সংক্ষিপ্ত

সূত্র জানায়, তিনি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাসের মন্ত্রিসভার বেশ কয়েকজন সদস্যকে তার নতুন মন্ত্রিসভা ঘোষণার আগে পদত্যাগ করতে বলেছেন। এ পর্যন্ত তিন মন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে বলা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ব্যবসায়িক সচিব জ্যাকব রিস-মগ, বিচার সচিব ব্র্যান্ডন লুইস এবং উন্নয়নমন্ত্রী ভিকি ফোর্ড বলে সূত্রের খবর।

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরই বেশ কয়েকজন মন্ত্রীকে বরখাস্ত করলেন ঋষি সুনক। তবে জেরেমি হান্ট ব্রিটেনের অর্থমন্ত্রী হিসেবে বহাল থাকবেন। মন্ত্রীদের বরখাস্ত করা হবে, এমন ইঙ্গিত দিয়েছিলেন সুনক। প্রকৃতপক্ষে, তিনি স্পষ্টভাবে বলেছিলেন যে পুরানো লোকদের করা ভুলগুলি সংশোধন করার জন্য তাকে বেছে নেওয়া হয়েছে। রাজা দ্বিতীয় চার্লসের সাথে সাক্ষাতের এক ঘন্টার মধ্যে সুনক তার প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে শুরু করেন। 

সূত্র জানায়, তিনি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাসের মন্ত্রিসভার বেশ কয়েকজন সদস্যকে তার নতুন মন্ত্রিসভা ঘোষণার আগে পদত্যাগ করতে বলেছেন। এ পর্যন্ত তিন মন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে বলা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ব্যবসায়িক সচিব জ্যাকব রিস-মগ, বিচার সচিব ব্র্যান্ডন লুইস এবং উন্নয়নমন্ত্রী ভিকি ফোর্ড বলে সূত্রের খবর। জেরেমি হান্ট অর্থমন্ত্রী হিসেবে বহাল থাকবেন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। সুনকের কনজারভেটিভ পার্টি টুইট করেছে যে ডমিনিক রাবকে যুক্তরাজ্যের উপ-প্রধানমন্ত্রী এবং বিচার সচিব হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে। এছাড়াও বেন ওয়ালেসকে যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা সচিব হিসেবে পুনর্নিযুক্ত করা হয়েছে।

ব্রিটিশ মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, ঋষি সুনক তার নতুন শীর্ষ দল গঠনের আগে মন্ত্রিসভার পুরনো লোকদের সরিয়ে দিচ্ছেন। এই কারণে, জ্যাকব রিস-মগ সরকার থেকে পদত্যাগ করেছেন। রিস-মগ ব্যবসায়িক সচিবের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। দ্য টেলিগ্রাফের প্রতিবেদন অনুযায়ী, রিস-মগ আগেই জানতেন যে তাকে মন্ত্রিসভা থেকে বরখাস্ত করা হবে, তাই তিনি তার পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন।

লিজ ট্রাসের মন্ত্রিসভায় কাজ করা কমপক্ষে ১০ জন আইন প্রণেতারা মঙ্গলবার বিকেলে সরকার ছেড়েছেন। রিস-মোগের সাথে যারা ব্যাকবেঞ্চে ফিরেছেন তাদের মধ্যে রয়েছে ব্র্যান্ডন লুইস, ওয়েন্ডি মর্টন, কিট ম্যালথহাউস এবং সাইমন ক্লার্ক। তবে, তিনি বলেছেন যে তিনি বেঞ্চের আড়াল থেকে প্রধানমন্ত্রী সুনকের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখবেন।

মঙ্গলবার মহারাজা তৃতীয় চার্লসের সাথে সাক্ষাতের পর ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রথম ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন সুনক।  

সোমবার বরিস জনসন, প্রধানমন্ত্রী পদের লড়াই থেকে তার নাম প্রত্যাহার করেন। পেনি মর্ডান্টও পর্যাপ্ত এমপি-সমর্থন পেতে ব্যর্থ হলে, কোথাও সকলেই মনে করেছিলেন যে ঋষি সুনাকই হচ্ছেন পরবর্তী ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু সোমবার সেটি অফিসিয়ালি ঘোষিত হওয়ায় বেশ খুশির রেশ আন্তর্জাতিক মহলে। ঋষির ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হওয়া নিয়ে ভারতে উৎসব চলছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যবহারকারীরা নানাভাবে ঋষিকে অভিনন্দন জানাচ্ছেন। 

আরও পড়ুন-- 

প্রতিবাদ করলেই শাস্তি, তালিবান-শাসনের বিরুদ্ধে এবার গর্জে উঠল আফগান মহিলারা

অ্যাপেলের সিইওর টুইটারে দীপাবলির শুভেচ্ছা বার্তা , প্রশংসায় পঞ্চমুখ মুম্বইয়ের ফোটোগ্রাফার