সংক্ষিপ্ত

একজন বিবাহিত পুরুষ শুধুমাত্র পরিবারের চাপে পরে নিজের স্ত্রীকে এবং সন্তানকে বাঁচাতে ঠিক কোন কোন পথ অবলম্ববন করেন জয়েস ভাই জোরদারের ট্রেলারে মিলেছে তারই ঝলক। 
 

সমাজে আমরা কি সত্যিই এগোতে পেরেছি? পেরেছি কি আমরা উন্নত হতে? যদি সত্যিই তাই হবে, তাহলে কেন এখন ও আমাদের সমাজে প্রতিনিয়ত ঘটে চলেছে কন্যা ভ্রুণ হত্যা? কেন এখন ও পুরুষ সন্তানই প্রাধান্য পায়, কন্যা সন্তান নয়? কন্যা সন্তানরা কি বংশের উত্তরাধিকারী হতে পারে না? কেবলমাত্র পুরুষ সন্তান না থাকলে একটি পরিবারের পৈতৃক সম্পত্তি বা মালিকানা বহন কি একজন কন্যা সন্তান করতে পারে না? আমাদের সমাজে আজও এহেন নানান প্রশ্ন ওঠে। আজও দেশের পিছিয়ে পড়া অঞ্চলগুলিতে কন্যাভ্রুণ হত্যার মতো ঘৃণ্য ঘটনা ঘটে। নতুবা কন্যা সন্তান জন্মানোর পরই তাকে মেরে ফেলা হয়। এবার রণবীর সিং অভিনীত ছবি জয়েস ভাই জোরদার ছবিতে মিললো এমনই এক ঘটনার ঝলক। 

ছবিতে রণবীর সিং অর্থাৎ জয়েস ভাই একজন অত্যন্ত সাধারণ মানুষ, যদিও তাঁর বাবা হলেন গ্রামের মোড়ল। তবে তাঁর জীবনে বিশেষ কোনও চাহিদা নেই। জীবনটাকে স্বাভাবিকভাবেই দেখেন তিনি। তবে বাবা এবং মায়ের চাপে রীতিমত তাঁর প্রাণ একেবারে ওষ্ঠাগত। কেন জানেন? কারণ বাবার পরবর্তী উত্তরসূরী হিসাবে বাবার দায়িত্ব সামলাতে হবে তাঁকে। এদিকে এখনই এই সকল দায়িত্বের বোঝা কাঁধে নিতে একেবারেই সরগর নন! উপরন্তু তাঁর আবার কন্যাসন্তান। সুতরাং ভবিষ্যতে সেই পরিবারের রাশ কার হাতে তুলে দেবেন, তা নিয়ে বেজায় চিন্তির মোড়ল মশাই। 

 

মোড়লের বড় আক্ষেপ যে তাঁর ছেলে জয়েশের কোনও পুত্রসন্তান নেই। সেই কারণে নানান চেষ্টা চালিয়েছেন তিনি শুধুমাত্র পরিবারের একজন পুত্র সন্তান জন্মানোর আশায়। কখন ও মন্দিরে গিয়ে হত্যে দিয়েছেন তো কখন ও আবার ডাক্তারের উপরই চালিয়েছেন জ্যোতিষবিদ্যা। ডাক্তার যদি বলেন 'জয় শ্রী কৃষ্ণ' তবে না কি হবে পুত্র সন্তান আর ডাক্তার যদি বলেন জয় মাতা দি তবে না কি হবে কন্যা সন্তান! অবশেষে যখন জানতে পারেন আবার ও কন্যা সন্তানই আসতে চলেছেন তখন আর মাথা ঠিক রাখতে পারেন নি মোড়ল মশাই। শেষে কি না বাবার চাপে পড়ে স্ত্রী সন্তানকে নিয়ে পালাতে বাধ্য হন জয়েস ভাই। 

আরও পড়ুন- ধুনকি সিনেমার হাত ধরে প্রথমবার একসঙ্গে শাহরুখ-রাজকুমার হিরানি, ঘোষণা হল মুক্তির তারিখ

আরও পড়ুন- কাজের জন্যই কি ভেস্তে গেল রণবীর-আলিয়ার মধুচন্দ্রিমা? বিয়ের ৫ দিন পরই কাজে ফিরলেন রালিয়া জুটি

আরও পড়ুন- 'রাস্তা আটকে নামাজ পড়াকে আমি কখনওই সমর্থন করি না' ফের তসলিমা নাসরিনের টুইট ঘিরে বিতর্ক

তবে অবশেষে কী পরিণতি হবে জয়েস ভাইয়ের পরিবারের? সেই কাহিনি জানতে হলে অপেক্ষা করতে হবে ছবির মুক্তি পর্যন্ত। মে মাসের ১৩ তারিখ নিকটবর্তী প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেতে চলেছে জয়েসভাই জোরদার। ছবিতে মোড়লের ভূমিকায় দেখা যাবে বোমান ইরানিকে। অন্যদিকে জয়েস ভাইয়ের মায়ের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন রত্না পাঠক শাহ। এছাড়া আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রগুলির মধ্যে রয়েছেন শালিনী পাণ্ডে, দীক্ষা যোশী এবং অন্যান্যরা।