সংক্ষিপ্ত
রবিবার মাদক নেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন বলিউড বাদশা শাহরুখ খানের (Shahrukh Khan) ছেলে আরিয়ান খান (Aryan Khan)। তবে উঠে আসতে পারে আরও বলিউড সেলিব্রিটির নাম, আগেই জানিয়েছিল এনসিবি (NCB)।
সুশান্ত সিং রাজপুত (Sushant Singh Rajput)-এর মৃত্যুর মামলায় মাদকের ভূমিকা নিয়ে তদন্ত চলছিলই। তারমধ্য়েই, রবিবার ফের বলিউডে সাড়া ফেলে দিয়েছে মাদক। রেভ পার্টিতে মাদক নেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন বলিউড বাদশা শাহরুখ খানের (Shahrukh Khan) ছেলে আরিয়ান খান (Aryan Khan)। তবে এখানেই কি বলিউড এবং মাদকের যোগাযোগ শেষ? সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর মামলায় মাদকের ভূমিকা নিয়ে তদন্তকারীরা কিন্তু বলছেন না।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে আগেই জানানো হয়েছিল, সুশান্ত মৃত্যু মামলায় গ্রেফতার হওয়া সন্দেহভাজন ক্ষিতিজ প্রসাদের সঙ্গে, আরও বেশ কিছু বলিউড সেলিব্রিটিদের নাম জড়িত রয়েছে বলে মনে করছে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (Narcotics Controll Bureau) বা এনসিবি। তারা জানিয়েছিল, ক্ষিতিজের সঙ্গে বেশ কয়েকজন বলিউড সেলিব্রিটির যোগাযোগ ছিল শুধু না, তারা অবৈধ মাদক পাচারের সঙ্গেও জড়িত ছিল।
"
এনসিবি বর্তমানে সেই বিষয়গুলি খতিয়ে দেখছে। টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, এনসিবি ক্ষিতিজের ভার্সোভার বাড়ি থেকে কিছু নথি, হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট এবং মাদক (গাঁজা) উদ্ধার করেছিল। যার জেরে গ্রেফতার হতে হয়েছিল তাকে। তিনি অল্প সময়ের জন্য ধর্মাটিক এন্টারটেইনমেন্ট -এর সঙ্গে কার্যনির্বাহী প্রযোজক হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন। এনসিবি কর্মকর্তারা বর্তমানে ক্ষিতিজের মোবাইল ফোন থেকে মুছে ফেলা তথ্য পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করছেন। তার থেকেই বলিউডে মাদক চক্রের সম্পর্কে আরও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রকাশ হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
এসএসআর মৃত্যু মামলায় ড্রাগ অ্যাঙ্গেল নিয়ে তদন্তকারী এনসিবি-র দলটি জানিয়েছে, ক্ষিতিজে ড্রাগ সিন্ডিকেটের একটি গুরুত্বপূর্ণ নথিতে করমজিৎ আনন্দ, অনুজ কেশওয়ানি এবং অঙ্কুশ অরেঞ্জার নাম পাওয়া গিয়েছে। এনসিবির ধারণা, ক্ষিতিজ এই তিনজনের কাছ থেকেই চরস ও গাঁজা কিনেছিলেন। শুধু তাই নয়, ক্ষিতিজের সঙ্গে মাদক ব্যবসায়ী কাইজান ইব্রাহিমেরও যোগ ছিল বলে মনে করে এনসিবি। এই কাইজানের সঙ্গেই সম্পর্ক ছিল সুশান্ত সিং রাজপুতের বাবুর্চি দীপেশ সাওয়ান্তের।
এই মামলায় উল্লেখযোগ্য যে বলিউডি সেলেবের নাম উছে এসেছে, তিনি হলেন পরিচালক করণ জোহর। ক্ষিতিজের আইনজীবী সতীশ মনশিন্দ অভিযোগ করেছিলেন, তার ক্লায়েন্টকে চাপ দিয়ে করণ জোহরের নাম বলতে বাধ্য করছে এনসিবি। তবে মাদক নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি সেই অভিযোগকে 'ভিত্তিহীন এবং অসত্য' বলে উড়িয়ে দিয়েছে।