সংক্ষিপ্ত

  • সাক্ষাৎকারে বিভিন্ন প্রসঙ্গে খোলামেলা উত্তর দিলেন সলমন খান
  • ক্যান্ডেল নাইট ডিনার তার মোটেও পছন্দের নয়
  • বক্স অফিসের দাপট আর বেশি দিন খাবে না

ভারত ছবির প্রোমশনের জন্য এখন প্রায়সই মিডিয়ার সন্মুখীন হচ্ছেন সলমন খান। ছবির পোস্টার লঞ্চ থেকে শুরু করে গান, ট্রিজার লঞ্চ, প্রতিটি অনুষ্ঠানেই ক্যাটরিনা ও সলমন জুটিকে অনায়াসে পাওয়া যাচ্ছে একই ফ্রেমে। এবার সেই ছবিরই প্রমোশনে এসে খোলাখুলি কথা বললেন সলমন খান। মাইনেশন-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ব্যক্তিগত জীবন ছাড়াও তুলে ধরলেন চলচ্চিত্র জগতের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক।

অভিনেতার বয়স ৫৩, এখনও তিনি অবিবাহিত, ফলেই ভক্তের মুখে একটাই প্রশ্ন কবে মিলবে সুখবর। বি টাউনে বর্তমান প্রজন্মের তারকাদের ডেটিং, ডিনারের ছবি অহরহ প্রকাশ্যে আসে সোশ্যাল মিডিয়ায়, কিন্তু ভাইজান ডেটিং করছেন কাকে, তার জীবনে ডেটিং-এর অভিজ্ঞতাই বা কী। এদিন সাক্ষাৎকারে সলমন খান প্রকাশ্যে আনেন ডেটিং-ডিনার-এর রহস্য। ক্যান্ডেল নাইট ডিনার তার মোটেও পচ্ছন্দ নয়, কারণ দুটি, প্রথমত, এই ধরনের ডিনারে অধিকাংশ সময়ই বিয়ের প্রস্তাব পাওয়া যায়, তাই এক প্রকার এড়িয়েই চলেন অভিনেতা বিষয়টিকে। আর দ্বিতীয় কারণ বশত অভিনেতা মজার ছলে জানান, ক্যান্ডেল নাইট ডিনারে পাতে থাকা পদগুলি স্পষ্ট করে দেখতে পাওয়া যায় না। খানিক থেমে তিনি আক্ষেপের সুরে এও বলেন, এখন কারুর কাছ থেকে এভাবে বিয়ের প্রস্তাব পাননি তিনি।  

সারা দেশ জুড়ে সলমন খানের ভক্তের সংখ্যা বিপুল। ভাইজানের ছবি মানেই ব্লকবাস্টার, অধিকাংশ ছবিই বক্স অফিসে হিট। এর পেছনে থাকা রহস্য কী তা নিয়ে স্বয়ং অভিনেতারও কোনও স্পষ্ট ধারনা নেই, শুধু জানালেন,- ঈশ্বরের আশির্বাদ, সকলে আমার মধ্যে কী দেখেন জানিনা, তবে এই বিপুল সংখ্যক মানুষ প্রতি পদক্ষেপে আমায় ভালোবাসা দিয়েছে। সলমন খানও ছবি দেখতে ভালোবাসেন। যখন তিনি ছোট ছিলেন যে উৎসাহ নিয়ে পর্দার দিকে তাকিয়ে থাকতেন, সেই একই উৎসাহে দর্শক আজ তার ছবি দেখে, তাই তিনিও এখন সেই একই অনুভূতি নিয়ে ছবি দেখতে বেশি পছন্দ করেন।

যদিও নিজের স্টারডাম নিয়ে খানিক ভিন্ন সুরে কথা বললেন তিনি। তিনি মনে করেন শাহরুখ খান, তিনি নিজে, আমির খান ও অক্ষয় কুমার অনেক দিন ধরেই নিজের জনপ্রিয়তা পর্দায় ধরে রেখেছেন। তবে আর মাত্র কয়েকটা বছর। তারপরই বক্স অফিসের এই বিপুল সাফল্যের চিত্রটা ক্রমেই বদলাতে থাকবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে।

ভাইজানের ছবি মানেই ব্লকবাস্টার, এখনও পর্যন্ত তিনি যে ছবিতেই অভিনয় করুক না কেন, তার ভক্তদের মধ্যে ছবিকে ঘিরে তৈরি হয় কৌতূহল, উচ্ছাস। কিন্তু সমালোচকদের রায় আবার ভিন্ন। অধিকাংশ চিত্র সমালোচকরাই সলমন খানের ছবি সম্পর্কে খুব একটা ইতিবাচক ইঙ্গিত করেন না। তবুও সেই ছবিগুলোকে বাজারে ভালোই ব্যবসা করেত  দেখা যায়। এই বিষয় স্পষ্ট ভাষায় উত্তর দিলেন সলমন খান। তার মতে একটা ছবি মানুষ আগে প্রেক্ষাগৃহে দিয়ে দেখবে তবেই সিদ্ধান্ত নেবে ছবিটি কেমন হয়েছে। তা না করে, কেবল মাত্র ছবির সমালোচনা পড়ে কখনই সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিৎ নয়। তিনি আরও জানান, ছবির সমালোচনা করতে গিয়ে কিছু একটা লিখে দিলেই দায় শেষ হয়ে যায় না। একটা ছবি বানাতে অনেক টাকা খরচ হয়। প্রথম চলচ্চিত্র জগতে যখন তিনি পা রেখেছিলেন তখন একটি বড় বাজেটের ছবি তৈরি হয় এক কোটি টাকায়। এখন ছোট বাজাটের ছবি তৈরি মানেই ২০ থেকে ৩০ কোটি টাকা। দর্শক প্রেক্ষাগৃহে না আসলে হয়তো সলমন খানের খুব একটা আয়ের হেরফের হবে না, কিন্তু ছবি তৈরির সঙ্গে এমনও অনেক ব্যক্তি জড়িয়ে থাকেন যাদের ক্ষেত্রে বিস্তর প্রভাব ফেলে এই সিদ্ধান্ত।