীপিকা। তিনি লেখেন, "মানসিক অবসাদে যারা ভুগছেন তাদের বারবার অনুরোধ করছি। এগিয়ে আসুন, কথা বলুন। তুমি একা নও। আমরা একসঙ্গে এই মানসিক অবসাদকে হার মানাবো। আশার আলো খুঁজে পাবই।" সুশান্ত সিং রাজপুতের হাসিমুখটাই চিরজীবন চোখের সামনে থেকে যাক।
আরও পড়ুনঃএই বছর নভেম্বরে বিয়ে ছিল সুশান্তের, জোর কদমে প্রস্তুতি নিচ্ছিল অভিনেতার পরিবার
ওই হাসিমুখ দেখলে কেউ ধরতেও পারবে না যে তার পিছনেই লুকিয়ে আছে মন ভরা অবসাদ। কথা বলার একটি লোকও ছিল না পাশে। মা-কে হারিয়েছেন সেই পাটনা থেকে দিল্লি আসার সময়। তারপর মায়ের মত বোধহয় আর কাউকে কাছে টেনে নিতে পারেননি। ২০২০। আজীবন মনে থাকবে এই বছরটা। মহামারী, ঘুর্ণিঝড়, ভূমিকম্প, মৃত্যু, আত্মহত্যা কী না দেখতে হচ্ছে সকলকে। একাকিত্ব এমনভাবে এক প্রাণোচ্ছল ছেলেকে গ্রাস করবে তা দুঃস্বপ্নেও ভাবেনি কেউ। বাড়ির পরিচারিকাই প্রথম দেখতে পান তাঁর ঝুলন্ত দেহ। জানা গিয়েছে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন অভিনেতা। নিজের বান্দ্রার ফ্ল্যাটেই আত্মহত্যা করেন সুশান্ত। তাঁর মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করে সুশান্ত সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছিলেন।
তারপরই সুশান্তের এই ঘটনায় শোকস্তব্ধ বলিউড। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল মাত্র ৩৪। প্রসঙ্গত, দীপিকা পাডুকোন সে সকল কম সংখ্যক তারকাদের মধ্যে পড়েন যিনি নিজের মানসিক অবসাদ নিয়ে প্রকাশ্যে কথা বলেছেন। এবং সেই বিষয় অসংখ্য সাক্ষাৎকারও দিয়েছেন। আজও তিনি বেশ কিছু সাক্ষাৎকারে নিজের সেই মুহূর্তগুলির কথা বলতে বলতে কেঁদে ফেলেন। লকডাউন থাকুক বা না থাকুক, যে বিষয়টি খুব সহজেই সকলেই এড়িয়ে যায়, তা হল মানসিক অবসাদ। এখনও এমন অনেক মানুষ আছেন যারা মানসিক অবসাদকে পাগলামোর নাম দিয়ে বেড়ায়। তবে শরীরিক সুস্থতার মতই যে মানসিক সুস্থতাও অত্যন্ত প্রয়োজনীয় তা বোঝালেন দীপিকা