সংক্ষিপ্ত
অনীক ধর জানিয়েছেন, কেকে লাইভ কনসার্টে কীভাবে এত ভিড় হল। যেখানে যত লোকের ক্যাপাসিটি রয়েছে ঠিক ততজনই যেন থাকতে পারে তার চেয়ে কেন এত জমায়েত হল? এই বিষয়টা একটু নজরে রাখা উচিত। আসলে কেকে -র গান শুনতেই ভিড় জমিয়েছিল ভক্তরা। তবে যতটা জমায়েত হওয়ার কথা ছিল তার চেয়ে দ্বিগুণেরও অনেক বেশি জমায়েতই কি মৃত্যুর কারণ হল কেকে-র। গায়কের মৃত্যুতে একাধিক প্রশ্ন চিহ্ন উঠছে।
সঙ্গীতজগতে ফের বড় ধাক্কা। গায়ক কেকে-এর মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ বলি ইন্ডাস্ট্রি তথা সঙ্গীত মহল। তিনি আর নেই। এখন যেন কথাটা ঠিক বিশ্বাস হচ্ছে না। সকলের মন খারাপ করে না ফেরার দেশে চলে গেলেন কেকে। এটা তো হওয়ার কথা ছিল না। কী নিষ্ঠুর নিয়তি। এটা যেন কেউই মেনে নিতে পারছেন না। গত মঙ্গলবার কলকাতার নজরুল মঞ্চে গানের অনুষ্ঠান করতে এসেছিলেন কেকে। গায়কের বিখ্যাত গানগুলি একেবারে কাছ থেকে শোনার জন্য যেন উপচে পড়েছিল ভিড়। তবে কলকাতায় গান গাওয়া যে জীবনের শেষ গান হবে তা মনে হয় কেউ ভাবকে পারেননি।
আরও এক নক্ষত্রপতন। ২০২২ সালটা যে মোটেই ভাল যাচ্ছে না, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। একের পর এক মৃত্যুসংবাদ। বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে বড় ধাক্কা। অকালে চলে গেলেন স্বনামধন্য গায়ক কৃষ্ণকুমার কুন্নাথ ওরফে কেকে। মঙ্গলবার কলকাতার নজরুল মঞ্চে গানের অনুষ্ঠান করতে করতেই অসুস্থ বোধ করছিলেন এবং অনুষ্ঠান শেষে হোটেলে ফিরতেই আরও যেন বেশি অসুস্থ হয়ে পড়েন। সঙ্গে সঙ্গেই নিউমার্কেটের পাঁচতারা হোটেল থেকে গায়ককে একবালপুরের কাছে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে নিয়ে যেতেই চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। গায়কের মৃত্যুতে শোকের ছায়া পড়েছে সঙ্গীতমহলে। কেন তাকে নজরুল মঞ্চ থেকে সোজা পাশের কোনও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হল না? কেনই বা তাকে অসুস্থ অবস্থায় হোটেলে নিয়ে যাওয়া হল ? এই প্রশ্ন তুলেছেন গায়ক অনীক ধর। অনীক জানিয়েছেন, মানুষটা চিকিৎসা করার কোনও সুযোগই দিলেন না, এইভাবে অকালে চলে গেল। তবে আমাকে সবথেকে বেশি কষ্ট দিচ্ছে যে কলকাতার নজরুল মঞ্চ থেকে কেন কেকে স্যারকে হোটেলে নিয়ে যাওয়া হল, যদি নজরুল মঞ্চ থেকে পাশেই এএমআরআই কিংবা কাছের কোনও হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে চেষ্টা করা হতো। এতবড় মাপের একজন শিল্পীকে কোনও চেষ্টাই করা হল না। আর কেকে স্যার হোটেলে গিয়ে পড়ে গেলেন তারপর তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এই যে এতটা সময় ধরে তিনি কষ্ট পেলেন তার কোনও চেষ্টাই করা হল না।
অনীক বলেছেন, আরও বেশি খারাপ লাগছে এটা ভেবে যে কোনও শো-এর পরে আমরা হোটেলে ফিরেই বাড়িতে ফোন করে বলি যে শো শেষ করে হোটেলে ফিরেছি, এবার ফ্রেশ হয়ে ডিনার করে ফোন করছি, কিংবা ভিডিও কল। আর কেকে স্যারের ক্ষেত্রে তার পরিবারকে ফোন করে জানানো হল তিনি আর নেই। এর চেয়ে বড় দুঃখের মনে হয়না আর কিছু হতে পারে। কেকে-প্রয়াণে প্রচন্ড ভাবেই ভেঙে পড়েছে তার পরিবার পরিজন এবং তার সমস্ত ভক্তরা। সকলকেই যেন ফাঁকি দিয়ে চলে গেলেন বলিউডের স্বনামধন্য গায়ক কেকে। নিজেকে কোনওভাবেই সামলাতে পারছেন না গায়ক অনীক ধর। তিনি প্রশ্ন তুলে বলেছেন, কেকে লাইভ কনসার্টে কীভাবে এত ভিড় হল। যেখানে যত লোকের ক্যাপাসিটি রয়েছে ঠিক ততজনই যেন থাকতে পারে তার চেয়ে কেন এত জমায়েত হল? এই বিষয়টা একটু নজরে রাখা উচিত। আসলে কেকে -র গান শুনতেই ভিড় জমিয়েছিল ভক্তরা। তবে যতটা জমায়েত হওয়ার কথা ছিল তার চেয়ে দ্বিগুণেরও অনেক বেশি জমায়েতই কি মৃত্যুর কারণ হল কেকে-র। গায়কের মৃত্যুতে একাধিক প্রশ্ন চিহ্ন উঠছে।