সংক্ষিপ্ত

  • সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুতে ক্ষমা চাইলেন করণ জোহার
  • সবকিছুর জন্য নিজেকেই দায়ী করছেন পরিচালক
  • তিনি বুঝেছিলেন যে সুশান্তের কথা বলার জন্য কাউকে পাশে চাই
  • তবুও তিনি করণ তাঁর পাশে দাঁড়াননি

২০২০। আজীবন মনে থাকবে এই বছরটা। মহামারী, ঘুর্ণিঝড়, ভূমিকম্প, মৃত্যু, আত্মহত্যা কী না দেখতে হচ্ছে সকলকে। সুশান্ত সিং রাজপুতের হাসিমুখটাই চিরজীবন চোখের সামনে থেকে যাক। ওই হাসিমুখ দেখলে কেউ ধরতেও পারবে না যে তার পিছনেই লুকিয়ে আছে মন ভরা অবসাদ। কথা বলার একটি লোকও ছিল না পাশে। মা-কে হারিয়েছেন সেই পাটনা থেকে দিল্লি আসার সময়। তারপর মায়ের মত বোধহয় আর কাউকে কাছে টেনে নিতে পারেননি। এই একাকিত্বের টের পেয়েছিলেন করণ জোহার। খুব বেশি আগে নয়। গত বছরের কথা।

আরও পড়ুনঃ'সুশান্তের শেষ ছবি পোস্ট করা বন্ধ করুন', নিথর দেহের ছবি ভাইরাল হতেই সোনুর তীব্র নিন্দা

করণ জোহার বুঝেছিলেন সুশান্ত একাকিত্বে ভুগছেন। তবে কী যেন এক কারণে তিনি আর পাশে দাঁড়াননি তাঁর। আর জিজ্ঞেসও করেননি কেমন আছেন তিনি। শারীরিকভাবে নয়, মানসিকভাবে। এমনটা অবশ্য কেউই জিজ্ঞেস করেনা। সকলেই আগে শরীর কেমন আছে, সেটাই বলে। করণ নিজের পোস্টে বারে বারে ক্ষমা চাইলেন। সুশান্তের এই অবস্থার জন্য নিজেকেও খানিক দায়ী করলেন। আর কখনও এমন ভুল করবেন না বলেও কথা দিলেন তিনি। আর কখনও কারও একাকিত্বের টের পেলে এড়িয়ে যাবেন না পরিচালক।

আরও পড়ুনঃএই বছর নভেম্বরে বিয়ে ছিল সুশান্তের, জোর কদমে প্রস্তুতি নিচ্ছিল অভিনেতার পরিবার

View post on Instagram
 

 

সুশান্তের মৃত্যু তাঁর টনক নাড়িয়ে দিয়েছে। মানসিক অবসাদ মানুষকে যে এভাবে গ্রাস করতে পারে তা বোঝেননি করণ। সুশান্তের সঙ্গে কাজ করার খুব ইচ্ছে ছিল করণের। তা আর হল কই। না কাজ করা হল, না কথা বলা। সবটাই অসম্পূর্ণ রয়ে গেল। করণকে নিজের এই ভুলের মাশুল বোধহয় বধুদিন ধরে গুণতে হবে। দীর্ঘ সময় ধরে বয়ে বেড়াতে হবে এই বোঝা। সুশান্তের মত প্রাণচ্ছ্বল একটা ছেলে এভাবে নিজের প্রাণ দিয়ে দিল। বিষয়টা যত সাধারণ লাগছে ততটাই ভয়ঙ্কর। অমন হাসিমুখের পিছনে যদি কেউ এতটা দুঃখ লুকিয়ে রাখতে পারে, তাহলে সকলের বোঝা উচিত বলিউড কেবল ফ্যান্সি এবং গ্ল্যামার ইন্ডাস্ট্রিই নয়।