সংক্ষিপ্ত
টানা ১০ বছর ধরে এই বাড়িতে বাস করছিলেন ব্রিটিশ দম্পতি। তবে নিজেদের নামে নয়। বেনামেই বাড়িটি নিয়েছিলেন তাঁরা। সম্প্রতি বাড়িটি সংস্কার করার কাজে হাত লাগিয়েছিলেন। আর সেই সময়ই বাড়ির রান্না ঘরের মাটির তলা থেকে উদ্ধার হয়ে প্রায় ২৬৪টি সোনার মুদ্রা।
বাড়ি সারানো ঝক্কির কাজ। কিন্তু এই বাড়ি সারাতে গিয়েই কপাল খুলে গেল এক ব্রিটিশ দম্পতির। ইংল্যান্ডের বিখ্যাত সংবাদপত্র দ্যা টাইমসের মত ব্রিটিশ দম্পত্তি তাঁদের রান্না ঘরের মেঝে খুঁড়ে উদ্ধার করেছেন ২৫০টিরও বেশি সোনার টাকা। যার বর্তমান বাজারমূল্য ভারতীয় টাকায় প্রায় ২.৩ কোটি।
টানা ১০ বছর ধরে এই বাড়িতে বাস করছিলেন ব্রিটিশ দম্পতি। তবে নিজেদের নামে নয়। বেনামেই বাড়িটি নিয়েছিলেন তাঁরা। সম্প্রতি বাড়িটি সংস্কার করার কাজে হাত লাগিয়েছিলেন। আর সেই সময়ই বাড়ির রান্না ঘরের মাটির তলা থেকে উদ্ধার হয়ে প্রায় ২৬৪টি সোনার মুদ্রা। ব্রিটিশ মূল্য ২৫০০০ পাউন্ড। দম্পতি সেগুলি নিলাম করার পরিকল্পনা নিয়েছে। নিলাম পরিচালনা করবে স্পিংক অ্যান্ড সন।
বিশেষজ্ঞদের অনুমান সোনার টাকাগুলির প্রায় ৪০০ বছর পুরনো। ২০১৯ সালেও এজাতীয় প্রচুর সোনার মুদ্রা উদ্ধার হয়েছিল।
দ্যা টাইম জানিয়েছে নিলাম সংস্থাটি মনে করছে চড়া দাম উঠবে। বলেছে, পাবলিক মার্কেটপ্লেসে সোনার মুদ্রাগুলির দাম কী হবে তা নিয়ে রীতিমত উত্তেজনা রয়েছে সংশ্লিষ্টদের মধ্যে। তিনি আরও বলেছেন একটি সময় ব্রিটিশ স্বর্ণমুদ্রার দাম তেমন ছিল না। তবে এগুলি তাঁর আর্থিক অবস্থা ফিরিয়ে দিতে পারে বলেও আশা করছেন দম্পতি।
দম্পতির কাছে এটি একটি অবিশ্বাস্য ঘটনা। কারণ এলারবি গ্রামে এই সম্পত্তিটি ছিল তাঁদের। টানা ১০ বছর রয়েছেন। কিন্তু কোনও দিন সোনার টাকার কথা শোনেননি। এগুলি ১৮শ শতকের বলেও তারা দাবি করছেন। কংক্রিট খুঁড়তেই এগুলি উদ্ধার হয়েছে। দম্পতির কথা কংক্রিটের মাত্র ৬ ফুট নিচেই ছিল গুপ্তধন। ব্রিটিশ দম্পতি জানিয়েছে তাঁরা মাটি খোঁড়ার সময় মনে করেছে একটি বৈদ্যুতিক তারে আটকে যাচ্ছে। কিন্তু খোঁড়াখুঁড়ির সময় একটি বাস্তা পায়। সেটির মধ্যেই ছিল কয়েনগুলি। দম্পতি প্রথমে কিছুটা অবাক হয়ে যান। তারপর তাঁরা ভালো করে দেখেন। তাঁদের দাবি মুদ্রাগুলি প্রথম জেমস আর চার্লসের আমসের। অর্থাৎ ১৬১০ থেকে ১৭২৭ সাল পর্যন্ত সময়কারের টাকা।
গত মাসের শেষের দিকে, মধ্যপ্রদেশের ধর জেলায় পুরানো বাড়ি ভাঙার সময় শ্রমিকরা প্রায় ৬০ লক্ষ টাকা মূল্যের ৮৬টি স্বর্ণমুদ্রা খুঁজে পেয়েছিলেন।