সংক্ষিপ্ত
শ্যাম কৌশল প্রথমসারির সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকারে জানান,দীর্ঘদিন ভুগতে ভুগতে এতটাই অবসাদে চলে গিয়েছিলাম যে একটা সময় ঠিক করে নিয়েছিলাম যে হাসপাতালের তিন তলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে নিজের জীবন দেব। কারণ আমি ওভাবে বাঁচতে চাইনি। তবে ভগবানের কৃপায় ক্যানসারটা ছড়ায়নি। ওই ঘটনার পর প্রায় ১৯ বছর কেটে গিয়েছে। এখন আর কোনও আফসোস নেই।
ফিল্মি পরিবারে বড় হলেও বলিউডে নিজের জায়গা করা অতটাই সহজ ছিল না ভিকি কৌশলের। সেকথা একাধিক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন ভিকি কৌশল। শ্যাম কৌশলের ছেলে হওয়ার পরও বিশেষ কোনও সুবিধা পাননি ভিকি । ভিকি কৌশলের বাবা শ্যাম কৌশল একাধিক বিগ বাজেটের ছবিতে অ্যাকশন ডিরেক্টর হিসেবে কাজ করেছেন। স্ট্যান্টম্যান হিসেবে কেরিয়ারের শুরু করলেও খুব শীঘ্রই বি-টাউনে নিজের জায়গা করে নেন শ্যাম কৌশল। কোনও কিছু থেকেই পিছনে সরতে রাজি নন শ্যাম কৌশল। একাধিক অ্যাকশন ফিল্মে কাজ করেছেন শ্যাম কৌশল। তবে এটা জানেন কি, কেরিয়ার যখন মধ্যগগনে, ঠিক সেই সময়েই ক্যান্সার ধরা পড়ে শ্যাম কৌশলের। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সেই কঠিন সময়ের লড়াইয়ের কথা নিয়ে মুখ খোলেন ভিকি কৌশল।
দেখতে দেখতে বলিউডে ৪২ বছর পূর্ণ করলেন শ্যাম কৌশল। ১৯৯০ সালের ৮ আগস্ট স্টান্ট আর্টিস্ট ইউনিয়নের সদস্য হন শ্যাম কৌশল। সওয়াল ছবি দিয়ে প্রথম কাজ শুরু করেন ভিকি কৌশলের বাবা শ্যাম কৌশল। তারপরেই ১৯৯০ সালে মালায়লাম ছবিতে অ্যাকশন ডিরেক্টর হিসেবে কাজ করেন শ্যাম কৌশল। তারপর বি-টাউনে প্রথম নান পাটেকরের প্রহার ছবি দিয়ে কাজ শুরু করেন। মাত্র কয়েক বছরের মধ্যে ২০০৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে স্টমাক ক্যান্সার ধরা পড়ে শ্যাম কৌশলের।
শ্যাম কৌশল প্রথমসারির সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকারে জানান, লক্ষ্যর শ্যুট সের তখন লাদাখ থেকে ফিরেছি। ব্যস তারপর থেকেই পেটের সমস্যা শুরু হয়। তখন শ্যাম বেনেগালের সঙ্গে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বোস-এর কাজ করছি। দিওয়ালির জন্য মাত্র একদিনের ছুটি ছিল। সেদিনই অসম্ভভ পেটের যন্ত্রণা শুরু হয়। তড়িঘড়ি করেই নানাবতি হাসপাতালে ভর্তি হই। তারপরই আমার পেটের অপারেশন করে। একাধিক জটিলতা ছিল শরীরে। এর আগে নানা পাটেকরের সঙ্গে অ্যাপেনডিক্স অপারেশনের জন্য ওই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলাম। তাই আমার শরীর খারাপ দেখেই নানাকে ফোন করে ডাক্তাররা। নানা পাটেকর তখন শ্যুটিংয়ে ব্যস্ত। তবে ফোন পেয়েই সব ছেড়ে চলে আসেন হাসপাতালে। এবং আমার পেটে যে ইনফেকশন ছিল সেটা পরীক্ষা করার পরই জানা যায় আমার ক্যানসার হয়েছে। আমি নিশ্চিত ছিলাম আমি বাঁচব না। তবে এটা নিয়ে কারোর সঙ্গেই কোন কথা বলিনি। ৫০ দিন হাসপাতালে ছিলাম। তারপর কাজে ফিরেছিলাম। দীর্ঘ ১ বছর ধরে নজরদারিতে ছিলাম। দীর্ঘদিন ভুগতে ভুগতে এতটাই অবসাদে চলে গিয়েছিলাম যে একটা সময় ঠিক করে নিয়েছিলাম যে হাসপাতালের তিন তলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে নিজের জীবন দেব। কারণ আমি ওভাবে বাঁচতে চাইনি। তবে ভগবানের কৃপায় ক্যানসারটা ছড়ায়নি। ওই ঘটনার পর প্রায় ১৯ বছর কেটে গিয়েছে। এখন আর কোনও আফসোস নেই।