সংক্ষিপ্ত

  • সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু নিয়ে মুখ খুললেন জারিন খান
  • কেন সুশান্ত বেঁচে থাকার সময় তাঁর প্রশংসা করেনি কেউ
  • কেন একজন মানুষের মৃত্যুর পর তাঁকে মানসিকভাবে অসুস্থ বলা হচ্ছে
  • নানা বিতর্কিত প্রশ্ন তুললেন সলমনের ঘনিষ্ঠ বান্ধবী

সাল ২০২০। আজীবন মনে থাকবে এই বছরটা। মহামারী, ঘুর্ণিঝড়, ভূমিকম্প, মৃত্যু, একের পর এক তারকার মৃত্যু। কিছুই বাদ যাচ্ছে না এই বছর। একাকিত্ব এমনভাবে এক প্রাণোচ্ছল ছেলেকে গ্রাস করবে তা দুঃস্বপ্নেও ভাবেনি কেউ। সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুতে দেশে যেন এক ভিন্ন জোয়ার এনে দিয়েছে। বলিউডের প্রভাবশালী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছে নেটিজেনরা। সলমন খান, করণ জোহার, একতা কাপুর, সঞ্জয় লীলা বনশালী, মহেশ ভাটকে সুশান্তের মানসিক অবসাদের জন্য দায়ী করা হয়েছে। 

অনেকের মতে, সুশান্তের মৃত্যু আত্মহত্যা নয়, পরিকল্পিত খুন। সেই নিয়েই তোলপাড় হয়ে চলেছে সোশ্যাল মিডিয়া। এবার সুশান্তের মৃত্যু নিয়ে প্রশ্ন তুললেন জারিন খান। ট্যুইটারে বেশ কিছু জিনিসের বিরোধিতা করলেন অভিনেত্রী। সলমনের ঘনিষ্ঠ মহলের একজন হলেন জারিন। তিনি ট্যুইটারে লিখেছেন, "একজন মানুষকে নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করতে হল প্রাণ দিয়ে। কেন সেই মানুষটি বেঁচে থাকাকালীন তাঁর প্রশংসা কেউ করল না। সুশান্তের ব্যক্তিগত জীবনের বিষয় কারও কোনও জ্ঞান নেই, তাহলে কেন সকলে এত প্রশ্ন তুলছে। আর বুদ্ধিমান হওয়ার সঙ্গে মানসিক অবসাদের কী কারণ থাকতে পারে।" এই ধরণের নানা প্রশ্ন তোলায় জারিনের প্রশংসায় পঞ্চমুখ নেটিজেন।

 

#VoicesInMyHead #ZareenKhan pic.twitter.com/ZFLZMQfX4l

— Zareen Khan (@zareen_khan) June 24, 2020 /p>

তাঁর প্রতিটি প্রশ্ন সঠিক বলে জানাচ্ছে সাইবারবাসী। প্রসঙ্গত, বাড়ির পরিচারিকাই প্রথম দেখতে পান সুশান্তের ঝুলন্ত দেহ। জানা যায়, মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন অভিনেতা। তাঁর মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করে সুশান্ত সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছিলেন বলিউড তারকারা। নেটিজেনের কথায়, সুশান্ত সিং রাজপুতের হাসিমুখটাই চিরজীবন চোখের সামনে থেকে যাক। সেই হাসিমুখ দেখে কেউ ধরতেও পারেনি যে এই হাসির পিছনেই লুকিয়ে আছে মন ভরা অবসাদ। কথা বলার একটি লোকও ছিল না পাশে। মা-কে হারিয়েছেন সেই পাটনা থেকে দিল্লি আসার সময়। তারপর মায়ের মত বোধহয় আর কাউকে কাছে টেনে নিতে পারেননি। তারপরই সুশান্তের এই ঘটনায় বলিউডে উঠেছে প্রতিবাদের ঝড়। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল মাত্র ৩৪।