সংক্ষিপ্ত

অর্থনৈতিক সমীক্ষা হল দেশের অর্থনীতির বার্ষিক রিপোর্ট কার্ড। এতে সারা বছরের অর্থনীতির সব খাতের পারফরম্যান্স দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে পুরো অর্থনীতি-সহ এই খাত নিয়ে ভবিষ্যৎ সংক্রান্ত যাবতীয় পরিকল্পনাও পেশ করা হয়। জরিপে GDP বৃদ্ধির কারণও সামনে রাখা হয়েছে। 

৩১ জানুয়ারি সংসদে অর্থনৈতিক সমীক্ষা পেশ করেছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। সংসদে পেশ করা সমীক্ষা অনুসারে, ওমিক্রন দেশের অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলেনি এবং কোভিডের তৃতীয় তরঙ্গ থাকা সত্ত্বেও অর্থনীতিতে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি রয়ে গিয়েছে। এর ফলে আগামী সময়ে শিল্প কর্মকাণ্ড বেগবান হওয়ার সম্ভাবনাও জোরালো হয়েছে। একই সময়ে, আগামী অর্থবছরে কৃষি খাতের স্থিতিশীল কর্মক্ষমতা অব্যাহত থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে। আগামী সময়ে মূল্যস্ফীতিও নিয়ন্ত্রণে থাকবে বলে অনুমান করা হয়েছে। সামগ্রিকভাবে, আজ পেশ করা অর্থনৈতিক সমীক্ষা ইঙ্গিত দিচ্ছে যে দেশের অর্থনীতি মহামারীর প্রভাব থেকে বেরিয়ে এসেছে এবং এগিয়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত।
অর্থনৈতিক সমীক্ষার হিসাব কি
অর্থনৈতিক সমীক্ষায় অনুমান করা হয়েছে যে আগামী অর্থবছরে ভারতের অর্থনীতিতে ৮ শতাংশ থেকে ৮.৫ শতাংশের মধ্যে লাভ করতে পারে। একই সঙ্গে এই বছর অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি হবে ৯ দশমিক ২ শতাংশ হারে। তৃতীয় তরঙ্গের আগে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ৯.৫ শতাংশ বৃদ্ধির অনুমান দিয়েছিল। আজকের পরিসংখ্যান এর চেয়ে কম কিন্তু পার্থক্য খুব বেশি নয়। এটি স্পষ্টভাবে নির্দেশ করে যে করোনার তৃতীয় তরঙ্গ প্রথম দুটি তরঙ্গের মতো অর্থনীতিতে একই গুরুতর প্রভাব ফেলবে না। একই সঙ্গে চলতি অর্থবছরে শিল্প খাতের প্রবৃদ্ধি সর্বোচ্চ হতে পারে। অর্থনৈতিক সমীক্ষা অনুমান করেছে যে ২০২১-২২ সালে শিল্প খাতের প্রবৃদ্ধি ১১ শতাংশ হতে পারে। 
গত অর্থবছরে মন্দার কারণে এই খাতের প্রবৃদ্ধির পরিসংখ্যানে এই গতি দেখা গিয়েছে। ২০২০-২১ সালে শিল্প খাতে ৭ শতাংশ নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি ছিল। একই সঙ্গে এ বছরও কৃষি খাতের ধারাবাহিক কর্মক্ষমতা অব্যাহত থাকবে। ২০২১-২২ সালে খাতটি ৩.৯ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পেতে পারে, ২০২০-২১ সালে কৃষি খাতে ৩.৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ছিল। একই সময়ে, ২০২১-২২ সালে পরিষেবা খাতে ৮.২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি দেওয়া হয়েছে। গত বছর এই প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৮ দশমিক ৬ শতাংশ।
অর্থনৈতিক সমীক্ষা কি
অর্থনৈতিক সমীক্ষা হল দেশের অর্থনীতির বার্ষিক রিপোর্ট কার্ড। এতে সারা বছরের অর্থনীতির সব খাতের পারফরম্যান্স দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে পুরো অর্থনীতি-সহ এই খাত নিয়ে ভবিষ্যৎ সংক্রান্ত যাবতীয় পরিকল্পনাও পেশ করা হয়। জরিপে GDP বৃদ্ধির কারণও সামনে রাখা হয়েছে। এই অর্থনৈতিক সমীক্ষা হবে দেশের নতুন সিইএ ভি অনন্ত নাগেশ্বরনের প্রথম অর্থনৈতিক সমীক্ষা। একই সঙ্গে মহামারীর কারণে জরিপ ডিজিটাল আকারে করা হবে। অর্থনৈতিক সমীক্ষার দুটি অংশ রয়েছে। একই সঙ্গে প্রতিবছরের অর্থনৈতিক সমীক্ষায় একটি বিষয় থাকে। সর্বশেষ জরিপে কর্মসংস্থানের ওপর জোর দেওয়া হয়েছিল। প্রথম অর্থনৈতিক সমীক্ষা ১৯৫০-৫১ সালে উপস্থাপন করা হয়েছিল। ১৯৬৪ সাল থেকে, অর্থনৈতিক সমীক্ষা বাজেটের একদিন আগে পেশ করা শুরু হয়।

আরও পড়ুন- চিনে নিন নির্মলা সীতারামনের দলের এই ৫ সদস্য-কে, যাঁরা দেশের বাজেট প্রস্তুত করছেন

আরও পড়ুন- অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০২২-এর হাইলাইটস, দেখে নিন এক নজরে