সংক্ষিপ্ত
তামাকজাত দ্রব্য যারা ব্যবহার করেন বা ধূমপায়ী ব্যক্তিদের কাছে কিন্তু এই বাজেট খুশির বাজেট বলাই যায়। কারন এইবারের বাজেটেও তামাক ও তামাকজাত পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি হল না। অর্থাই পরপর দুবছরের কেন্দ্রীয় বাজেটে সিগারেটের দামের ধারা একই রকম বজায় রইল। ১ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় বাজেট পেশের পর দেখা গেল আইটিসি সহ দেশের প্রথমসারির সিগারেট উৎপাদনকারী সংস্থাগুলির শেয়ারের সূচক অনেকখানি বৃদ্ধি পেয়েছে।
বাজেট সাধারণ মানুষকে কতটা স্বস্তি দিল নাকি আদৌ দিল না সেই নিয়ে বিশেষজ্ঞমহলে চলছে চর্চা। কারোর মতে ২০২২-২৩ অর্থবর্ষের বাজেট মোটেই সাধারণের বাজেট হয়নি। কারোর মতে আবার এই বাজেটে গৃহিত সিদ্ধান্তের যথেষ্ট যৌক্তিকতা রয়েছে। এই নিয়ে তর্কবিতর্ক তো চলবেই। তবে তার মাঝে রয়েছে একটা খুশির খবর। বিশেষত, তামাকজাত দ্রব্য যারা ব্যবহার করেন বা ধূমপায়ী ব্যক্তিদের কাছে কিন্তু এই বাজেট খুশির বাজেট বলাই যায়। কারন এইবারের বাজেটেও তামাক ও তামাকজাত পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি হল না। অর্থাই পরপর দুবছরের কেন্দ্রীয় বাজেটে সিগারেটের দামের ধারা একই রকম বজায় রইল। ১ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় বাজেট পেশের পর দেখা গেল আইটিসি সহ দেশের প্রথমসারির সিগারেট উৎপাদনকারী সংস্থাগুলির শেয়ারের সূচক অনেকখানি বৃদ্ধি পেয়েছে।
তবে অর্থনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এবারের বাজেটে সিগারেটের ওপর কর বৃদ্ধির একটা সম্ভাবনা ছিল। কারণ বিগত দুবছরে সিগারেটের ওপর কোনও কর বৃদ্ধি করা হয়নি। তবে কর বৃদ্ধি হলে আবার নির্মাতা সংস্থাগুলির ওপর তাঁর নেতিবাচক প্রভাব পড়ত। উল্লেখ্য, মঙ্গলবার সকালেই মার্কেট খোলার সঙ্গে সঙ্গেই বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জে আইটিসির শেয়ার ০.৪ শতাংশ কমে ২১৯.২০ টাকা হয়েছিল। আবার ভিএসটি ইন্ডাসট্রিজের শেয়ার ০.৫৪ শতাংশ কমে ৩১৭০.৫০ টাকা হয়েছিল। এছাড়াও গডফ্রে ফিলিপসের শেয়ার কমে ১.৭৮ শতাংশ থেকে ১.০৯২.৯৫ টাকা হয়েছিল।
আরও পড়ুন-কেন্দ্রীয় বাজেটে একদিকে বিরাট স্বস্তি গয়না শিল্পের, অন্যদিকে পকেটে চাপ বাড়ল সুরাপ্রেমীদের
আরও পড়ুন-Budget 2022: আবাস যোজনায় ৮০ লক্ষ পরিবার বাড়ি পাবেন, ঘোষণা অর্থমন্ত্রীর
কিন্তু কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমের বাজেট পেশের পর এই সংস্থাগুলোরই শেয়ার মার্কেট দর তড়তড়িয়ে বেড়েছে। যেমন বাজেট পেশের পরই আইটিসির শেয়ার ৩ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ২২৬.৭৫ টাকা। অন্যদিকে ভিএসটি ইন্ডাসট্রিজের শেয়ার দর বেড়ে হয়েছে ৩১৮৯.০০ টাকা। আর গডফ্রে ফিলিপসের শেয়ার মূল্য বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ১১৪৭.৮৫ টাকা। তামাক বা তামাকজাত পণ্যের ওপর কর লাঘু না করার বিষয় একটা কথা বলতেই হয়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সুপারিশ অনুযায়ী স্বাস্থ্য মন্ত্রকের এক বিশিষ্ট কর্মকর্তার নেতৃত্বে তামাকজাত পণ্যের চাহিদা কম করার জন্য একটি বিশেষ কর নীতির প্রস্তাব প্রস্তুত করতে একটি বিশেষজ্ঞ দল গঠন করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। জনস্বাস্থ্যের দৃষ্টিকোণ থেকে বিচার করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও চিকিৎসকদের মতে তামাকের ব্যবহারের ফলে নানা শারীরিক সমস্যা পাশাপাশি ক্যান্সারের মতো মারাত্মক রোগ দেখা দিতে পারে। অন্যদিকে অর্থনীতির বিশেষজ্ঞদের মতে, তামাক বা সিগারেটের ওপর কর বাড়ালে সিগারেটের দাম আরও বৃদ্ধি পেত। বেশ কয়েকদিন ধরেই খোলা বাজারে অসাধু ব্যবসায়ীরা বেশী দাামে সিগারেট বিক্রি করছিল। এবার হয়তো সেই অসাধু ব্যবসার প্রক্রিয়ার প্রবণতা কমতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।