সংক্ষিপ্ত
- সম্প্রতি মারণ ভাইরাস ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছেন বলি অভিনেতা সঞ্জয় দত্ত
- তৃতীয় নয়, বরং স্টেজ ফোর-এ রয়েছে ফুসফুসের ক্যান্সার
- হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে চতুর্থ পর্যায়ের ক্যান্সারের আক্রান্ত বলিউডের মুন্নাভাই
- চতুর্থ পর্যায়ে ক্যান্সারে আক্রান্ত হলে বাচার আশাও খুব ক্ষীণ
একের পর এক বড় ধাক্কা। বলিউডের দুঃসময় যেন আর কাটছে না। সম্প্রতি মারণ ভাইরাস ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছেন বলি অভিনেতা সঞ্জয় দত্ত। মঙ্গলবার রাতেই স্টেজ থ্রি-তে ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার খবর প্রকাশ্যে এসেছে। তার অসুস্থতার খবরে সকলেই চিন্তিত হয়ে পড়েছিলেন। সকল ভক্তরাই তার দ্রুত সুস্থতার কামনা করেছিলেন। কোভিড টেস্টের রিপোর্টও নেগেটিভ এসেছিল অভিনেতার। ভক্তরা যাতে তার শারীরিক অসুস্থতার খবরে উদ্বিগ্ন না হয়ে পড়েন, সেই কারণে হাসপাতাল থেকেই টুইটও করেছিলেন মুন্নাভাই। তবে হাসপাতাল সূত্র থেকে জানা গেছে,তৃতীয় নয়, বরং স্টেজ ফোর-এ রয়েছে ফুসফুসের ক্যান্সার। সমস্যা আরও বেশি গুরুতর বলেই মনে করা হচ্ছে।
গত ৮ আগস্ট শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়েই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল অভিনেতাকে। শ্বাসকষ্ট শুরু হতেই করোনার ভয় পেয়েছিলেন সঞ্জয়। বাড়িতেই অক্সিমিটারে অক্সিজেন লেভেল পরীক্ষা করে তিনি দেখেন তার শরীরে অক্সিজেন কমে গিয়েছে। তা দেখেই করোনা নিয়ে রীতিমতো ভয় পেয়ে যান। তখনই তড়িঘড়ি করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল অভিনেতাকে। ২ দিন ধরে লীলাবতী হাসপাতালে ভর্তিও ছিলেন অভিনেতা। কোভিড টেস্টের রিপোর্টও নেগেটিভ এসেছিল অভিনেতার। গত ১০ আগস্ট হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন বলি অভিনেতা সঞ্জয় দত্ত।
আরও পড়ুন-করোনা সন্দেহ থেকে ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত, কীভাবে জেনে ছিলেন বলিউডের সঞ্জু...
হাসপাতালে অভিনেতার ফুসফুসের যাবতীয় পরীক্ষা করা হয়। আর তখনই দেখা যায় সঞ্জুর ফুসফুসে বাতাস ঢুকছে না।পরে সিটি স্ক্যানে ধরা পড়ে ফুসফুসে প্রচুর জল জমেছে সঞ্জয়ের। এবং তখনই সঞ্জয়কে জানানো হয় এটা ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণের জন্য হতে পারে বা টিবি কিংবা ক্যান্সারও হতে পারে। তারপরই সঞ্জয়ের ফুসফুস থেকে প্রায় দেড় লিটার জল বের করা হয়। এবং সেই ফ্লুইড পরীক্ষা করার পরই ধরা পড়ে তার ওই রসে ক্যান্সারের সেল রয়েছে। এবং পুরো বিষয়টাতে নিশ্চিত হওয়ার পরই জানানো হয় সঞ্জয়কে। কিন্তু বর্তমানে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে চতুর্থ পর্যায়ের ক্যান্সারের আক্রান্ত বলিউডের মুন্নাভাই। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, চতুর্থ পর্যায়ের ফুসফুসের ক্যানসারের ক্ষেত্রে রোগীর বাঁচার সম্ভাবনা খুবই কম থাকে। গত পাঁচ বছরের রিপোর্টে দেখা গেছে, মাত্র ১০ শতাংশ রোগী এই পর্যায়ের ক্যান্সারকে হার মানাতে পেরেছেন।
চিকিৎসকেরা সঞ্জয়কেও জানিয়েও দেয় এই মুহূর্তে তিনি যেই কন্ডিশনে রয়েছেন তাতে কেমোথেরাপি ছাড়া আর কোনও উপায় নেই। সম্প্রতি মার্কিন মুলুকে উড়ে যাওয়ারও পরিকল্পনা করেছেন অভিনেতা ও তার পরিবার। কিন্তু সমস্যা দানা বাঁধছে ভিসা নিয়ে। মুম্বই বিস্ফোরণের অভিশাপ আজও পিছু ছাড়েনি সঞ্জয়ের। সালটা ১৯৯৩। মুম্বই বিস্ফোরণের জেরে গ্রেফতার হয়েছিলেন সঞ্জয় দত্ত। বেআইনি অস্ত্র মজুত রাখার জন্য গ্রেফতার হতে হয়েছিল সঞ্জয়কে। যদিও গ্রেফতারির পরে জামিনে মুক্তিও পেয়েছিলেন সঞ্জয়। দীর্ঘ এতবছর কেটে গেলেও এই অভিশাপ এখনও তাড়িয়ে বেরাচ্ছে সঞ্জয়কে। সম্প্রতি সূত্র থেকে শোনা যাচ্ছে, ভারতীয় আইনে তিনি রেহাই পেলেও মার্কিন আইনের গেরোয় তিনি নাকি ভিসা পাচ্ছেন না। সূত্রের খবর থেকে জানা গেছে, লাং ক্যান্সারে চিকিৎসার জন্য আমেরিকায় স্লোয়ান কেটেরিং ক্যান্সারে যাওয়ার কথা ছিল সঞ্জয় দত্তের। কারণ তার মা নার্গিসেরও সেইখানেই চিকিৎসা হয়েছিল। সঞ্জয় দত্তের মা নার্গিস প্যানক্রিয়াটিক ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন। কিন্তু ইচ্ছে থাকলেও সেই ইচ্ছে কি আদৌ পূরণ হবে সেটাই সন্দেহের বিষয়।