সংক্ষিপ্ত

চার বছর পর হোয়াইট হাউসে ফিরল কুকুরের ঘেউ ঘেউ

ডোনাল্ড ট্রাম্প কুকুর পুষতেন না

বাইডেনের রয়েছে দুটি জার্মান শেপার্ড

তাদের একজন গড়তে চলেছে ইতিহাস

 

শনিবার হোয়াইট হাউস থেকে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিদায় নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে। রেকর্ড সংখ্য ভোট পেয়ে আমেরিকার ৪৬তম প্রেসিডেন্ট হতে চলেছেন জো বাইডেন। সেইসঙ্গে, ইতিহাস গড়ল জো বাইডেনের জার্মান শেফার্ড কুকুরও।

ডোনাল্ড ট্রাম্প বা তাঁর পরিবারের কেউই কুকুর পোষেননা। গত চার বছরে হোয়াইট হাউসে কুকুরের পা পড়েছিল একবারই। আইএস নেতা বাগদাদির ঘাঁটির সন্ধান দেওয়া মার্কিন সেনার কুকুরটিকে বাসভবনে ডেকে বিশেষ সম্মান দিয়েছিলেন ট্রাম্প। ব্যাস ওই একবারই। তার আগে বারাক ওবামা প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন হোয়াইট হাউসের অন্দরে শোনা যেত ওবামা পরিবারের পর্তুগিজ ওয়াটার ব্রিডের দুই কুকুর - 'বো' এবং 'সানি'র ঘেউ ঘেউ। এবার চার বছর পর আসছে 'চ্যাম্প' এবং 'মেজর'।

ওবামা পরিবারের দুই কুকুর বো এবং সানি

চ্যাম্প এবং মেজর নব নির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্টের দুই জার্মান শেপার্ড কুকুর। এরমধ্যে ইতিহাসের দোরগোড়ার দাঁড়িয়ে বয়সে ছোট মেজর। হোয়াইট হাউসে এর আগে অনেক প্রেসিডেন্টের সঙ্গেই তাঁদের পোষা কুকুরেরা এসেছে। কিন্তু, এই প্রথম কোনও রাস্তা থেকে উদ্ধার করে আনা কুকুরের জায়গা হতে চলেছে মার্কিন প্রেসিডেন্টের বাসভবনে। তাই, ১৬০০ পেনসিলভেনিয়া অ্যাভিনিউতে বসবাসকারী প্রথম রাস্তা থেকে উদ্ধার করা কুকুর হিসাবে ইতিহাসে নাম উঠতে চলেছে মেজর-এর।

বাঁদিকে মেজর, ডানদিকে চ্যাম্প

২০১৮ সালের নভেম্বর মাসে ডেলাওয়্যার হিউম্যান অ্যাসোসিয়েশন থেকে বাইডেন পরিবার মেজর-কে এনেছিল। ডেলাওয়্যার হিউম্যান অ্যাসোসিয়েশন শুধু কুকুর নয়, বিভিন্ন পোষ্য় প্রাণীকেই রাস্তা থেকে উদ্ধার করে তাদের বাড়ি খুঁজে দেয়। তারা জানিয়েছিল, বাইডেনরা মেজরকে নিয়ে যাওয়ার আগে তারা রাস্তা থেকে বেশ খারাপ অবস্থায় উদ্ধার করেছিল মেজরকে। তার আগের পালক ওই জার্মান শেপার্ড কুকুরটিকে রাস্তায় ছেড়ে দিয়েছিলেন। উদ্ধার করার পর তারা মেজরকে সাহায্যের জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় আবেদন করেছিলেন। সেই আবেদন দেখেই জো বাইডেন মেজরকে নিয়ে এসেছিলেন। মেজর-কে পরিবারের নতুন সদস্য হিসাবে গ্রহণ করার পর বাইডেন ডেলাওয়্যার হিউম্যান অ্যাসোসিয়েশন-কে তাঁদের কাজের জন্য কৃতজ্ঞতা জানিয়েছিলেন।

View post on Instagram
 

বাইডেন পরিবারে আরেক শেপার্ড চ্যাম্প অবশ্য এসেছিল আরও ১০ বছর আগে। ২০০৮ সালের ক্রিসমাসের সময় ছোট্ট ছানা অবস্থায় চ্যাম্পকে নিয়ে এসেছিলেন জো বাইডেন। সেই সময় জো বাইডেনের আমেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট। থাকতেন মার্কিন নৌ পর্যবেক্ষণকেন্দ্রে অবস্থিত মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্টের জন্য নির্দিষ্ট বাসভবনে। মাঝে মাঝে হোয়ইট হাউসেও এসেছে সে। মজার বিষয় হল জো বাইডেন যখন ছোট ছিলেন তাঁর বাবা তাঁর ডাকনাম রেখেছিলেন চ্যাম্প। সেই নামই তিনি তাঁর প্রথম কুকুরকে দেন। বাইডেন দম্পতির সোশ্যাল মিডিয়া পেজ দেখলে বোঝা যায় চ্যাম্প এবং মেজর তাঁদের কতটা আদরের। এমনকী নির্বাচনী প্রচারের সময়ও বাইডেন তাঁদের ছবি দিয়ে বলেছিলেন তিনি হোয়াইট হাউসে আবার কুকুরদের ফিরিয়ে আনতে চান।

View post on Instagram
 

সেই প্রচারে কুকুরপ্রেমীরা বাইডেনকে ভোট দিয়েছেন কিনা জানা নেই, তবে বাইডেনের ওই প্রচারের প্রশংসা করেছিলেন তাঁরা। শনিবার বাইডেন-হ্যারিস জুটির জয়ের সংবাদ পেয়ে অনেক কুকুরপ্রেমীকেই উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছে।