সংক্ষিপ্ত
- পরিযায়ী শ্রমিকদের কাছে ভগবানের সমান হলেন সোনু সুদ
- লকডাউন, মহামারী, করোনার প্রকোপেও বাড়ি ফিরিয়েছেন তাদের
- নিজের প্রাণকেও তুচ্ছ করে নেমেছিলেন ময়দানে
- এবার সেই অভিজ্ঞতা নিয়ে বই লিখবেন রিল হিরো
সোনু সুদকে ভারতরত্ন দেওয়া হোক। এমনই আর্জি জানিয়েছিল কোটি কোটি দেশবাসী। পরিযায়ী শ্রমিকদের নিজে দাঁড়িয়ে থেকে বাসে, ট্রেনে বাড়ি ফিরতে সাহায্য করেছেন বলিউড অভিনেতা সোনু সুদ। অন্যান্য অভিনেতারা যেখানে বাড়িতে থেকেই যথাসাধ্য সাহায্য করে চলেছে এই মহামারী কাটিয়ে উঠতে, সেখানেই সোনুও ময়দানে নেমে পড়ে সাধ্যমত সাহায্যের হাত বাড়িয়েছেন পরিযায়ী শ্রমিকদের দিকে। মাস তিনেক ধরে তিনিই এখন খবরের শিরোনামে। কেবল পরিযায়ী শ্রমিকদের সাহায্য করছেন তাই নয়, নয়া হেল্পলাইন নম্বরও খুলেছেন অভিনেতা। যেখানে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে বা সেই ফোন নম্বরে যোগাযোগ করে যে কেউ নিজের সমস্যার কথা জানাতে পারেন সোনুকে। তিনি সকলকে সাহায্য করার চেষ্টা করবেন। এবার এই অভিজ্ঞতা নিয়ে বই লিখতে চলেছেন সোনু।
আরও পড়ুনঃএক ঘন্টায় ছ'লাখ লাইকস 'দিল বেচারা'র গানে, ফের সমস্ত রেকর্ড ভাঙার মুখে সুশান্ত
তাঁর কাছে গত সাড়ে তিন মাস যেন কোনও চ্যালেঞ্জের মত ছিল। ১৬-১৮ ঘন্টা ধরে পরিযায়ী শ্রমিকদের সঙ্গে থাকা, তাদের যন্ত্রণা, অভাব, দুঃখকে কাছ থেকে দেখা আমূল পরিবর্তন এনেছে তাঁর জীবনে। তারা বাড়ি ফিরতে সোনু যেন নিজের প্রাণ ফিরে পেয়েছেন। ওদের চোখের কোণায় ছিল খুশির কান্না, যা দেখে আবেগঘন হয়েছিলেন অভিনেতাও। তিনি প্রতিজ্ঞা নিয়েছেন, যতদিন না প্রত্যেক পরিযায়ী শ্রমিক নিজের বাড়ি পৌঁছতে পারছে ততদিন তিনি হাত গুটিয়ে বসবেন না। তাঁর কাছে এই অভিজ্ঞতা জীবনের সেরা অভিজ্ঞতার রূপ পেয়েছে। মহামারীর মধ্যে পরিযায়ী শ্রমিকদের বাড়ি ফেরাতে পেরে তিনি আনন্দে আত্মহারা। কোনও অ্যাওয়ার্ড জেতার থেকেও যেন এই অভিজ্ঞতা অনেক বেশি দামি।
তিনি এই সবকিছু তুলে ধরতে চান বইয়ের পাতায়। চিরকালের জন্য স্মৃতিগুলি বাঁধিয়ে রাখতে চান মলাটের ভিতর। অভিনেতা এ বিষয় বলেন, "এখন আমি বিশ্বাস করি, এই শহরে এসেছিলাম পরিযায়ী শ্রমিকদের সাহায্য করব বলে। এটাই বোধহয় আমার লক্ষ্য ছিল। আমি ঈশ্বরকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই আমার হাত দিয়ে এত বড় কাজ করানোর জন্য। মুম্বইতে এসে আমি সব পেয়েছি। পরিযায়ী শ্রমিকরা কত জায়গা থেকে এখানে কাজ করতে এসেছিলেন। উত্তর প্রদেশ, বিহার, ঝাড়খন্ড, অসম, উত্তরাখন্ড আরও কত জায়গা থেকে। ওনাদের মাধ্যমে আমি নতুন বন্ধু খুঁজে পেয়েছি, নতুন যোগাযোগ তৈরি হয়েছে। আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি সমস্ত কিছু নিজের কাছে সারাজীবনের মত রেখে দেব। বইয়ের মাধ্যমেই এই অভিজ্ঞতাকে নতুন রূপ দেব।"