সংক্ষিপ্ত
টেলিভিশন অভিনেতা নকুল মেহতার পরিবারে এবার করোনার হানা। নকুল থেকে স্ত্রী জানকি এবং ১১ মাসের ছেলে সকলেই করোনায় আক্রান্ত। করোনা জাকিয়ে বসেছে নকুলের পরিবারে।
পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপ থেকে খারাপতর হচ্ছে। ছোট থেকে বড় কাউকেই ছাড়ছে না করোনা ভাইরাস। মারণ রোগের কবলে একে একে সকলেই আক্রান্ত হচ্ছেন। মুম্বইয়ের পরিস্থিতিও খুবই সঙ্কটজনক। বি-টাউনে একাধিক তারকারা করোনায় আক্রান্ত। আশঙ্কা ক্রমশ বাড়ছে। তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কার মাঝেই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা। টেলিভিশন অভিনেতা নকুল মেহতার পরিবারে এবার করোনার হানা। নকুল থেকে স্ত্রী জানকি এবং ১১ মাসের ছেলে সকলেই করোনায় আক্রান্ত। করোনা জাকিয়ে বসেছে নকুলের পরিবারে।
সম্প্রতি টেলিভিশন অভিনেতা নকুল মেহতার স্ত্রী গায়িকা জানকি পারেখ ইনস্টাগ্রামে করোনার ভয়াবহ পরিস্থিতির কথা তুলে ধরেছেন যা দেখা মাত্রই রীতিমতো শিউরে উঠেছেন সকলেই। তিনি জানিয়েছেন করোনায় আক্রান্ত হয়েছিল তাদের ১১ মাসের সন্তান সুফি। এবং করোনায় আক্রান্ত হওয়র পর সেই কঠিন লড়াইয়ের কথাই তুল ধরেছেন জানকি। নকুলের পরিবারে সবার প্রথমে কোভিড পজিটিভ হন নকুল মেহতা তারপরই করোনা গ্রাস করে জানকি-কেও। এবং শেষে শিশুপুত্রকে বেশ কড়া ভাবে জাকিয়ে ধরল করোনা ভাইরাস। ইনস্টাগ্রামে ছেলে সুফি সুপারম্যান লুকে একগুচ্ছ ছবি শেয়ার করেই সেই কঠিন দিনের কথাই তুলে ধরছেন নকুলের স্ত্রী জানকি, যা পড়ে চোখে জল এসেছে নেটিজেনদের।
জানকি লিখেছেন, এই করোনার শিকার একদিন হতে হবে সেটা জানা থাকলেও এমনটা হবে তা ভাবিনি। ২ সপ্তাহ আগে করোনায় আক্রান্ত হন নকুল। তারপরই আমার শরীরে উপসর্গ দেখা যায়। ভেবেছিলাম যে বোনের বিয়েতে হয়তো যেতে পারব না এর চেয়ে আর বেশি কিছু হবে না। কিন্তু এমনটা যে ঘটবে তা হয়তো দুঃস্বপ্নেও ভাবিনি। শুধু তাই নয় এরপরের দিনগুলো যেন জীবনের সবথেকে কঠিনতম দিন হয়ে গেল। আচমকাই জ্বর নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ছেলে সুফিকে। জানকির কোভিড পজিটিভ হওয়ার পরই সুফির জ্বর আসে। এবং জ্বর যেন কিছুতেই কমছিল না। ঠান্ডা জল স্পঞ্জ করা থেকে ওষুধ,কোনওটাই কাজে লাগেনি। তারপর একটা সময় জ্বর ১০৪.২ ডিগ্রি পার করে তখনই ছেলেকে নিয়ে হাসপাতাল যাই এবং এতটাই ভয়াবহ পরিস্থিতি হয়,যে তড়িঘড়ি সুফিকে আইসিইউ-তে ভর্তি করা হয়। তিনি আরও লেখেনে এই একরত্তিকে ৩ টে আইভিএস ফোটানো হয়েছে, নানা রকমের ব্লাড টেস্ট, আরটিপিসিআর, অ্যান্টিবডিজ, ইনজেকশন, বোতল বোতল স্যালাইন আরও কত কিছু দেওয়া হয়েছে শুধু জ্বর কমানোর জন্য। অবশেষে তিন দিন পর জ্বর কমে সুফির। এই ছোট বয়সে কত কিছুর মোকাবিলা করে ফেলল সুফি।
জানকি নিজের কঠিন পরিস্থিতির কথা সকলের সঙ্গে শেয়ার করেছেন পাশাপাশি অন্যান্য অভিভাবকদেরও সচেতন করে জানিয়েছেম, ওমিক্রন প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য খুব বেশি কষ্টদায়ক না হলেও ছোটদের জন্য মারাত্মক ভয়ঙ্কর। ছোটদের না আছে ভ্যাকসিন, না বেশিক্ষণ পারে মাস্ক পরতে। তাই ওদের জন্য বাড়তি সতর্কতা নিতেই হবে। এবং সমস্ত বাবা-মায়েদের সতর্ক করার জন্যই এই পোস্ট জানকির। তার মতে, এই পোস্ট দেখে যদি অনান্য অভিভাবকরা উপকৃত হন, তাতেই আমার সাফল্য। স্ত্রী জানকির এই পোস্টে সকলেই মন্তব্য করেছেন এবং সুফির দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন। নকুল কমেন্টে জানিয়েছেন চ্যাম্পিয়ান মেহতা। গত বছর ফেব্রুয়ারি মাসে নকুল ও জানকির কোলে আসে সুফি।