সংক্ষিপ্ত
কাবেরী আহ্বান মুভমেন্টে যোগ দিয়ে এবার সরব জুহি চাওলা, কৃষকদের বাড়ছে আয়, জানালেন বলিউড অভিনেত্রী।
কাবেরী কলিং মুভমেন্টের (Cauvery Calling Movement) জন্য ধন্যবাদ জানান বলিউড অভিনেত্রী জুহি চাওলা (Bollywood Star Juhi Chawla), মাঝে মধ্যেই তাঁকে সামাজিক নানান স্তরের উন্নয়নমূলক মুভমেন্টে অংশগ্রহণ করতে দেখা যায়, এবার কাবেরী কলিং-এর সঙ্গে যুক্ত হয়ে তিনি জানান, ১,২৫,০০০ কৃষক গাছ-ভিত্তিক (Tree Besed Farming) চাষ বেছে নিয়েছেন। তাদের আয় ও ফলন দুই বেড়েছে বহুগুণ। এই বিশাল সাফল্য সারা ভারতে ছড়িয়ে পড়া উচিত। তামিলনাড়ুর কৃষকদের সাথে মঙ্গলবার কথোপকথনের পরে এমনটাই জানান জনপ্রিয় হিন্দি চলচ্চিত্র অভিনেতা জুহি চাওলা (Juhi Chawla)। কাবেরী কলিং আন্দোলনের (Cauvery Calling Movement) প্রতি তাঁর প্রতিশ্রুতিকে তুলে ধরে, জনপ্রিয় হিন্দি চলচ্চিত্র অভিনেত্রী জুহি চাওলা এদিন এই জেলার কৃষকদের সাথে দেখা করেছিলেন৷ তামিলনাড়ু কাবেরী নদীকে পুনরুজ্জীবিত করার জন্য আন্দোলনের স্থল প্রথমটায় স্পষ্ট হয়। জুহি চাওলা এদিন ইরোডে পৌঁচ্ছান এবং গোবিচেত্তিপালায়ম মেওয়ানি গ্রাম ঘুরে দেখেন, যেখানে তিনি কৃষিজমি ও কৃষকদের পরিস্থিতির এক স্বচ্ছ ধারনা তৈরি করেন।
সেন্থিল কুমার, বৃক্ষ-ভিত্তিক চাষের শুরুর দিকে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী এক কৃষক এবং এই প্রকারের একজন প্রধথান কর্মী, তিনি নিজে সমস্ত বিষয়টি বুঝিয়ে বলেন। এই কার্যক্রমে উপস্থিত কৃষকরা বৃক্ষভিত্তিক চাষাবাদ তাদের জীবন ও পরিবেশে যে পরিবর্তন এনেছে সে বিষয়ে নানান তথ্য অভিনেত্রীর সঙ্গে শেয়ার করে নেন। এদিন জুহি চাওলাকে মনোযোগ সহকারে শুনতে দেখা যায় সমস্তটাই এবং মডেলটির অসাধারণ প্রভাব সম্পর্কে তিনি বেশ উৎসাহী ছিলেন। "এখানে আসার আগে আমি এই প্রকল্পের মাধ্যমে রোপণ করা চারা সম্পর্কে শুধুমাত্র 'সংখ্যা' নির্ভর তথ্য জানতাম। কিন্তু কৃষকদের সঙ্গে কথা বলার পরই তাদের জীবন ও পরিবেশে ঘটে যাওয়া অসংখ্য পরিবর্তন ও উন্নতির কথা জানতে পারি, বলে জানান জুহি।
আরও পড়ুন-Deepika Padukone: ঠেলে বেরোচ্ছে বুকের খাঁজ, শর্ট ড্রেস পরতেই চরম ট্রোলড দীপিকা
আরও পড়ুুন-'ঠোঁটে কি বোলতা কামড়েছে', চরম কটাক্ষের মুখে অর্জুনের প্রেমিকা, কড়া জবাব গাব্রিয়েলার
এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জুহি জানান, বেশিরভাগ তথ্যই বেশ অবাক করা ও উৎসাহ যোগায়, অভিনেত্রী ভারতের মৃতপ্রায় নদীগুলিকে পুনরুজ্জীবিত করতে এবং কৃষক সম্প্রদায়ের সমৃদ্ধি ও মঙ্গল আনতে এই আহ্বানের সমর্থনে সপক্ষে দাঁড়ান। “এমনকি কৃষক যারা খরা এবং পারিবারিক পরিস্থিতির কারণে তাদের জমি বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা কাবেরী কলিং আন্দোলনের মাধ্যমে গাছ-ভিত্তিক চাষে চলে গেছে। তারা নতুন আশার সন্ধান পেয়েছেন। অনেক কৃষকের আয় ও ফলন অনেক গুণ বেড়েছে জেনে আমি খুশি। তারা বলেছে যে শুধু অর্থনীতিই নয়, জমির মাটির উর্বরতাও বেড়েছে,”। জুহি চাওলা বেশ কয়েকজন কৃষকের সাথে কথা বলার পর বলেন, যারা গাছ-ভিত্তিক চাষের মডেল তাদের জীবন এবং পরিবেশের উপর যে সুন্দর প্রভাব ফেলেছে, তা এদিন স্পষ্টই উপলব্ধী করেন, আর এও জনান, এই মুভমেন্ট ছড়িয়ে দিতে হবে গোটা দেশ জুড়ে।