সংক্ষিপ্ত

  • কোথাও ঘুরতে গেলে অনেক ক্ষেত্রেই অনলাইনে হোটেল বুক করা হয়
  • কিন্তু অনলাইনে হোটেল বুক করতে গেলে অনেক সময় ঠকতে হয় 
  • মিশরের পাঁচতারা হোটেল বুক করেন ব্রিটেনের এক পরিবার
  • সেখানে গিয়ে দেখলেন ধূ ধূ জমি, হোটেল অনেক দূরের গল্প 

দূরে কোথাও ঘুরতে গেলে, বিশেষ করে বিদেশে ঘুরতে গেলে পর্যটন সংস্থার দ্বারস্থ হতে হয়। তাদের  সঙ্গে শলামর্শ করে হোটেল বুক করা ছাড়া কোনও উপায় থাকে না। তবে এই ধরনের ঘটনায় অনেক সময় ঠকতে হয়।  যে ধরনের সুযোগ সুবিধা দেওয়ার কথা থাকে, অনেক সময় তা পাওয়া যায় না। কিন্তু ব্রিটিশ পরিবারের সঙ্গে যা হল, সেই ধরনের পরিস্থিতিতে আগে বোধহয় কেউ পড়েনি। 

মার্ক মুড নামের ৩৩ বছরের এক যুবক পরিবারকে নিয়ে দুই সপ্তাহের জন্য মিশর ঘোরার পরিকল্পনা করেন। সেই অনুযায়ী  মুড একটি ভ্রমণ সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। পাঁচ তারা হোটেল বুক করেন। এই হোটেল বুক করতে খোয়াতে হয় ৩,৪৬৫ ইউরো। ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৩.২ লক্ষ টাকা।  অর্থ ব্যয় হোক, কিন্তু  ছুটির  সময় মনের মতো জায়গায় থাকা যাবে। সামনেই সমুদ্র সৈকত।  ক্লান্তি দূর করতে আছে সুইমিং পুল। 

শবরীমালা মন্দিরে ঢুকতে দেওয়া হল ১০ মহিলাকে, বেস ক্যাম্প থেকেই ফিরতে হল তাঁদের

কিন্তু মিশরে নেমে অবাক কাণ্ড। কোথায়  পাঁচতারা হোটেল। ধূ ধূ করছে ফাঁকা জমি। হ্যাঁ, সেখানে পাঁচতারা একটা হোটেল হওয়ার কথা রয়েছে বটে। তবে সেখানে একটা  বাড়িও এখনও পর্যন্ত তৈরি হয়নি। কর্তৃপক্ষ তাঁদের অন্য একটি হোটেলের ব্যবস্থা করে দেয়। কিন্তু  সেই হোটেলটি ছিল একবারে নিম্নমানের। নোংরা এবং আসবাবপত্র ভাঙা।  

এই বিষয়ে অভিযোগ জানানোর পর, ব্রিটিশ পরিবারটিকে অন্য একটি হোটেল দুই দিন পরে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু তৃতীয় হোটেলটির দাবি শুনে চক্ষু চড়কগাছ হওয়ার জোগাড়। সেখামে  আট হাজার ইউরো ডিপোসিট করতে বলা হয়।  ভারতীয় মুদ্রায় যার মূল্য প্রায় ৭.৪ লক্ষ টাকা।  ট্রাভেল এজেন্সি এবার হুমকির সুরে  বলে, ওই টাকা ফেরত দিয়ে দেওয়া হবে। যদি ওই টাকা ডিপোসিট হিসেবে না দেওয়া হয়, ব্রিটিশ পরিবারটিকে মিশরের রাস্তায় থাকতে হবে।

যুদ্ধ শেষ, হায়দরাবাদ ট্রেন দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত চালকের মৃত্যু
  
মুড বলেন, এটা ছুটিটা আমি ভেবেছিলাম স্বপ্নের মতো হবে। কিন্তু দুঃস্বপ্ন হয়ে উঠছিল ক্রমশ। বিদেশে গিয়ে অসহায় লাগছিল। চোখ থেকে জল বেরিয়ে যাওয়ার উপক্রম।  আমাদের দুঃস্বপ্নের ছুটি যেন কিছুতেই শেষ হচ্ছিল না।  যে বাসটির আমাদের বিমানবন্দরে নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল, সেটি আমাদের অন্য  একটি হোটেলে নিয়ে যায়। 


অগস্টে এই ঘটনা ঘটলে, সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে সম্প্রতি তা প্রকাশ্যে এসেছে।  তৃতীয় যে হোটেলটিতে মুড এবং তাঁর পরিবার ছিলেন, তাঁরা ডিপোজিট ফেরত দিয়েছে। কিন্তু  ওই পর্যটন সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে ভোলেনি। অভিযোগের জেরে ওই পর্যটন সংস্থা ৪,৯৪২.৮৪ ইউরো ফেরত দেয়। ভারতীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ৪.৫৭ লক্ষ টাকা।