সংক্ষিপ্ত
- দীপাবলি অন্ধকার দূর করতে সাহায্য করে
- দীপাবলি অশুভশক্তির বিনাশ করে
- তেমনই বার্তা দিলেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর
- বরিস জনসনের বার্তা রিপোস্ট করেন রাজীব চন্দ্রশেখর
দীপাবলিরশুভ সময়ই করোনাভাইরাসের মত মারাত্মক ছোঁয়াচে জীবাণুকে বধ করব আমরা। ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন এই বার্তা দিলেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। ২ মিনিট ২০ সেকেন্ডের একটি ভিডিও বার্তা ট্যুইটারে পোস্ট করেন তিনি। আর সেখানেই মূলত তুলে ধরেন দীপাবলির মাহাত্মের কথা। তিনি বলেন আলোর উৎসব মূলত অশুভ শক্তির বিনাশ করে। আর সেই প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের মত জীবাণুকেও পরাস্ত করাও সম্ভব।
ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, গোটা বিশ্বের সামনে অনেক বড় চ্যালেঞ্জ রয়েছে। কিন্তু মহামারীর সঙ্গে লড়াই করে তাকে পরাস্ত করার ক্ষমতা বিশ্বের শুভবুদ্ধ সম্পন্ন মানুষদের রয়েছে বলেই তিনি বিশ্বাস করেন বলেও জানিয়েছেন। সেইসঙ্গে তিনি বলেন দীপাবলি যেমন অশুভশক্তির অন্ধকার দূর করে তেমনই আগামী দিনেও করোনার অন্ধকার দূর হবে। আর সেই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তিনি রামায়ণের কথা তুলে ধরেন। পুরাণ মতে লঙ্কায় রাবন বধ করে বিজয়ী হয়ে রামচন্দ্র ও সীতা যখন ঘরে অর্থাৎ অযোধ্যায় ফিরছিলেন তখন তাঁদের বরণ করে নেওয়ার জন্য প্রদীপ আলো জ্বালান হয়েছিল। লক্ষ লক্ষ প্রদীপ জ্বালান হয়েছিল অযোধ্যায়। সেটাই ছিল দীপাবলি। সেই পুণ্যতিথির কথা মাথা রেখেই এখনও দীপাবলের অনুষ্ঠান পালন করা হয়। বরিস জনসন বলেন দিপাবলী আমাদের মনে শক্তি দিয়েছে করোনাকে পরাজিত করার। বরিস জনসনের এই বার্তা সোশ্যাল মিডিয়ায় রিপোস্ট করেছেন বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ রাজীব চন্দ্রশেখর। আর ভিডিও বার্তাটির ক্যাপসানে তিনি লিখেছেন দিপাবলি উপলক্ষ্যে বরিস জনসনের বার্তা।
ব্রিটেনে অনাবাসী ভারতীয়দের সংখ্যা প্রচুর। বিশ্বে চলমান মহামারির মধ্যে সুরক্ষিত অবস্থায় দীপাবলির অনুষ্ঠান আয়োজন করার জন্য তাঁদের সেইসব ভারতীয়কে সাধুবাদও জানিয়েছেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি তিনি আরও বলেছেন, দীপাবলির অনুষ্ঠানে পরিবারের সঙ্গে মিলিত হন অনেকে। কিন্তু উৎসবের সময় নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব মেনে চলা কিছুটা হলেও কঠিন কাজ। কিন্তু মহামারির মধ্যেই দীপাবলির উৎসবে করোনা সংক্রান্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা হলেই অনেকগুলি প্রাণ অকালে ঝরে যাওয়ার হাত থেকে বেঁচে যাবে বলেও তিনি জানিয়েছেন। মহামারির সঙ্গে লড়াই করার জন্য দ্বিতীয় দফায় আগামী ২ ডিসেম্বর পর্যন্ত লকডাউনের পথে হেঁটেছে বরিসের ব্রিটেন।