সংক্ষিপ্ত
বলিউডের সঙ্গে আন্ডার ওয়ার্ল্ড এর সরাসরি যোগ নিয়ে নানান রূপকথা আমাদের সকলেরই জানা। কিন্তু এবার তা প্রকাশ্যে এলো । সালমান খানকে ডেথ থ্রেট দিলেন মাফিয়া ডন লরেন্স বিশনোই।
প্রায় দেড় মাস কড়া নজরদারি বাড়ির সামনে। বাড়িতে কে আসছে ,কখন আসছে , কেন আসছে তার পুঙ্খানুপুঙ্খ হিসেবে রাখা। তারপর বাড়ির দারোয়ানের সাথে বন্ধুত্ব করে বাড়ির মালিককে খুনের চেষ্টা । কেমন যেন সিনেমার চিত্রনাট্যের মতো শোনাচ্ছে তাই না ? কিন্তু সিনেমা নয় বাস্তবেই ঘটেছে এমন ঘটনা। কার সাথে জানেন ? বলিউডের ভাইজানের সাথে।
বলিউডের সঙ্গে আন্ডার ওয়ার্ল্ড এর সরাসরি যোগ নিয়ে নানান রূপকথা আমাদের সকলেরই জানা।কথিত আছে মুম্বাই এর আন্ডার ওয়ার্ল্ড ডনরাই নাকি ষ্টার গড়েন । আবার কেউ যদি এই মাফিয়াদের অবাধ্য হন তাহলে তাদের বেঘোরেও হারাতে হয় প্রাণ। শুধু বলিউড নয় যেকোনো বিনোদন জগতের সাময়িক চিত্রটা খানিক এরকমই । কিছুদিন আগে পাঞ্জাবি গায়ক সিন্ধু মুসাওয়ালার গুলিবিদ্ধ হওয়ার পিছনেও কিন্তু বিশেষজ্ঞরা এমনই কিছু আঁচ করেছিলেন। কিন্তু এবার সব সীমানা লঙ্ঘন করেছে মাফিয়া ডন লরেন্স বিশনোই।
বলিউডের ভাইজান সালমান খানকে রীতিমতো ডেথ থ্রেট দিয়ে বসেন লরেন্স বিশনোই ও তার দল ।সালমানকে এক চিঠিতে সে লেখেন "মুসাওয়ালার যে হাল হয়েছে , আপনারও ঠিক সেই হাল করবো।" শুধু থ্রেট দিয়েই ক্ষান্ত থাকেননি তিনি । দেড় মাস ধরে তার ফার্ম হাউসের সামনে লোক লাগিয়ে রেখেছিলেন। করেছিলেন খুনের নিখুঁত পরিকল্পনা। কপিল পন্ডিত , সন্তোষ যাদব, দীপক মুন্ডি ও আরো দুজন - লরেন্স বিশনোই দলের পিস্তলবাজ সালমানের ফার্ম হাউস সংলগ্ন এলাকায় ঘর ভাড়া নিয়েছিলেন। তাদের মধ্যে একজন ,কিভাবে হত্যা করবেন সালমানকে তার ছকও কষেছিলেন জোরদার।
সুত্রের খবর এদের প্রত্যেকের সাথে সবসময় থাকতো একটা করে ফুল লোডেড পিস্তল। যাতে সুযোগ পেলেই পুরোপুরি শেষ করে দিতে পারেন সালমানকে।
ফুটপাথে গাড়ি চাপা দেবার পর থেকেই, সালমান খুব সচেতনভাবে গাড়ি চালান। তিনি যখন ড্রাইভ করেন তখন গাড়ির গতি খুব একটা বেশি থাকে না। এই সুযোগকেই কাজে লাগাতে চেয়েছিল দুষ্কৃতীরা।এর জন্য বিভিন্ন তথ্যও সংগ্রহ করেছিল তারা। সালমানের গতিবিধির উপরও কড়া নজর ছিল তাদের। সালমানের বাড়ির দারোয়ানের সঙ্গে বন্ধুত্ব করেই সালমানের সম্পর্ক্যে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করতেন তারা।
সালমানের ব্যক্তিগত দেহরক্ষী হলেন শেরা। তিনি সালমানের ছায়াসঙ্গীও বটে। এই শেরার বলয় টপকে কিভাবে সালমানকে গুলিবিদ্ধ করা যায় তার জন্যও বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করেছিলেন এই আততায়ীর দল। সূত্রের খবর বন্দুকবাজ ভিগিলকে যখন নজরদারির দায়িত্বে রেখেছিলেন লরেন্স, সেইসময় দুবার সুযোগ হয়েছিল সলমানকে মারার। কিন্তু সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে পারেননি ভিগিল।
কিছুদিন আগেই বিশনোই দলের দুই বন্দুকবাজ গোল্ডি ভাড়ার ও কপিল পন্ডিত ধরা পরে ইন্দো- নেপাল সীমান্ত থেকে। তাদের গ্রেপ্তারির পরই উঠে আসে সালমানকে নিয়ে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য ।
এই ঘটনার পরই ভাইজান নিজের কাছে বন্দুক রাখার জন্য আবেদন জানান প্রশাসনের কাছে। গত মাসে মুম্বাই পুলিশ তার এই আবেদন অনুমোদনও করেন। তবে আগ্নেয়াস্ত্র সঙ্গে রেখে লরেন্স বিশনোই এর মতো মাফিয়াদের কতটা আটকানো যাবে সেই কথা যথেষ্ট ভাবাচ্ছে সালমান ভক্তদের ।