সংক্ষিপ্ত
- ওয়েবসিরিজ রে- নিয়ে ক্রমশ তর্জা বেড়েই চলেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়
- ছবি নিয়ে রীতিমতো প্রশ্ন তুলেছেন সত্যজিৎ পুত্র পরিচালক সন্দীপ রায়
- রীতিমতো ওয়েবসিরিজটি দেখতেও ভয় পাচ্ছেন সত্যজিৎ পুত্র
- হাজারো সমালোচনার মধ্যেই এবার সৃজিতের প্রশংসায় পঞ্চমুখ তসলিমা নাসরিন
সদ্যই নেটফ্লিক্সে মুক্তি পেয়েছে পরিচালক সৃজিত চক্রবর্তী পরিচালিত ওয়েবসিরিজ 'রে'-এর প্রথম সিজন। যা নিয়ে ক্রমশ তর্জা বেড়েই চলেছে। সময় যত এগোচ্ছে ততই যেন ছবি নিয়ে কাটাছেড়া বেড়েই চলেছে। ছবি নিয়ে রীতিমতো প্রশ্ন তুলেছেন সত্যজিৎ পুত্র পরিচালক সন্দীপ রায়। কিন্তু কেন হঠাৎ বেসুরো হলেন পরিচালক, নিজেই খোলসা করলেন প্রথম সারির সংবাদমাধ্যমে।
আরও পড়ুন-তিন দশক ধরে রেখার জীবনে রাজ করছেন এক নারী, এমন এক বিতর্কিত কাহিনি যা চর্চায় থাকে আজও
আরও পড়ুন-কার্তিকের সঙ্গে অবাধ যৌনতা এখন অতীত, গোপনে কাকে ডেটিং করছেন সইফ কন্যা সারা, ছবি Viral
পরিচালক সন্দীপ রায় প্রথম সারির সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, 'সত্যজিৎ রায়ের চারটি ছোটগল্প নিয়ে তৈরি ওয়েবসিরিজ রে নিয়ে রীতিমতো ক্ষুব্ধ তিনি। নেটফ্লিক্স কর্তৃপক্ষ প্রথমে ছবিটি করার আগে আমার কাছে এসেছিল। এবং বাবার গল্পের উপর কাজ করা নিয়েও অনুমতি চেয়েছিল। আমি কোনওরকম সঙ্কচ না করে অনুমতি দিয়ে দিন। কিন্তু তারপরেই যেন পুরো বিষয়টি বদলে যায়। আমার সঙ্গে কোনও বিষয় নিয়ে তারা আলোচনা করেনি। গল্পের ফাইনাল স্ত্রিপ্ট থেকে চূড়ান্ত পর্যায়ের কাজও আমাকে দেখায় নি তারা। এমনকী রে-এর প্রোমোও ভাল লাগেনি। তিনি আরও জানিয়েছেন, আমি রীতিমতো ভয় পাচ্ছি ওয়েবসিরিজটি দেখতে। আসলে আমি জানতে চাই আমার বাবার গল্প নিয়ে ঠিক কী করা হয়েছে'।
সত্যজিৎ রায়ের চারটি ছোটগল্প নিয়ে তৈরি ওয়েবসিরিজ 'রে'। যা মূলত একটি অ্যান্থোলজি সিরিজ। ওয়েবসিরিজটিতে মনোজ বাজপেয়ী, কে কে মেনন, হর্ষবর্ধন কাপুর, শ্বেতা বসু প্রসাদ, গজরাও রাওস, রাধিকা মদন সহ একাধিক অভিনেতারা অভিনয় করছেন। ছবিটির প্রথম পর্বটির পরিচালনা করেছেন অভিষেক চৌবে, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্বের পরিচালনা করেছেন সৃজিত মুখোপাধ্যায় এবং চতুর্থ পর্ব পরিচালনা করেছেন বসন বালা।
'রে' নিয়ে হাজারো সমালোচনার মধ্যেই এবার সৃজিতের প্রশংসায় পঞ্চমুখ লেখিকা তসলিমা নাসরিন। সিরিজ দেখা মাত্রই সোশ্যাল মিডিয়ায় সৃজিতকে সেরার শিরোপা দিয়েছেন তসলিমা। সৃজিতের ওয়েবসিরিজ দেখে আপ্লুত হয়ে তসলিমা লিখেছেন, 'সত্যজিৎ রায়ের গল্পের ওপর ভিত্তি করে চারটে ছোট ছোট ছবি দেখাচ্ছে নেটফ্লিক্স, শুনেছি, কিন্তু সত্যি বলতে কী, দেখার তেমন ইচ্ছে ছিল না , কারণ দেখলে ভালো লাগবে এমন বিশ্বাস ছিল না। আঁতেলদের নিন্দে শুনেই দেখার ইচ্ছে জাগলো। দেখে তো রীতিমত মুগ্ধ আমি। কয়েক- দশক- পুরোনো গল্পের এমন অবিশ্বাস্য আধুনিকীকরণ করতে সাহস তো দরকারই, কল্পনাশক্তি আর শিল্পবোধও প্রচণ্ড দরকার। ছক ভাঙা সোজা ব্যাপার নয়। তুখোড় শিল্পী হলেই পারেন। সত্যজিৎ রায়কে বয়স্ক আঁতেলদের বুকপকেট থেকে বের করে এনে পুরো ভারতবর্ষের, এমনকী পুরো বিশ্বের নতুন প্রজন্মের হাতে তুলে দিলেন ওঁরা। অভিষেক চৌবে চমৎকার, ভাসান বালাও ভালো। আর আমাদের সৃজিত মুখার্জি যত ছবি বানিয়েছেন, মনে তো হচ্ছে তাঁর এ দুটো সবার সেরা'।