সংক্ষিপ্ত
- করোনায় আক্রান্ত গোটা বিশ্বের মানুষ
- এখনও অধরা মারণ ভাইরাসের প্রতিষেধক
- গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন বিভিন্ন দেশের বিজ্ঞানীরা
- এর মাঝেই আশার আলো দেখাল অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়
করোনাআক্রান্ত বিশ্বে আশারবাণী শোনাল অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা। সেপ্টেম্বরেই মারণ ভাইরাসের ভ্যাকসিন আসতে পারে বলে আশাবাদী তাঁরা। বৃহস্পতিবারই পরীক্ষামূলক ভাবে এই ভ্যাকসিন মানবদেহে প্রয়োগ করা হবে বলে জানিয়েছেন ব্রিটেনের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হ্যানকক।
সাংবাদিক সম্মেলনে ব্রিটিশ স্বাস্থ্যমন্ত্রী দাবি করেন, অক্সফোর্ড বিজ্ঞানীদের করোনার এই ভ্যাকসিন তৈরির প্রচেষ্টায় সব ধরনের সহায়তা করেছে ব্রিটেন সরকার। ভ্যাকসিন তৈরির প্রকল্প বাস্তবায়নে জন্য ব্রিটিশ সরকার বিজ্ঞানীদেরকে অতিরিক্ত ২০ মিলিয়ন পাউন্ডও দিচ্ছে।
ভ্যাকসিন না পাওয়া পর্যন্ত চলবে লকডাউন, করোনা মোকাবিলায় সিদ্ধান্তের পথে রানির দেশ
আমেরিকায় আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়াল ৮ লক্ষ, গ্রিনকার্ড দেওয়া বন্ধ করলেন ট্রাম্প
বাড়ি থেকে আড়াই হাজার কিলোমিটার দূরে আটকে পরিবার, ত্রিপুরায় জন্ম হল লকডাউনের
সিএইচএডিওএক্স১ এনকোভ-১৯ নামের এই ভ্যাকসিনটি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এবং লন্ডনের ইমপেরিয়াল কলেজের যৌথপ্রচেষ্টায় তৈরি করা হয়েছে। প্রথমেই ৫৫ থেকে ৭০ বছর বয়সী সুস্থ মানুষের শরীরে এটি প্রয়োগ করা হবে। এরপর ৭০ ঊর্ধ্বদের শরীরে প্রয়োগের কথা ভাবা হবে। প্রথম ধাপে পরীক্ষার আওতায় আনা হবে ৫০০ জনের মতো মানুষকে। কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া না থাকলে আরও মানুষকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে ট্রায়ালে। করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ব্রিটিশ বিজ্ঞানীদের তৈরি এটিই প্রথম ভ্যাকসিন, যা মানবদেহে পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করা হচ্ছে।
ব্রিটিশ স্বাস্থ্যমন্ত্রী দাবি করেন, করোনার ভ্যাকসিনের গবেষণায় বিশ্বের অন্যান্য দেশের চেয়ে ব্রিটেন সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করছে। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে এই ভ্যাকসিন চূড়ান্তভাবে মানবদেহে প্রয়োগের ব্যাপারে আশাবাদী। এর জন্য ভ্যাকসিনটির কয়েক লাখ ডোজ তৈরির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছেন তারা।
ইউরোপের অন্যান্য দেশের মত ব্রিটেন বর্তমানে করোনা সংক্রমণে কাবু। দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা ১ লক্ষ ২৯ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে। মৃতের সংখ্যা ১৭ হাজারের বেশি। দেশে ভ্যাকসিন না আবিষ্কার পর্যন্ত লকডাউন চালিয়ে যাবা হবে বলে আগেই ইজ্ঞিত দিয়ে রেখেছেন ব্রিটেনের আরেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী নাদাইন ডরিস।