সংক্ষিপ্ত
আজ সকালেই হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন লতা মঙ্গেশকর। তাঁর প্রয়াণে শোকের ছায়া গোটা দেশে। শোকপ্রকাশ করেছে সংগীত জগতের সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন মহলের একাধিক মানুষ। বাদ যাননি গায়ক সুদেশ ভোঁসলে।
প্রয়াত সুর-সম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকর (Lata Mangeshkar Passes Away)। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৯২ বছর। করোনা আক্রান্ত হওয়ায় ১১ জানুয়ারি মুম্বইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে (Breach Candy Hospital) ভর্তি করা হয়েছিল তাঁকে। নিউমোনিয়াতেও আক্রান্ত হন তিনি। তারপর থেকে ছিলেন আইসিইই-তেই (ICU)। প্রায় একমাস ধরে হাসপাতালে লড়াই চালাচ্ছিলেন তিনি। কখনও তাঁর শারীরিক অবস্থা (Health Condition) ভালো হচ্ছিল, আবার কখনও খুবই খারাপ। সেভাবেই কোনওরকমে লড়াই চালাচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু, গতকাল শারীরিক অবস্থার খুবই অবনতি হওয়ায় তাঁকে রাখা হয় ভেন্টিলেশনে (Ventilator)। তবে সেই লড়াই শেষে আর জেতা হল না তাঁর। আজ সকালেই হাসপাতালে (Hospital) শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। তাঁর প্রয়াণে শোকের ছায়া গোটা দেশে। শোকপ্রকাশ করেছে সংগীত জগতের সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন মহলের একাধিক মানুষ। বাদ যাননি গায়ক সুদেশ ভোঁসলে (Sudesh Bhonsle)।
সুদেশ ভোঁসলের বক্তব্য
লতা মঙ্গেশকরের প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করেছেন সংগীত জগতের সঙ্গে যুক্ত অনেকেই। কোনও না কোনও সময় তাঁদের সঙ্গে কাজ করেছিলেন লতা। সুদেশ ভোঁসলের সঙ্গেও কাজ করেছিলেন তিনি। লতা মঙ্গেশকরের গান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "মনে হয় তাঁর গান শুধু শুনেই যাই। কখনও যেন শেষ না হয়। তাঁর গান, তাঁর কণ্ঠস্বর কখনও শেষ হবে না।"
আরও পড়ুন- রবিবার সকালেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ, প্রয়াত সুর-সম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকর, শোকের ছায়া দেশ জুড়ে
লতার সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা
লতা মঙ্গেশকরের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতাও ভাগ করে নিয়েছেন সুদেশ ভোঁসলে। তিনি বলেন, "সব সময় সহকারীদের সঙ্গে খুব ভালোভাবে মিশতেন। তাঁর শরীরি ভাষায় কখনও প্রকাশ পেত না যে তিনি লতা মঙ্গেশকর। আমি নিজেকে ভাগ্যবান বলে মনে করি যে তাঁর সঙ্গে আমি বিশ্ব ভ্রমণ (World Tour) করেছি। ১৯৯৫ ও ১৯৯৭ সালে আমেরিকার বিভিন্ন প্রান্তে শো করেছি। সবথেকে বড় বিষয় তাঁর সঙ্গে দাঁড়িয়ে গান গেয়েছি। এটা অবশ্য এখন মনে হয় গল্পকথা। কিন্তু, তা একেবারেই নয়, সত্যিই আমি গেয়েছি। আমেরিকায় ২৫ হাজার থেকে ৫০ হাজার মানুষের সামনে গান গেয়েছি। আমি যে গলা পরিবর্তন করে গান করতাম সেটা তাঁর খুব ভালো লাগত। এর জন্য আমার অনেক প্রশংসা করতেন।"
আরও পড়ুন- 'এই শোক ভাষায় প্রকাশ করতে পারছি না', লতা মঙ্গেশকরের প্রয়াণে শোকপ্রকাশ প্রধানমন্ত্রীর
না ফেরার দেশে লতাশেষ রক্ষা আর হল না। ২৮ দিনের দীর্ঘ লড়াই শেষে হার মানলেন লতা মঙ্গেশকর (lata mangeshkar)। শনিবার দুপুরেই তাঁর স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটে। তখন থেকেই চলছিল অ্যাগ্রেসিভ ট্রিটমেন্ট (Agressive Treatment)। ডাক্তারের কথায় তিনি প্রাথমিক অবস্থায় টলারেট করছিলেন এই চিকিৎসা পদ্ধতি, রাতের দিকে অবস্থার উন্নতিও ঘটে। তবে শনিবারই তাঁকে তড়িঘড়ি আইসিইউ থেকে দেওয়া হয় ভেন্টিলেশনে, শুরু করা হয় অ্যাগ্রেসিভ ট্রিটমেন্ট। সেই চিকিৎসায় সাড়া দিয়েছিলেন লতা মঙ্গেশকর। শনিবার রাতেই হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে সেই খবর সকলকে জানিয়েছিলেন তাঁর বোন তথা গায়িকা আশা ভোঁসলে। রবিবার সকালে শেষ পাওয়া খবরে জানা যায়, চিকিৎসকের কড়া নজরদারিতেই ছিলেন লতা মঙ্গেশকর। ২৪ ঘণ্টার পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছিল তাঁকে। ভেন্টিলেশনেই ছিলেন তিনি। তবে শনিবারই একাধিক সেলেব থেকে রাজনীতিবিদরা তাঁকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন। কিন্তু, রবিবার সকাল হতে না হতেই ফের তাঁর শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হতে শুরু করে। তারপর আর লড়াই জারি রাখতে পারেননি তিনি। অবশেষে হার মেনে পাড়ি দেন না ফেরার দেশে। ফেলে রেখে গেলেন পরিবারের পাশাপাশি শত কোটি অনুরাগীকে।
আরও পড়ুন- 'সঠিক অর্থেই ভারতের নাইটিঙ্গল ছিলেন', লতা মঙ্গেশকরের প্রয়াণে শোকাহত মমতা