সংক্ষিপ্ত
করোনা সংক্রমণের দাপটে যাতে অধিবেশনের কাজ কোনওভাবেই ব্যাহত না হয় তার জন্য একাধিক করোনা বিধি জারি হয়েছে সংসদে। আর এর জন্য পরিবর্তন আনা হয়েছে সাংসদদের বসার আসনে।
করোনা (Corona) এখনও বিদায় নেয়নি দেশ থেকে। আর সেই পরিস্থিতির মধ্যেই আজ থেকে সংসদে শুরু হচ্ছে বাজেট অধিবেশন (Budget Session 2022)। এর আগে করোনায় আক্রান্ত (Corona Positive) হয়েছেন বহু সাংসদ। কিন্তু, সংক্রমণের দাপটে যাতে অধিবেশনের কাজ কোনওভাবেই ব্যাহত না হয় তার জন্য একাধিক করোনা বিধি (Corona Restriction) জারি হয়েছে সংসদে (Parliament)। আর এর জন্য পরিবর্তন আনা হয়েছে সাংসদদের বসার আসনে। পাশাপাশি আরটি-পিসিআর পরীক্ষা (RT-PCR Test) বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। কমিয়ে দেওয়া হয়েছে প্রশ্নোত্তর পর্ব (Question Hour), জিরো আওয়ারের (Zero Hour) মেয়াদ।
আজ থেকেই সংসদে শুরু হচ্ছে বাজেট অধিবেশন। রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের (Ram Nath Kovind) বক্তব্য দিয়ে শুরু হবে অধিবেশন। সকাল ১১টার সময় ভাষণ দেবেন তিনি। আগামীকাল সংসদে পেশ হবে কেন্দ্রীয় বাজেট। সেই বাজেট পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণ। প্রথম দফার অধিবেশ আজ থেকে শুরু হয়ে চলবে ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত। আর দ্বিতীয় দফার বাজেট অধিবেশন শুরু হবে ১৪ মার্চ থেকে। চলবে ৮ এপ্রিল পর্যন্ত। করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে প্রথম দফার অধিবেশনের সময়সূচি পরিবর্তন করা হয়। তবে দেশের করোনা সংক্রমণ এখন অনেকটাই নিম্নমুখী, সেই কারণে দ্বিতীয় দফার অধিবেশনের সময়সূচিতে কোনও পরিবর্তন করা হয়নি। তা পুরনো নিয়ম ও সূচি মেনেই হবে।
আরও পড়ুন- ২৯ টি অধিবেশন, সাড়ে ৭৯ ঘন্টা - চলবে জনগণের সমস্যা নিয়ে আলোচনা
এদিকে করোনা পরিস্থিতির মধ্যে বাজেট অধিবেশনের আয়োজন করার ফলে এবার অনেক বেশি সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে সংসদে। আর সেই গোটা পরিস্থিতি রবিবার খতিয়ে দেখেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নাইডু ( M. Venkaiah Naidu) ও লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা (Om Birla)। করোনা বিধি মেনে অধিবেশনে কী কী প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে তা দেখেন তাঁরা।
আরও পড়ুন- বাড়তে পারে আয়কর ছাড়ের সীমা, বদলাতে পারে স্ল্যাবের সমীকরণও
সীমীত সংখ্যক সাংসদকে তাঁদের নির্দিষ্ট আসনে বসতে দেওয়া হবে। আর সামাজিক দূরত্ববিধি বজায় রাখার জন্য বাকিদের বসার জায়গায় করা হয়েছে গ্যালারিতে। এমনকী, কয়েকজন সাংসদকে অপর কক্ষেও বসানো হতে পারে। সূত্রের খবর, গতকালের বৈঠকে ওম বিড়লা সাংসদদের নামের তালিকা অনুসারে ভিন্ন জায়গায় বসানোর পরামর্শ দেন। তিনি জানান এতে যেমন সামাজিক দূরত্বও বজায় রাখা হবে, তেমনই উভয় কক্ষের সাংসদরা একত্রিত হলে যে সংশয় তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, তাও এড়ানো সম্ভব। তাঁর এই প্রস্তাবে সম্মতি জানিয়েছে বেঙ্কাইয়া নাইডু।
আরও পড়ুন- গৃহঋণ থেকে গৃহস্থ সঞ্চয়, এক নজরে ১০টি বাজেট প্রত্যাশা
লোকসভা ও রাজ্যসভার সচিবরা রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে কথা বলেই তাদের দলের সাংসদদের বসার জায়গা চূড়ান্ত করবেন। এদিকে প্রথমে শোনা গিয়েছিল যে করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই এবার বাদ দেওয়া হয়েছে জিরো আওয়ার। যদিও পরে জানা যায় জিরো আওয়ারের মেয়াদ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। রাজ্যসভায় তা এক ঘণ্টার পরিবর্তে ৩০ মিনিট করে দেওয়া হয়েছে। আর ৬০ মিনিট বরাদ্দ থাকবে প্রশ্নোত্তর পর্বের জন্য। এছাড়া অধিবেশনে যোগ দেওয়ার জন্য সাংসদদের আরটি-পিসিআর পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। অধিবেশনে যোগ দেওয়ার ৪৮ ঘণ্টা আগে তাঁদের করোনা পরীক্ষা করাতে হবে।