সংক্ষিপ্ত

সুনাকের স্ত্রী অক্ষতা মূর্তি ভারতীয় আইটি জায়েন্ট ইনফোসিসের শেয়ার হোল্ডার। তিনি প্রায় ৭০০ মিলিয়ন ডলারের মালিক।অক্ষতা মূর্তি আর নন-ডোম স্ট্যাটাসের কারণ দেচখিয়ে ইউকে ট্যাক্সের ২.১ মিলিয়ন পাউন্ড প্রতি বছর এড়িয়ে যেতেন। 

স্ত্রীর আয়কর কেলেঙ্কারিতে রীতিমত বিধ্বস্ত ভারতীয় বংশোদ্ভোত ব্রিটিশ অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাক। স্ত্রী অক্ষতা মূর্তির বিদেশী আয়ের ওপর কর না দেওয়াতেই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তাঁর রাজনৈতিক জীবন। কারণ সবকিছু ঠিকঠাক থাকতে তিনি হতে পারতেন আগামী ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। তেমনই সম্ভাবনা উজ্জ্বল ছিল। কিন্তু স্ত্রী অক্ষতার কারণে সমস্যায় পড়তে পারেন তিনি। যদিও সুনাকের স্ত্রী অক্ষতা জানিয়েছেন তিনি বিদেশী আয়ের ওপর তিনি যুক্তরাষ্ট্রের কর প্রদান করবেন। 

সুনাকের স্ত্রী অক্ষতা মূর্তি ভারতীয় আইটি জায়েন্ট ইনফোসিসের শেয়ার হোল্ডার। তিনি প্রায় ৭০০ মিলিয়ন ডলারের মালিক। ইনফোসিসের প্রতিষ্ঠাতা তাঁর বাবা নারায়ণ মূর্তি। গত বছর তিনি লভ্যাংশ পেয়েছিলেন ১১.৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। তিনি যুক্তরাজ্যের স্থায়ী বাসিন্দা নন। সেই হিসেবে তিনি ব্রিটন সরকারকে কর দিতে বাধ্য নন। আইন অনুযায়ী তিনি কোনও ভুল কাজও করেননি। কিন্তু তাঁর এই পদক্ষেপ নিয়ে ব্রিটিশ রাজনীতিতে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। কারণ অনেকেই বলছেন অর্থমন্ত্রীর স্ত্রী যদি কর না দেন তাহলে তা ভালো বার্তা বহন করে না। অক্ষতা কয়েক মিলিয়ন ডলারের মালিক হয়েও কর ফাঁকি দিচ্ছে। বিরোধীরা এমনটাই প্রচার চালাচ্ছে। যা নিয়ে সমস্যা বাড়ছে স্বামী ঋষি সুনাকের। এই অবস্থায় স্বামীর পাশে দাঁড়িয়ে তিনি ব্রিটিনে কর দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলেও জানিয়েছেন। 

অন্যদিকে স্ত্রীর পাশে দাঁড়িয়ে সুনাক জানিয়েছেন, অক্ষতাকে তিনি কখনই ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে  বলবেন না। কারণ অক্ষতা তাঁর স্ত্রী হলেও তাঁর নিজস্ব একটি পরিচয় রয়েছে। তাঁকে তাঁর দেশের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে বলা ন্যায় সঙ্গত নয় বলেও জানিয়েছেন তিনি। তিনি আরও জানিয়েছেন তিনি যেমন তাঁর দেশকে ভালোবাসেন অক্ষতাও তেমনই তাঁর দেশকে ভালোবাসেন। অক্ষতাও তেমনই তাঁর দেশকে ভালোবাসেন। 

বিবিসের প্রতিবেদন অনুযায়ী অক্ষতা মূর্তি আর নন-ডোম স্ট্যাটাসের কারণ দেচখিয়ে ইউকে ট্যাক্সের ২.১ মিলিয়ন পাউন্ড প্রতি বছর এড়িয়ে যেতেন। তবে অক্ষতা জানিয়েছেন তাঁর ট্যাক্স ব্যবস্থা সম্পূর্ণ আইনি ছিল। তিনি কোনও কর ফাঁকি দেননি। তিনি আরও বলেছেন তিনি ব্রিটিশদের আইন বোঝেন। তাই তিনি কখনই চাননা যে তাঁর ট্যাক্স স্টেটাস তাঁর স্বামীর রাজনৈতিক জীবনে পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়াক। 

নন-ডোমেস্টিক- এই এমন একটি স্টেটাস যার সাহায্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ব্রিটেনে থাকতে পারবেন। কিন্তু অন্যদেশের নাগরিক তিনি। সেই দেশে তাঁর স্থায়ী বাড়ি থাকতে পারে। সুনার গতবছর পর্যন্ত গ্রিনকার্ডের অধিকারি ছিলেন। 

তবে সুনাকও এই ঘটনাকে সামনে এনে বিরোধীদের নিশানা করেছেন। তিনি বলেছেন বিরোধীরা তাঁর স্ত্রী সম্পর্কে অশালীন মন্তব্য করেছে। তাঁর স্ত্রীকে গালিগালজও করা হয়েছে। তিনি আরও বলেছেন তাঁর স্ত্রী নন-ডোম ব্যস্থাতেই থাকবেন। কারণ স্ত্রীর বাবা-মা এখনও ভারতের বাসিন্দা। সেই কারণে দেশে ফিরতে হবে তাঁকে। তবে অক্ষতা জানিয়েছেন তিনি ভারতীয় নাগরিকত্ব ও নন-ডোম ব্যবস্থাতেই থাকতে চান । সেই কারণে তিনি বৃহস্পতিবার প্রায় ৩০ হাজার পাউন্ড প্রদান করেন।